মাদারীপুর সদর উপজেলার চোকদার ব্রিজ এলাকা থেকে ফেনসিডিলসহ এনামুল দর্জি ও সুমন দর্জি নামে দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। শনিবার (৩ মে) বিকেলে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। রবিবার (৪ মে) গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

গ্রেপ্তারকৃত এনামুল দর্জি ও সুমন দর্জি মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের ঝিকরহাটি এলাকার বাসিন্দা। গ্রেপ্তার এনামুলের নামে হত্যা, বিস্ফোরক ও ছিনতাইসহ ৯টি মামলা রয়েছে। 

ডিবি পুলিশের তথ্য মতে, অনেকদিন ধরেই এলাকায় প্রকাশ্যে মাদক কারবার করছিলেন এনামুল। মাদক বিক্রি বন্ধ করতে এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দেয়। চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি ১১০ বোতল ফেনসিডিলসহ একবার গ্রেপ্তার হন এনামুল। পরে জামিনে বের হয়ে পুনরায় মাদক কারবার শুরু করেন তিনি। 

আরো পড়ুন:

টাঙ্গাইলে বিএনপি নেতার কারখানায় ডাকাতি

রায়গঞ্জে ‘আয়নাঘরে’ নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১

মাদারীপুরের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “গোয়েন্দা পুলিশ জানতে পারে, ঝিকরহাটি এলাকায় ফেনসিডিলের একটি বড় চালান মজুত করা হয়েছে। সেখানে অভিযান চালিয়ে ৪২ বোতল ফেনসিডিলসহ এনামুল ও সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় কৌশলে পালিয়ে যান এনামুলের সহযোগী শফিক দর্জি ও ইমরান দর্জি। তাদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”

ঢাকা/বেলাল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে বাসদ নেতার মৃত্যু

চট্টগ্রামের পটিয়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এস এম রিদোয়ান কবির (৬০) নামে এক বাসদ নেতার মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে উপজেলার ভেল্লাপাড়া ব্রিজে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

রিদোয়ান কবির উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের মৃত আলা মিয়া সওদাগরের ছেলে। তিনি পটিয়া উপজেলার বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)-এর সাবেক সদস্য ও চট্টগ্রাম শহরে মাসুদ এগ্রোর সিনিয়র ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, পটিয়া থেকে চট্টগ্রাম শহরে শ্যালকের মোটরসাইকেলযোগে নিজ কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন রিদোয়ান কবির। এ সময় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে উপজেলার ভেল্লাপাড়া ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে রিদোয়ান কবির মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পান। পরে মোটরসাইকেলচালক শ্যালক শাহ্ হোসাইন সাগর স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মস্তিষ্কের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। মঙ্গলবার দুপুরে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে, দুই মেয়ে ও স্ত্রীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান। 

রিদোয়ান কবিরের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, সিপিবির সভাপতি কমরেড শাহ আলম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ