পিকনিকের ট্রলারডুবি, নিখোঁজ চালকের লাশ উদ্ধার
Published: 18th, May 2025 GMT
মাদারীপরে আড়িয়াল খাঁ নদে পিকনিকের ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ সুমন সিপাহীর (২৫) মরদেহ উদ্ধার করেছেন স্থানীয়রা।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে সদর উপজেলার রাজারচর এলাকার নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়। তিনি ওই ট্রলারের চালক ছিলেন।
আরো পড়ুন: মাদারীপুরে পিকনিকের ট্রলার ডুবে চালক নিখোঁজ, উদ্ধারে অভিযান
আরো পড়ুন:
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া হলো না, পোড়া দেহ পড়েছিল পুকুরে
পল্লী বিদ্যুতের সাব-স্টেশন থেকে অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার
ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের বাহেরচর কাতলা এলাকার যুবকরা আড়িয়াল খাঁ নদে পিকনিকের আয়োজন করে। রাতে ফেরার পথে বাহেরচর কাতলা এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে পিকনিকের ট্রলারটির ধাক্কা লাগে। এতে ট্রলারটি ডুবে যায়।
স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে অন্য ট্রলারের সহযোগিতায় সবাইকে উদ্ধার করলেও নিখোঁজ ছিলেন ট্রলার চালক কালু সিপাহীর ছেলে সুমন সিপাহী। শনিবার (১৭ মে) সকালে নিখোঁজ সুমনকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। তবে, তারা তাকে উদ্ধার করতে পারেনি। আজ সকালে সদর উপজেলার রাজারচর এলাকা থেকে সুমনের লাশ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।
মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক মো.
ঢাকা/বেলাল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর নদ উদ ধ র
এছাড়াও পড়ুন:
কমিশনারসহ এনবিআরের আরো ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক
ঘুষ নিয়ে কর ফাঁকির সুযোগ করে দেওয়া, ঘুষ না দিলে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক কমিশনারসহ আরো পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুদকের ডেপুটি ডিরেক্টর (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “এনবিআরের ঢাকা পূর্বের কমিশনার (কাস্টমস এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট) কাজী মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, বেনাপোল স্থলবন্দরের কমিশনার মো. কামরুজ্জামান, উপ কর-কমিশনার মো. মামুন মিয়া, অতিরিক্ত কর কমিশনার (আয়কর গোয়েন্দা ইউনিট) সেহেলা সিদ্দিকা ও কর অঞ্চল-২ এর কর পরিদর্শক লোকমান আহমেদের বিরুদ্ধে কর ফাকিসহ নানা অভিযোগে এই অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে।
আরো পড়ুন:
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে দুদকের অভিযান
এস আলম ও পিকে হালদারসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের ৩ মামলা
দুদক জানায়, কতিপয় অসাধু সদস্য ও কর্মকর্তা কর ও শুল্ক আদায়ের ক্ষেত্রে মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে করদাতাদের কর ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তারা নিজেরা লাভবান হওয়ার জন্য নির্ধারিত পরিমাণ কর আদায় না করে তাদের করের পরিমাণ কমিয়ে দিতেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে প্রতি বছর সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে কর্মকর্তারা ঘুষ না পেয়ে কর ফাঁকি দেওয়ার মিথ্যা মামলা করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিককে হয়রানি করেন বলেও অভিযোগ আছে।
এর আগে একই অভিযোগে গতকাল আরো ৫ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। যাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে তারা হলেন- অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল রশীদ মিয়া, সদস্য লুতফুল আজীম, সিআইসির সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, উপ-কর কমিশনার মোহাম্মদ শিহাবুল ইসলাম ও যুগ্ম কমিশনার মো. তারেক হাছান।
এর আগে গত ২৯ জুন এনবিআরের ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধানের সিদ্ধান্তের কথা জানায় দুদক। যাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে তারা হলেন-এনবিআরের সদস্য (আয়কর নীতি) এ কে এম বদিউল আলম, অতিরিক্ত কর কমিশনার ও এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি মির্জা আশিক রানা, যুগ্ম কর কমিশনার ও এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ মোরশেদ উদ্দীন খান, যুগ্ম কর কমিশনার ও এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতি মোনালিসা শাহরীন সুস্মিতা, অতিরিক্ত কমিশনার ও এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাছান তারেক ও অতিরিক্ত কমিশনার ও সংস্কার ঐক্য পরিষদের সদস্য সাধন কুমার কুন্ডু।
গত মাসে এনবিআরে সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে আন্দোলন হয়।
দুদকের অনুসন্ধানে এ পর্যন্ত তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তাদের অধিকাংশ অন্দোলনে জড়িত ছিল।
বৃহস্পতিবার যে অনুসন্ধানের তালিকায় যে পাচজনের নাম এসেছে সেহেলা সিদ্দিকা আন্দোলনের সময় ঐক্য পরিষদের মুখপাত্র ছিলেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ