ময়মনসিংহে কালবৈশাখী ঝড়ে গাছ পড়ে দু’জন নিহত হয়েছেন। রোববার দুপুর ৩টার দিকে সদর উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের মরাকুড়ি বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- মো. সজীব (২৩) ও সুরুজ মিয়া (৬০)। সজীব বাড়েরা এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে ও সুরুজ মিয়া মরাকুড়ি এলাকার মৃত আফসার আলীর ছেলে।
ঘটনার সততা নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.
সজীবের চাচা মো. আজাদ জানান, সজীব গরুর জন্য মাঠে ঘাস কাটতে গিয়েছিল। এ সময় হঠাৎ ঝড় শুরু হলে সে একটি কড়ই গাছের নিচে আশ্রয় নেয়। কিন্তু ঝড়ে গাছটি উপড়ে যায়। এতে সে চাপা পড়ে এবং ঘটনাস্থলে মারা যায়।
সুরুজের ভাতিজা রাসেল জানান, সুরুজ মিয়া বাড়ির পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় আকস্মিক ঝড়ে গাছের একটি ডাল ভেঙে তার মাথায় এসে পড়ে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ইউএনও সমকালকে বলেন, নিহতের পরিবারের সাথে আমাদের যোগাযোগ হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে দাফন কাফনের জন্য কিছু সহযোগিতা করা হয়েছে। পরে আবার তাদের আবেদনের ভিত্তিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার যুক্তিতর্ক অনুষ্ঠিত
মাগুরার আলোচিত শিশু আছিয়া (৮) ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দুই পক্ষের আইনজীবীর মধ্যে যুক্তিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার বেলা ১২টার দিকে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে এ যুক্তিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে কারাগার থেকে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। আগামীকাল মঙ্গলবার আলোচিত এ মামলার আবারও যুক্তিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, বিগত ৮ কার্যদিবস একটানা সাক্ষ্যগ্রহণ ও আসামি শনাক্তকরণ করা হয়। আজ সোমবার যুক্তিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামীকাল আবারও মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হবে। এর আগে এ মামলায় মোট ২৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
যুক্তিতর্কে তিনি বলেন, প্রধান আসামি হিটু শেখের ডিএনএ টেস্ট, ফরেনসিক রিপোর্টে প্রমাণ মিলেছে- সে শিশু আছিয়াকে ধর্ষণ করেছে। এছাড়া সে আদালতে ১৫৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে বলেছে, নিজে ধর্ষণ করেছে। এছাড়া সকল সাক্ষী তার বিপক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছে।
এদিকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী সোহেল আহম্মেদ মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখকে নির্দোষ দাবি করেন। তিনি এটিকে একটি ষড়যন্ত্র আখ্যা দিয়ে মামলার পুনঃতদন্ত দাবি করেন। এসময় হিটু শেখ তার পুত্রবধূ সজীবের স্ত্রী হামিদাকে আটকের আহ্বান জানান। হামিদাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ওই ঘটনায় কে জড়িত তা বের হয়ে যাবে বলেও জানান তিনি। যদিও ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে ঘটনার সাথে তিনি একাই জড়িত বলে স্বীকারোক্তি দেন।
প্রসঙ্গত বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে ধর্ষণের শিকার হয় শিশু আছিয়া। পরে তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা সিমএমএইচে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৩ মার্চ শিশুটি মারা যায়।
এ ঘটনায় শিশু আছিয়ার মা আয়েশা আক্তার আছিয়ার বোনের শ্বশুর হিটু শেখ, ভগ্নীপতি সজীব শেখ, তার ভাই রাতুল শেখ ও হিটু শেখের স্ত্রী রোকেয়া বেগমের নামে মাগুরা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলায় অভিযুক্ত সব আসামিকে গ্রেপ্তার করে ও আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ৪ আসামির ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। বিচারক প্রধান আসামি হিটু শেখকে ৭ দিন এবং অপর তিন আসামির ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে প্রধান আসামি হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন।