বাংলাদেশের ৩ জলদস্যুকে গ্রেপ্তারের দাবি ভারতীয় পুলিশের
Published: 18th, May 2025 GMT
বাংলাদেশের তিন জলদস্যুকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ। রবিবার কলকাতা সংলগ্ন নিউটাউন ও ব্যারাকপুরের রহড়া এলাকা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, এস এম মেহেদি হাসান,মজনু গাজী ও মো. কামাল শেখ।
পুলিশ জানিয়েছে, কুখ্যাত জলদস্যু হিসাবে বাংলাদেশ পুলিশের কাছেও তিনজন মোস্ট ওয়ান্টেড। এদের কাছ থেকে একটি ওয়ান শাটার ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে রহড়া থানার পুলিশ। রবিবার তাদের বারাকপুর আদালতে তোলা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের হেফাজত চেয়েছে পুলিশ। জলদস্যুরা কবে , কেন আর কোন পথে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে, ভারতে তাদের কে বা কারা সহযোগিতা করেছে এবং ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পিছনে তাদের উদ্দেশ্য কি তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিটের ভূমি অধিগ্রহণে জালিয়াতি, মামলার অনুমোদন
প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ভূমি অধিগ্রহণের ৪ কোটি ৭১ লাখ ৭৬ হাজার ৪১৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মো. রিয়াজ উদ্দীন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুদকের ডেপুটি ডিরেক্টর আকতারুল ইসলাম (জনসংযোগ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (লাইন-১) অধীন রূপগঞ্জ উপজেলার পিতলগঞ্জ মৌজায় ডিপো এক্সেস করিডোর নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়। জালিয়াতির মাধ্যমে মো. রিয়াজ উদ্দীন নামে এক ব্যক্তি প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তার ভূমি অধিগ্রহণের নামে সরকারি কোষাগার থেকে ৪ কোটি ৭১ লাখ ৭৬ হাজার ৪১৮ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।
আরো পড়ুন:
ফেনীতে ছাত্র হত্যা: শেখ হাসিনাসহ ২২১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
নূরের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা, ১২ বছর পর তোলা হলো আবু বকরের দেহাবশেষ
দুদক জানায়, অভিযুক্ত ব্যক্তি রিয়াজ সংশ্লিষ্ট জমির মূল দলিল হারিয়ে গেছে মর্মে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানায় পাঁচটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরবর্তীতে তিনি সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে ওই দলিলগুলোর সার্টিফায়েড কপি উত্তোলন করে ভূমি অধিগ্রহণ অফিসে জমা দেন এবং ক্ষতিপূরণের টাকা উত্তোলন করেন।
শুধু তাই নয়, ওই রিয়াজের বিরুদ্ধে বড় ধরনের প্রতারণার প্রমাণও পেয়েছে দুদক। সে তার জমি ইতোপূর্বে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (সোনালী ব্যাংক) কাছে বন্ধক রাখে এবং বন্ধকী দলিল এখনো কার্যকর রয়েছে।
প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করায় মো. রিয়াজ উদ্দীনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৪০৬/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারায় মামলার অনুমোদন করা হয় বলে দুদক জানায়।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/মেহেদী