টঙ্গী ফ্লাইওভারে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে যুবকের মৃত্যু
Published: 17th, May 2025 GMT
গাজীপুরের টঙ্গী ফ্লাইওভারের ওপরে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে এক প্রাইভেটকার চালকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৬ মে) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। শনিবার (১৭ মে) টঙ্গীর পশ্চিম থানার ওসি ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত গাড়ি চালকের নাম মো. রনজু খাঁ (৩০)। তিনি পাবনা সদর থানার মজিদপুর গ্রামের মো.
নিহতের স্বজনরা জানান, রনজু খাঁ টঙ্গীর সাতাইশ এলাকায় থাকতেন। সেখানে থেকে তিনি রাজধানীর উত্তরায় বসবাসকারী যুমনা গ্রুপের এক কর্মকর্তার গাড়ি চালাতেন। রনজু প্রতিদিন মোটরসাইকেল নিয়ে গাজীপুর থেকে উত্তরায় ওই কর্মকর্তার বাড়িতে যাওয়া আসা করতেন। গত শুক্রবার রাতে দায়িত্ব পালন শেষে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি।
আরো পড়ুন:
চিত্তরঞ্জনকে হত্যার ঘটনায় মামলা, প্রেমিকার বাবা-মা ও ভাবি গ্রেপ্তার
মুন্সীগঞ্জে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার
রাত সাড়ে ১২ টার দিকে টঙ্গী ফ্লাইওভারের ওপর টেশিস কারখানার সামনে পৌঁছালে ছিনতাইকারীরা রনজুর গতিরোধ করে। এসময় বাধা দিলে ছিনতাইকারীরা রনজুর পিঠের নিচের অংশে ছুরিকাঘাত করে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা রনজুকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। রাত ৩টার দিকে চিকিৎসক রনজুকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ছোট ভাই শরিফুল ইসলাম জানান, তার ভাই টঙ্গীর সাতাইশ এলাকায় ভাড়া থেকে উত্তরায় একটি প্রাইভেটকার চালাতেন। বাড়ি থেকে তিনি প্রতিদিন মোটরসাইকেল নিয়ে উত্তরা যাওয়া আসা করতেন। শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হাসপাতাল থেকে লাশ তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
টঙ্গীর পশ্চিম থানার ওসি ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান বলেন, “ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে। এঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য ছ নত ই
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপির তোপের মুখে শিক্ষার্থীরা
ফরিদপুর শহর পরিষ্কারে ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করায় বিএনপির নেতাকর্মীর তোপের মুখে পড়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনার পর বিভিন্ন মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
বিএনপির দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলকভাবে খালেদা জিয়া ও জিয়াউর রহমানের ছবিসংলগ্ন বিএনপির প্রচার-প্রচারণার ব্যানার-ফেস্টুন খুলে ফেলা হয়েছে।
জানা যায়, শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও সড়ক বিভাজকে লাগানো গাছগুলো সংরক্ষণের জন্য গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করেন ফরিদপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এ কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেন ফরিদপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক কাজী রিয়াজ, মুখপাত্র কাজী জেবা তাহসিন, সহ-মুখপাত্র উম্মে হাবিবাসহ অন্য সদস্যরা।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি বেনজির আহমেদ (তাবরিজ)। তিনি লেখেন, ‘শহর পরিষ্কার করার নামে বিএনপির ব্যানার ফেস্টুনে হাত দেওয়া সহ্য করা হবে না। ... ফলাফল ভালো হবে না।’ এ স্ট্যাটাসের পর পরই বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী শিক্ষার্থীদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।
জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র কাজী জেবা তাহসিন বলেন, মূলত সৌন্দর্য বজায় রাখতে এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ব্যানার-ফেস্টুন খোলা হয়েছিল। কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থেকে নয়। এ ঘটনার পর থেকে তাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
ব্যানার-ফেস্টুন খোলার প্রতিবাদে জেলা যুবদলের আয়োজনে গতকাল শনিবার দুপুরে শহরে বিক্ষোভ ও মিছিল করেছে সংগঠনটি। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয় তারা। এ সময় সংগঠনটির সভাপতি রাজীব হোসেনসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বিএনপির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব সোহেল রানা। তিনি বলেন, এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক বা পরিকল্পিত কিছু না। তারা চান, শহর পরিষ্কার থাকুক। এর পরও এটিকে রাজনৈতিকভাবে নেওয়া হলে সংগঠনের পক্ষ থেকে তিনি সবার কাছে ক্ষমা চান।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী ইছা বলেন, ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করা পৌরসভার কাজ। শিক্ষার্থীরা কেন করছে?