নোয়াখালী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ
Published: 11th, May 2025 GMT
আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার ঘোষণার পর নোয়াখালী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টুর বাড়িতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার (১০ মে) রাত ১২টার দিকে নোয়াখালী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে।
গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু আত্মগোপনে আছেন।
আরো পড়ুন:
বিরামপুরে ট্রেনের ধাক্কায় বাবার মৃত্যু, ছেলে হাসপাতালে
আম পাড়তে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু
রবিবার (১১ মে) দুপুরে কথা হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আবদুল ওয়াদুদ পিন্টুর পরিবারের এক সদস্য জানান, শনিবার রাত ১২টার দিকে ৭০-৮০টি মোটরসাইকেল করে আসা লোকজন তাদের বাড়িতে ঢোকেন। প্রতিটি মোটরসাইকেলে দুই তিনজন করে ছিলেন। তারা বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর শুরু করে। এ সময় বাড়িতে থাকা লোকজন একটি কক্ষে আশ্রয় নেন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ফোন দেন।
আবদুল ওয়াদুদ পিন্টুর স্ত্রী সাবরিনা মাহজাবিন জয়ন্তী অভিযোগ করে বলেন, “হামলাকারীরা বাড়ির নিচতলা ও দ্বিতীয় তলায় প্রতিটি কক্ষে ভাঙচুর করে। তারা মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। তার বাড়ির সামনে রাখা তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এক পর্যায়ে নিচ তলায় আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে এই তাণ্ডব চলে।”
তিনি বলেন, “বাড়ির ভাড়াটিয়াদের ঘরেও হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা চলে গেলে আশেপাশের লোকজন এসে আগুন নেভায়।”
তিনি জানান, হামলাকারীদের কাউকে তিনি চিনতে পারেননি। হামলা-ভাঙচুর করে তারা চলে যাওয়ার পর পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
আত্মগোপনে থাকা আব্দুল ওয়াদুদ পিন্টু বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনো হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। বিগত দিনে আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে এ ধরনের কোনো ঘটনা নেই। এ বিষয়ে আমি আইনের আশ্রয় নেব।”
নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো বলেন, “এমন ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। বিএনপি এসব রাজনীতি সমর্থন করে না।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী জেলা আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের কেউ জড়িত নয়। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপনের পর আমরা শহর আনন্দ মিছিল করেছি।”
সুধারাম মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম বলেন, “হামলকারীরা গ্লাস ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।”
ঢাকা/সুজন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আগ ন আওয় ম ল গ র জন ত
এছাড়াও পড়ুন:
মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি
দেশের মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশি টহল, নজরদারি বাড়ানোসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা জোরদারের দাবি জানিয়েছে মানি চেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এমসিএবি)।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমসিএবি এই দাবি জানায়।
‘ঢাকাসহ সমগ্র বাংলাদেশের মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানসমূহে ছিনতাই, ডাকাতিসহ হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি এবং সমগ্র দেশব্যাপী অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসা পরিচালনার প্রতিবাদে’ এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সারা দেশের মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছিনতাই, ডাকাতিসহ হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ড বেড়ে গেছে। তাই নিরাপত্তা নিশ্চিতে কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও এমসিএবির মনোনীত প্রতিনিধি সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠন করতে হবে। এই টাস্কফোর্স অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান চালাবে।
সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—বৈধ মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানে ছিনতাই-ডাকাতির ঘটনার দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ছিনতাই-ডাকাতি হওয়া অর্থ ফেরত দেওয়া বা যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান। বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে হয়রানি বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।
এমসিএবির মহাসচিব গৌতম দে বলেন, ৫ আগস্টের পর মবের নামে সুযোগসন্ধানীরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বৈধ মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলোয় ছিনতাই, ডাকাতিসহ হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। অবিলম্বে এসব কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা জরুরি। একই সঙ্গে ছিনতাই ও ডাকাতি হয়ে যাওয়া অর্থ ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।