আবাসন ভাতা, প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট অনুমোদনসহ তিন দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার উদ্দেশে লংমার্চ ককর্মসূচি শুরু করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।

আজ বুধবার সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে এই লংমার্চ শুরু হয়। এর আগে সকাল ১০টা থেকে একে একে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধিদল ইউজিসিতে যান। কিন্তু ইউজিসি থেকে আশানুরূপ কোনো ঘোষণা না আসায় ‘লংমার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘জুলাই ঐক্য’ সংগঠনের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়।

শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো- আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে; জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাঁটছাট না করেই অনুমোদন করতে হবে; জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে।

লং মার্চে বিশ্ববিদ্যালয়ের সক সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব রাজনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশ নিয়েছে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এই লংমার্চে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা একাত্নতা পোষণ করে সামনের সারিতে মিছিলে যুক্ত হয়েছেন।

এদিকে জবি শিক্ষার্থীদের লংমার্চ আটকাতে তাঁতিবাজার, গুলিস্থানে গোলাপ সাহা মাজারে পুলিশ বিশাল ব্যারিকেড দিয়ে অবস্থান নিয়ে আছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইতিহাসের সর্বোচ্চ কনটেইনার হ্যান্ডলিং করল চট্টগ্রাম বন্দর

কনটেইনার পরিবহনে নতুন রেকর্ড গড়েছে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম। বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এ বন্দর কনটেইনার পরিবহন করেছে প্রায় ৩২ লাখ ৯৬ হাজার টিইইউস। বন্দরের ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ হ্যান্ডলিং। আগের অর্থবছরের তুলনায় এবারে কনটেইনার পরিবহন বেড়েছে প্রায় ৪ শতাংশ।

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের চারটি টার্মিনাল, কমলাপুর ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো (আইসিডি) ও পাঁনগাঁও নৌ টার্মিনালের মাধ্যমে এসব কনটেইনার পরিবহন হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আমদানি, রপ্তানি ও খালি কনটেইনারও।

জিপিএইচ ইস্পাতের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলমাস শিমুল বলেন, বাংলাদেশে কনটেইনার পরিবহনের জন্য দুটি সমুদ্রবন্দর রয়েছে। এর একটি চট্টগ্রামে। আরেকটি মোংলাতে। এর মধ্যে ৯৯ শতাংশ কনটেইনার চট্টগ্রাম বন্দর দিয়েই আনা-নেওয়া করা হয়। মোংলার মাধ্যমে হয় মাত্র ১ শতাংশ। এ অবস্থার পরিবর্তন দরকার। দ্বিতীয় বন্দরকে আরও কার্যকর করা দরকার।

বন্দর সচিব জানান, চট্টগ্রাম বন্দরে এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে সর্বোচ্চ সাড়ে ৩২ লাখ কনটেইনার পরিবহন হয়েছিল। সেই হিসেবে এটা নতুন রেকর্ড। বন্দরের ইতিহাসে এর আগে এত কনটেইনার হ্যান্ডেল হয়নি আর কখনোই।’ 

তিনি জানান, বিদায়ী অর্থবছরে বন্দরের কার্যক্রম নানামুখী বাধার মুখে পড়েছে। অর্থবছরের শেষের দিকে কাস্টমস কর্মকর্তাদের কর্মসূচিসহ কিছু প্রতিবন্ধকতা না থাকলে কনটেইনার পরিবহনের সংখ্যা আরও বাড়ত। ৩৩ লাখের মাইলফলক অল্পের জন্য ছুঁতে পারেনি তারা।  

প্রসঙ্গত ৪৮ বছর আগে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ শুরু করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। তখন থেকে হিসেব করলেও এবার সর্বোচ্চ কনটেইনার হ্যান্ডেল করেছে তারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চট্টগ্রাম বন্দরে কার্গো পণ্য হ্যান্ডলিংয়ে রেকর্ড
  • কনটেইনার পরিবহনে রেকর্ড চট্টগ্রাম বন্দরের
  • ইতিহাসের সর্বোচ্চ কনটেইনার হ্যান্ডলিং করল চট্টগ্রাম বন্দর
  • জবিতে ২৯৮ কোটি টাকার বাজেট পাস
  • ডিএসসিসির বাজেট কমলো ২ হাজার ৯১৯ কোটি টাকা
  • কুলাউড়া পৌরসভায় ৭০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা
  • রাসিকের বাজেট ৮০৬ কোটি টাকা
  • ১১ হাজার কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করবে পিকেএসএফ
  • রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা
  • জাবির বাজেটে ফের উপেক্ষিত গবেষণা ও চিকিৎসা খাত