ভারতের ৩০টি হরপ ড্রোন প্রতিহত ও ধ্বংস করার দাবি করেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। তারা বলেছে, পাকিস্তানের বেসামরিক ও সামরিক স্থাপনায় হামলার উদ্দেশ্যে ড্রোনগুলো পাঠানো হয়েছিল।

পাকিস্তানের আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) বলেছে, রাওয়ালপিন্ডি, গুজরাট, গুজরানওয়ালা, লাহোর, নানকানা, ঘোটকি, করাচির মালিরসহ বিভিন্ন শহরে ড্রোনগুলো দেখা গিয়েছিল। পরে সেগুলো ভূপাতিত করা হয়।

নিরাপত্তা সূত্র বলেছে, নিয়ন্ত্রণরেখার পান্ডো সেক্টরে ভারতীয় সেনাবাহিনী বিনা উসকানিতে গুলি ছুড়েছিল। পাকিস্তানের সেনারা তার কার্যকর জবাব দিয়েছেন। নাঙ্গা তাক এলাকায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর ধ্বংস করা হয়েছে ও অন্য জায়গাতেও তাদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদন অনুসারে, ইসরায়েল অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ হরপ ড্রোন তৈরি করে থাকে। ড্রোনগুলো ঘুরে ঘুরে লক্ষ্য খুঁজে বের করে এবং অপারেটরের নির্দেশ পেলে লক্ষ্যবস্তুর ওপর সরাসরি আঘাত হানে। আঘাত হানার সময় ড্রোনগুলো নিজেকেও ধ্বংস করে দেয়।

পাকিস্তানের সেনাবাহিনী নিশ্চিত করেছে, ড্রোনগুলো ইসরায়েলের তৈরি এবং এতে ব্যবহৃত ইঞ্জিন যুক্তরাজ্যের ইউএভি ইঞ্জিনস লিমিটেড কোম্পানির তৈরি করা।

পাকিস্তানের আইএসপিআর বলছে, গত বুধবার পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় ভারতীয় উড়োজাহাজ, ড্রোন ও সীমান্তচৌকি ধ্বংস হওয়ায় দিল্লি এ ড্রোন হামলার চেষ্টা চালিয়েছে।

আরও পড়ুনভারত হামলায় ইসরায়েলের ড্রোন ব্যবহার করেছে: পাকিস্তান আইএসপিআর০৮ মে ২০২৫

টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদন অনুসারে, ইসরায়েল অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ হরপ ড্রোন তৈরি করে থাকে। ড্রোনগুলো ঘুরে ঘুরে লক্ষ্য খুঁজে বের করে এবং অপারেটরের নির্দেশ পেলে লক্ষ্যবস্তুর ওপর সরাসরি আঘাত হানে। আঘাত হানার সময় ড্রোনগুলো নিজেকেও ধ্বংস করে দেয়।

আরও পড়ুনভারতের পশ্চিম সীমান্তজুড়ে রাতে হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান, দাবি নয়াদিল্লির৬ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল র ধ ব স কর লক ষ য

এছাড়াও পড়ুন:

পাকিস্তানে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে ৫ সেনা নিহত

পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের কেচ জেলার শেরবান্দি এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর ক্লিয়ারেন্স অভিযান চলাকালে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে পাঁচজন সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। একই অভিযানে ‘ভারত-সমর্থিত’ পাঁচজন সন্ত্রাসীও নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। খবর সামা টিভির।

আইএসপিআর এক বিবৃতিতে জানায়, শেরবান্দি এলাকায় সন্ত্রাসীদের আস্তানা ধ্বংসে নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান চালাচ্ছিল। এ সময় একটি ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে সেনাবাহিনীর গাড়ি আঘাতপ্রাপ্ত হয়, এতে পাঁচজন সেনা নিহত হন। 

আরো পড়ুন:

পাকিস্তানকে সহজেই হারিয়ে ‘সুপার ফোরে’ এক পা ভারতের

ব্যাটিং ব্যর্থতায় পাকিস্তানের মামুলি সংগ্রহ

নিহত সেনারা হলেন- ক্যাপ্টেন ওয়াকার আহমদ (লোরালাই), নায়েক আসমাতুল্লাহ (ডেরা গাজী খান), ল্যান্স নায়েক জুনায়েদ আহমদ (সুক্কুর), ল্যান্স নায়েক খান মোহাম্মদ (মারদান) এবং সিপাহী মোহাম্মদ জাহুর (সোয়াবি)।

আইএসপিআর বলেছে, পাকিস্তানের সাহসী অফিসার ও সেনাদের ত্যাগ দেশ থেকে সন্ত্রাস নির্মূলের দৃঢ় সংকল্পকে আরও শক্তিশালী করে।

এদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সহিংসতা বাড়ছে। শুধু গত এক সপ্তাহেই খাইবার পাখতুনখোয়ার বিভিন্ন অভিযানে অন্তত ১৯ জন সেনা নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে খাইবার পাখতুনখোয়ার লালকিলা মাইদান এলাকায় ‘ভারত সমর্থিত সন্ত্রাসী’দের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে সাতজন সেনা সদস্য নিহত হন।

পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, এসব অভিযানে তারা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং অপারেশন চলমান থাকবে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নুরুল হকের ওপর হামলার ঘটনায় জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
  • পাকিস্তানে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে ৫ সেনা নিহত