গাজীপুরের শ্রীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের জৈনা বাজার এলাকার শিশুতোষ বিদ্যাঘরের সামনে স্পিড ব্রেকার নির্মাণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শুক্রবার (১৬ মে) দুপুরে তারা সড়কটিতে অবস্থান নিয়ে এ কর্মসূচি পালন করেন। ফলে সড়কের দুই পাশে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। আধা ঘণ্টা পর বিক্ষোভকারীরা সরে গেলে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, শিশুতোষ বিদ্যাঘরের পাশে মহাসড়কের ইউটার্নটি ‘মৃত্যুকূপে’ পরিণত হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই সেখানে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) একদিনে দুই দুর্ঘটনায় একজন ভ্যানচালক নিহত ও দুইজন গুরুতর আহত হন।

স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ার বলেন, “মহাসড়কের এই মোড়ে প্রতি মাসেই প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। আমরা বারবার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি, কিন্তু এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। দ্রুত স্পিড ব্রেকার নির্মাণ না হলে দুর্ঘটনা থামবে না।”

আরো পড়ুন:

বাবাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে ট্রাকের ধাক্কায় মেয়ে নিহত 

কিশোরগঞ্জে মোটরসাইকেল-অটোরিকশার সংঘর্ষ, ২ কলেজছাত্র নিহত

স্কুলছাত্র আল আমিন বলেন, “গত বছর এই মোড়েই আমার এক বন্ধুর বাবা ও ভাই মারা যান। আমরা চাই, এখানে স্পিড ব্রেকার ও রাস্তা সংস্কার করা হোক।”

শ্রীপুরের এক স্কুলশিক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, “আমাদের কর্মসূচি প্রশাসনের প্রতি একটি বার্তা। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান চাই আমরা।”

মাওনা হাইওয়ে থানার ওসি মোহাম্মদ আয়ুব আলী বলেন, “স্থানীয়রা আধা ঘণ্টার মতো মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে উভয় পাশে যানজট দেখা দেয়। বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছি।”

ঢাকা/রফিক/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন দ র ঘটন অবর ধ সড়ক র র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

শাপলা তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে দুই ভাই-বোনের মৃত্যু

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডোবা থেকে শাপলা তুলতে গিয়ে দুই ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে জেলা শহরের ভাদুঘরের খাদেমের মাঠের শান্তিনগর এলাকা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত শিশুরা হলো হোসাইন (১১) ও তার বোন জিন্নাত আক্তার (৮)। তারা একই এলাকার আক্কাস মিয়ার সন্তান।

হোসাইন ও জিন্নাতের খালা ইয়াসমিন বেগম বলেন, শান্তিনগর খাদেমের মাঠের পাশে একটি ডোবা থেকে দুই ভাই-বোন প্রায়ই শাপলা তুলতে যেত। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা শাপলা তোলার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু সন্ধ্যা হলেও তারা বাড়িতে ফিরে আসেনি। এলাকার বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তাদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে আজ সকালে বাড়ির পাশের ডোবায় হোসাইন ও জিন্নাতের লাশ ভেসে উঠতে দেখেন স্থানীয় কয়েকজন। পরে তাঁরা ডোবা থেকে ওই দুই শিশুর মরদেহ তুলে বাড়িতে নিয়ে যান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ