শিক্ষার্থীদের ঘিরেই আমাদের সব কর্মকাণ্ড: ইউজিসির চেয়ারম্যান
Published: 4th, May 2025 GMT
শিক্ষার্থীদের ঘিরেই তাঁদের সব কর্মকাণ্ড উল্লেখ করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ বলেছেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সমস্যা সমাধানসহ তাঁদের জন্য সুবিধা বাড়াতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে ইউজিসি।
রোববার শিক্ষার্থীদের দাবিদাওয়া ও সমস্যা নিয়ে ইউজিসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিনিধিদল। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়টির বাজেট বাড়ানো, শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসন সুবিধা ও ভাতা বাড়ানো এবং সার্বিক শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ নিয়ে আলোচনা হয়।
ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে শুধু অবকাঠামোগত নয়, মানবিক ও কল্যাণমুখী দৃষ্টিভঙ্গিই বেশি জরুরি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিগুলো যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে তাৎক্ষণিক কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অন্যান্য বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পরে সাংবাদিকদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো.
প্রতিনিধিদলে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাবিনা শরমীন, শিক্ষার্থী-বিষয়ক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. রইছ উদ্দীন, পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) অধ্যাপক শেখ রফিকুল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক কে এ এম রিফাত হাসান, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন ও ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাছির উদ্দিন আহমেদ।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইউজ স
এছাড়াও পড়ুন:
ভালো আলোচনা হচ্ছে কিন্তু ঐকমত্য হচ্ছে না: এবি পার্টি
আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, “৩২টি রাজনৈতিক দল নিয়ে ব্যাপক আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। এর আগে দলগুলো নিজেদের কয়েক মাস ধরে বক্তব্য উপস্থাপন করার জন্য আলাদা আলাদা বৈঠক করার সুযোগ পেয়েছিল। তারপরও গত তিন দিন ধরে ব্যাপক আলোচনা, বিশ্লেষণ চলছে কিন্তু কোন বিষয়েই ঐকমত্য হচ্ছে না।”
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
মঞ্জু বলেন, “আমরা যে যত কথাই বলি না কেন জনগণ চায় আমরা একটা ঐকমত্যে পৌঁছাই। নাগরিকরা এতদিন যাদেরকে প্রচলিত রাষ্ট্র ব্যবস্থার কাছে ভয়ঙ্করভাবে নির্যাতিত হতে দেখেছেন তারা যখন কার্যত: ক্ষেত্রে সংস্কারে অনাগ্রহী হয় তখন জনগণ কিছুটা হলেও আশাহত হয়।”
“ইতোমধ্যে এনসিসি গঠন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ও প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদসহ কোনো বিষয়েই চূড়ান্ত ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়নি,,” যা খুব দুঃখজনক বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার চাইতেও মর্যাদার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে মঞ্জু বলেন, “তিনি রাষ্ট্রের ঐক্যের প্রতীক। প্রচলিত পদ্ধতিতে একজনকে পায়ে হাত দিয়ে সালাম করলেই রাষ্ট্রপতি হওয়া যায়। সেজন্য আমরা চাই প্রচলিত পদ্ধতির পরিবর্তন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সংসদ সদস্যের বাইরে একটা ইলেকট্রোরাল কলেজ গঠনের প্রস্তাবকে এবি পার্টি সমর্থন করে।”
এর আগে ঐকমত্য কমিশনের সভায় প্রদত্ত বক্তব্যে মঞ্জু রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে দলের অভিমত তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী মেয়াদ সম্পর্কিত আলোচনায় দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক বলেন, “কর্তৃত্ববাদী শাসন কাঠামো আর যাতে ফিরে আসতে না পারে সেই জন্য বাংলাদেশে একজন ব্যক্তি যাতে দুইবারের বেশি বিরামহীনভাবে বা অন্য যেকোনো ভাবে প্রধানমন্ত্রী হতে না পারেন সে ব্যবস্থা প্রবর্তন করা প্রয়োজন।”
দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা প্রবর্তনের বিষয়ে তিনি বলেন,“দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা বাংলাদেশে প্রবর্তনের রাজনৈতিক সংস্কৃতি অনুপস্থিত বলে মনে করলেও জাতীয় ঐকমত্যের স্বার্থে এবি পার্টি তার অবস্থান পরিবর্তন করে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা প্রবর্তনের পক্ষে মত দিয়েছে।”
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ