শাহবাগ থানা ঘেরাও, আসামিদের গ্রেপ্তারে আলটিমেটাম
Published: 16th, May 2025 GMT
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্যকে হত্যার ঘটনার ‘প্রকৃত’ আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শাহবাগ থানা ঘেরাও করা হয়েছে। ‘বাংলাদেশের সাধারণ ছাত্রসমাজ’ ব্যানারে শিক্ষার্থীদের একটি দল প্রায় দেড় ঘণ্টা শাহবাগ থানার সামনে অবস্থান নেন।
‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘খুনি কেন বাইরে, প্রশাসন কী করে’,‘আমার ভাই মরল কেন, শাহবাগ থানা জবাব চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা। পরে আসামিদের গ্রেপ্তারে ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেন তারা। এরপর সেখান থেকে সরে যান শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার সকালে শাহরিয়ার আলম সাম্যের বিভাগ শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সামনে প্রথমে জড়ো হন আন্দোলনকারীরা। সেখান থেকে রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে মিছিল নিয়ে শাহবাগ থানার সামনে অবস্থান নেন। বেলা ১১টার দিকে রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে শাহবাগ থানা ঘেরাও করে রাখেন। বেলা দেড়টা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন। শাহরিয়ার হত্যার সব আসামিকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার, সুষ্ঠু বিচার ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
আন্দোলনকারীদের একটি প্রতিনিধি দল শাহবাগ থানায় আলোচনার জন্য যান। এই দলে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক মু.
শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মশিউর রহমান শুভ বলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রকৃত আসামি গ্রেপ্তার করা না হলে তারা রোববার পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
হুঁশিয়ারি দিয়ে শাহরিয়ারের সহপাঠী তৌফিক-উল ইসলাম বলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রকৃত আসামি গ্রেপ্তার না করলে এই অহিংস আন্দোলন অন্য রূপ নেবে।
শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম মুন্সী বলেন, নির্দলীয় ব্যানারে আমাদের এই কর্মসূচি। শাহরিয়ার আলম সাম্যের লাশ নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল টালবাহানা শুরু করেছে। তাদের মুখ্য দাবি বিভিন্নজনের পদত্যাগ, কিন্তু আমাদের প্রধান দাবি সাম্য হত্যার বিচার। হত্যার ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও সাম্যকে যে ছুরিকাঘাত করেছিল, তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ হব গ থ ন র স মন হত য র
এছাড়াও পড়ুন:
বাঁশখালীতে পরিত্যক্ত ভবনে মিলল যুবকের লাশ
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে মো. মামুন নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত নয়টার দিকে উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের চাঁদপুর বাজার এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত মো. মামুন উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক। তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, পরিত্যক্ত ভবনে লাশটি দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় অবহিত করেন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। নিহত যুবকের শরীরে আঘাতের একাধিক ফোলা চিহ্ন রয়েছে। তবে তা কীসের আঘাত সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে ওই যুবকের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।