রোববার মাউশি ঘেরাওয়ের ঘোষণা শিক্ষকদের
Published: 17th, May 2025 GMT
এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আইবাস ডাবল প্লাস সফটওয়্যারে ইলেকটনিকস ফান্ড ট্রান্সফারে (ইএফটি) জটিলতায় এখনো স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের বেতন ছাড় হয়নি। অনেকে তো জানুয়ারি থেকে বেতন পাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় বিপাকে থাকা এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা আগামীকাল রোববার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) ঘেরাওয়ের ঘোষণা দিয়েছেন।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করার দাবিতে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ এই কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে।
অবস্থান কর্মসূচি থেকে ঘোষণায় বলা হয়েছে, আজ শনিবারের মধ্যে এপ্রিল মাসের বেতন ছাড়া না হলে আগামীকাল রোববার সকাল ১০টায় মাউশি ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। কর্মসূচি থেকে ‘শিক্ষা ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে আসন্ন ঈদুল আজহার আগেই পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা, বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতার দাবি জানানো হয়েছে।
অবস্থান কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে যেসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নেতারা অংশ নেন, তারা নিজেদের নানা বৈষম্যের কথা তুলে ধরেন। আন্দোলনরত শিক্ষকরা বলেন, অগ্রাধিকারভিত্তিতে প্রথমে মাধ্যমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করতে হবে। সব বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ করতে হবে। আর্থিক প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সব বৈষম্য ঘুচিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।
১১ দফা দাবিতে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) সভাপতি অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদের সভাপতিত্বে এবং শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব শামীম আল মামুন জুয়েলের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন গড়সানের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যক্ষ বজলুর রহমান মিয়া, কো-চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবুল বাশার হাওলাদার, হারুনুর রশিদ মজুমদার, শাজাহান খান, হাবিবুর রহমান, আলী আহামেদ, রঞ্জিত কুমার সাহা, অধ্যক্ষ আবুল কাশেম প্রমুখ।
গত ১৭ মে থেকে ১১ দফা দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
শেফালির ‘হার্ডওয়্যার’ ভালো থাকলেও ‘সফটওয়্যার’ ভালো ছিল না: বাবা রামদেব
মানুষ এমন এক জীবন যাপন পদ্ধতি বেছে নিয়েছে যেখানে তার মস্তিষ্ক, চোখ এবং পাকস্থলির ওপর বেশি চাপ প্রয়োগ করছে। আর তাতেই গড় আয়ু পেরোনোর আগেই মরে যাচ্ছে মানুষ—এমনটাই মনে করেন ভারতের বিখ্যাত ইয়োগা গুরু বাবা রামদেব। বলিউডজুড়ে ‘কাঁটা লাগা’ গার্ল শেফালি জরিওয়ালার মৃত্যুর কারণ নিয়ে একদিকে বিতর্ক শুরু হয়েছে অন্যদিকে রামদেব বলছেন, ‘‘শেফালির হার্ডওয়্যার’ ভালো থাকলেও ‘সফটওয়্যার’- ভালো ছিল না। অর্থাৎ বাইরে থেকে শেফালিকে সুস্থ মনে হলেও তিনি ভেতরে ভেতরে অসুস্থ ছিলেন।
পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, শেফালির রক্তচাপ দ্রুত কমে যাওয়ার কারণেই হার্ট অ্যাটাক হয়। তার ফলেই মৃত্যু হয়। রক্তচাপ কমে যাওয়ার কারণ হচ্ছে গ্লুটাথিয়ন নামের এক রাসায়নিক। যা প্রাথমিকভাবে বয়স প্রতিরোধী ওষুধের (অ্যান্টি এজিং) মধ্যে পাওয়া যায়। শেফালির বাড়ি থেকেও বার্ধক্য প্রতিরোধকারী ওষুধের ২টি বাক্স খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। ফলে সেই ওষুধের প্রভাবেও হঠাৎ কমে যেতে পারে রক্তচাপ।
অ্যান্টি এজিং ক্রিম ব্যবহার ভালো না মন্দ সেই বিতর্কে না গিয়ে রামদেব বলেছেন, ‘‘মানুষের স্বাভাবিক গড় আয়ু ১০০ বছর নয়, বরং ১৫০ থেকে ২০০ বছর।’’
আরো পড়ুন:
স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসা চলাকালে করণীয়
স্ক্রিন টাইম কমানোর জন্য এই অ্যাপগুলো ব্যবহার করতে পারেন
বাবা রামদেব বলেন, ‘‘মানুষ নিজের মস্তিস্ক, চোখ, পাকস্থলীর ওপর প্রয়োজনের চেয়ে বেশি চাপ দিয়ে ফেলে। যে খাবার ১০০ বছরে একজন মানুষের খাওয়া উচিত, সেই খাবারই মাত্র ২৫ বছরে খেয়ে নেয় মানুষ।’’
এই যোগগুরুর বষয় ৬০ বছর পেরিয়েছে। কিন্তু তিনি যথেষ্ট সুস্থ আছেন বলে দাবি করেছেন। কেবলমাত্র সঠিক খাবার গ্রহণ এবং জীবনধারণের জন্যই সুস্থ আছেন বলেও জানিয়েছেন রামদেব।
রামদেবে মতে কেবলমাত্র বাইরে থেকে নয়, প্রকৃত সুস্থ থাকার অর্থ ভেতর থেকেও সবল থাকা। সুস্থ থাকার জন্য তাই নিজের জীবনে সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট থাকতে হবে। খাদ্যাভাস, আচার ব্যবহার, সব কিছুর ওপরেই সুস্থ থাকা নির্ভরশীল।
ঢাকা/লিপি