ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যানজট নিরসন, কার্বনমুক্ত শাটল সার্ভিস চালু, পরিবেশবান্ধব শিক্ষার পরিবেশ গড়ে তোলা এবং ট্রান্সজেন্ডার কোটা বাতিলসহ কয়েকটি দাবি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন একদল শিক্ষার্থী। রোববার দুপুরে প্রক্টর অফিসে এই স্মারকলিপি দেন তাঁরা।

তাঁদের দাবিগুলো হলো যানজট নিরসন, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে ক্যাম্পাস এলাকায় শুধু রেজিস্টার্ড, নির্ধারিত, অধূমপায়ী রিকশাচালকদের চলাচল নিশ্চিত করা, শিক্ষার্থীদের চলাচলে দুর্ভোগ লাঘব, পরিবেশ রক্ষায় একটি কার্বনমুক্ত, পরিবেশবান্ধব ও টেকসই শাটল সেবা চালু করা।

স্মারকলিপি প্রদান শেষে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মুসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, ‘আপনারা জানেন ট্রান্সজেন্ডার শব্দটি বিতর্কিত একটি শব্দ, যা সম্পূর্ণ জোরপূর্বকভাবে আমাদের ক্যাম্পাসসহ সারা বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা চালানো হয়েছিল। যখন এই কোটাটি আমদানি হয়, তখনই আমরা এই কোটা বাতিল করার জন্য আন্দোলন করেছি এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সে দাবি মেনেও নিয়েছিল। কিন্তু তারপরও বারবার ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে আমরা দেখেছি এই শব্দটি চলে এসেছে।’

সংবাদ সম্মেলনে মুসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর তাঁদের বলেছেন, এই শব্দটি ভুলক্রমে ঢুকে গেছে। পরবর্তী সময়ে আর কোনো ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে এমনটি থাকবে না।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ম রকল প পর ব শ

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা: চেরনোবিলের মতো বিপর্যয় হবে না

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি লক্ষ্য করে বোমাবর্ষণ হলেও চেরনোবিল-ফুকুশিমার মতো বিপর্যয় ডেকে আনবে না বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলেছেন, এগুলো মূলত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থাপনায় কেন্দ্রীভূত হয়েছে।

বিজ্ঞানীরা বিবিসিকে জানিয়েছেন, এ ধরনের স্থাপনায় ক্ষয়ক্ষতি হলেও তা চেরনোবিল বা ফুকুশিমার মতো ভয়াবহ ‘পারমাণবিক দুর্ঘটনা’ ঘটানোর ঝুঁকি তৈরি করে না। এর কারণ হলো সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রে কোনো পারমাণবিক বিক্রিয়া (নিউক্লিয়ার রিঅ্যাকশন) ঘটে না। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের রিঅ্যাক্টরে ইউরেনিয়ামের পরমাণু বিভাজিত হয়ে ফিশন প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে তাপ উৎপন্ন করে এবং তাতে তৈরি হয় অতিরিক্ত তেজস্ক্রিয় বর্জ্য।

অন্যদিকে, সমৃদ্ধকরণ স্থাপনাগুলো শুধু ইউরেনিয়ামকে জ্বালানি হিসেবে প্রস্তুত করে, সেখানে শক্তি উৎপাদনের কোনো প্রক্রিয়া চলে না। 

ব্যাঙ্গোর বিশ্ববিদ্যালয়ের পারমাণবিক উপাদান বিশেষজ্ঞ সায়মন মিডলবার্গ  বলেন, যদি কোনো সমৃদ্ধকরণ স্থাপনায় বোমা মারা হয়, তাহলে ভেতরের ইউরেনিয়াম পরিবেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তবে এতে কোনো পারমাণবিক প্রতিক্রিয়া হওয়ার আশঙ্কা নেই। কাজেই এ ক্ষতি হবে স্থানীয় পর্যায়ে সীমাবদ্ধ এবং একমাত্র আশপাশের একটি ছোট এলাকা ছাড়া কোনো বিস্তৃত তেজস্ক্রিয় ঝুঁকি তৈরি হবে না।

রয়টার্স জানায়, ইরানের ভূগর্ভে নির্মিত পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর আঘাত হানতে সক্ষম একমাত্র প্রচলিত অস্ত্র হচ্ছে মার্কিন ‘বাঙ্কার-ব্লাস্টার’ বোমা। সাম্প্রতিক ইরান-ইসরায়লে সংঘাত পরিস্থিতিতে অনেকের মনেই প্রশ্ন, যুক্তরাষ্ট্র যদি আসলেই ইরানের সন্দেহভাজন পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনায় শক্তিশালী বাঙ্কার-ব্লাস্টার বোমা ফেলে, তাহলে এর পরিণতি কী হবে? 

বিকিরণ ঝুঁকি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই বোমা মাটির নিচের বাঙ্কার ধ্বংস করে ফেললেও এর ব্যাপক বিকিরণ দূষণের আশঙ্কা কম।

ইরানের ‘ফোরডো ফুয়েল এনরিচমেন্ট প্লান্ট’ নামের এই রহস্যময় স্থাপনা পাহাড়ের গুহায় নির্মিত এবং এখানে ইউরেনিয়াম আইসোটোপ প্রক্রিয়াকরণ করা হয়। এতে এখানে ইউরেনিয়াম সাধারণত ইউরেনিয়াম হেক্সাফ্লুরাইড নামক গ্যাস আকারে থাকে।

এ গ্যাস অণু তুলনামূলক বড় ও ভারী হওয়ায় এটি অনেক দূরে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা কম বলে জানান আলাবামা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য পদার্থবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ এমিলি ক্যাফ্রি। তিনি আরও বলেন, হামলার ফলে বিকিরণ বা দূষণ ওই স্থানেই সীমাবদ্ধ থাকবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ