‘ঢাকার সব দোকানপাট রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনা হবে’
Published: 4th, May 2025 GMT
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, “ঢাকা জেলার সব আবাসিক হোটেল, রেস্টুরেন্ট, সুপার শপ, শপিং মল ও বড় মার্কেটের দোকানপাটকে শ্রম আইন, ২০০৬ এর আওতায় রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলকভাবে সম্পন্ন করতে হবে।”
রবিবার (৪ মে) সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
শ্রম উপদেষ্টা বলেন, “শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৩২৬ অনুযায়ী এসব প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পরিদর্শকরা ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার সব দোকানপাট অন্যান্য ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করবেন। শ্রম আইন ২০০৬ অনুযায়ী এসব প্রতিষ্ঠান রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনার জন্য উদ্বুদ্ধ করবেন।”
আরো পড়ুন:
ঢাবি ছাত্র ফ্রন্টের নেতৃত্বে মোজাম্মেল-আকাশ
ঢাবিতে যানজট নিয়ন্ত্রণ ও ট্রান্সজেন্ডার কোটা বাতিলের দাবি
উপদেষ্টা আরো বলেন, “আগামী ২০ মে এর মধ্যে দোকানপাট ও অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শ্রম আইন অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন না করলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
মতবিনিময়কালে শ্রম সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১
খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।
আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।