শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও ‘বড় পরিবর্তন’ আনা যায়নি বলে যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য ইকোনমিস্ট যে মন্তব্য করেছে, সে বিষয়ে গণঅভ্যুত্থান সমর্থকদেরও অনেকে একমত হবেন। যেমন, রোববার প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরও বলেছেন, ‘দীর্ঘ ৯ মাসে রাষ্ট্রের কোনো গুরুত্বপূর্ণ পরিসরেই কোনো দৃশ্যমান ইতিবাচক পরিবর্তন নেই’ (প্রথম আলো, ১৮ মে ২০২৫)। দু’একটি ক্ষেত্র বাদে ‘অন্তর্বর্তী সরকারের পারফরম্যান্স’ যে সন্তোষজনক নয়, সেটাও তিনি বলেছেন।
ইকোনমিস্টে এমন কিছু বলা হয়নি, যা দেশের সাধারণ পরিসরেও আলোচিত হচ্ছে না। তবে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ তাৎপর্যপূর্ণ। বিশ্বের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যমগুলো অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎকারও কম নিচ্ছে না। এতে বোঝা যায়, বাংলাদেশের ঘটনা প্রবাহে তাদের দৃষ্টি রয়েছে। বড় জটিলতা কাটিয়ে আইএমএফ ঋণের কিস্তি লাভের খবরেও বাংলাদেশ আলোচনায় আসবে। সবকিছুর পরও এ দেশের অর্থনীতির ওপর উন্নয়ন সহযোগীদের আস্থার নির্দেশক বলে বিবেচিত হবে এটি।
অন্তর্বর্তী সরকার ২ জুন বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছে। আগামী বছরের জুন পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকলে তাদেরই এটা বাস্তবায়ন করতে হবে। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হলে বাজেটের প্রায় অর্ধেকটা বাস্তবায়ন করবে নির্বাচিত সরকার। এ কারণেও কেমন বাজেট হতে যাচ্ছে, তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ হওয়া উচিত সরকারের। তেমন প্রক্রিয়া পরিলক্ষিত হচ্ছে না। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে হচ্ছে সংস্কারের সুপারিশ নিয়ে সংলাপ। দ্বিতীয় পর্যায় শেষে ‘জুলাই চার্টার’ হওয়ার কথা। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সাময়িকী এতে যে জটিলতা দেখতে পেয়েছে, সেটা আমরাও কম লক্ষ্য করছি না। সংস্কারের কিছু ‘মৌলিক প্রশ্নে’ রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা যাচ্ছে না। তবে সরকার বলে রেখেছে, ঐকমত্য না হলে কোনো সুপারিশই বাস্তবায়ন করবে না।
সরকার তার ‘মেয়াদ’ সম্পর্কেও ধারণা দিয়ে রেখেছে। এ নিয়ে উত্তপ্ত আলোচনা হতো না, দেশটা সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হলে। যে ধরনের গণঅভ্যুত্থান ঘটে গেছে, তারপর সুষ্ঠুভাবে দেশ পরিচালনার সুযোগ তেমন নেই বলে অবশ্য মত রয়েছে। এ মতাবলম্বীরা মাথায় রাখতে বলেন অন্যান্য দেশের গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী পরিস্থিতি। তাদের একাংশ আবার এ কারণেই দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে পরিস্থিতিকে ‘সুশৃঙ্খল’ করার ওপর জোর দেন। সংখ্যাগরিষ্ঠের ইচ্ছা অনুযায়ী গঠিত সরকারের মাধ্যমেই সম্ভাব্য সব পরিবর্তন আনা ভালো বলে তাদের অভিমত। গত ৯ মাসের অভিজ্ঞতা এমন মতকে জোরালো করেছে, বললে ভুল হবে না।
কী পরিস্থিতিতে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছিল, তা সবার জানা। সরকারপ্রধান হিসেবে তাঁকে না পেলে সেই পরিস্থিতি মোকাবিলা অনেক কঠিন হতো বলে যারা মনে করেন, তাদেরও একাংশ হালে সরকারের কম সমালোচনা করছেন না। সরকারের ব্যর্থতার জন্য সরাসরি মুহাম্মদ ইউনূসও সমালোচিত হচ্ছেন। গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়ার সুবাদে সরকারে যোগদানকারী তরুণ উপদেষ্টাদের নিয়ে সমালোচনা অবশ্য শুরু থেকেই ছিল। সরকারে থেকে তাদের রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়াও সমালোচিত। প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে তাদের প্রতি সমর্থনের প্রকাশ ঘিরেও কম সমালোচনা হয়নি।
এমন একটি সরকার মাঠে থাকা সব রাজনৈতিক দলের সমর্থন ধরে রেখে ‘নিরপেক্ষভাবে’ কাজ করতে পারার কথা নয়। এদিকে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে স্বভাবতই মতপার্থক্য রয়েছে। পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে কোনো কোনো দল ও পক্ষের। তারা মনে করছে, সরকার বিশেষ পক্ষের ইচ্ছানুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে। সরকার গঠনের ক’মাস পর থেকেই ক্রমে প্রকাশ্যে তুলে ধরা হচ্ছে এ বক্তব্য। প্রতিদিনের কাজে ব্যর্থতার পাশাপাশি এ কারণেও সরকারের জনসমর্থন ক্ষয়ে যাচ্ছে, বললে ভুল হবে না। এ অবস্থাতেই মাঠে এসেছে উপদেষ্টাদের একাংশের সুদীর্ঘকাল ক্ষমতায় থেকে যাওয়ার জল্পনা। তাদের কারও কারও ‘অসতর্ক বক্তব্য’ও এতে ঘৃতাহুতি দিচ্ছে।
রাজপথে দাবি আদায়ে অবরোধ ও জনভোগান্তি প্রতিদিনের ঘটনা। ৯ মাসেও সরকার পুলিশকে সক্রিয় করতে পারেনি, যার সাক্ষাৎ প্রতিফলন রয়েছে অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে। এন্তার অভিযোগ থাকলেও একটি সক্ষম পুলিশ বাহিনী যে প্রয়োজন– মাঠে থাকা সেনাবাহিনীর তরফ থেকেও তা বলা হচ্ছে। গণঅভ্যুত্থানের পর বিক্ষোভ মোকাবিলায় প্রশাসনিক শক্তি প্রয়োগের মাত্রাটি হচ্ছে বিশেষভাবে আলোচিত। প্রশাসন কেন সব বিক্ষোভ একইভাবে মোকাবিলা করছে না– উঠছে সে প্রশ্নও। এতে কার্যত সরকারের বিরুদ্ধে বৈষম্যের অভিযোগ বাড়ছে, যেটি আবার এসেছে একটি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে সরকার। আইসিটিতে দল হিসেবে বিচার সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত এটা কার্যকর থাকবে। আগামী নির্বাচনেও দলটি সম্ভবত অংশ নিতে পারছে না। ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে অবশ্য সঠিকভাবেই বলা হয়েছে, তাদের একটি সমর্থক গোষ্ঠী রয়েছে দেশে। এর আকার যে তুচ্ছ নয়– এটা গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীরাও স্বীকার করেন। দলটির নিরপরাধ সমর্থকদের সঙ্গে ‘রিকনসিলিয়েশন’-এর তাগিদও অনুভব করেন অনেকে। হালে আইন উপদেষ্টা এ বিষয়ে খোদ সরকারের ভাবনা প্রকাশ করেছেন। বৃহত্তর স্বার্থে এটি অনস্বীকার্য। তার আগে অবশ্য প্রয়োজন নির্বাচন বিষয়ে মাঠে থাকা পক্ষগুলোর সংশয় কাটানো। তাদের কেউ যেন মনে না করে, নির্বাচন দূরে সরে যাচ্ছে কিংবা নির্বাচন হলেও তা সুষ্ঠু হবে না।
উল্লিখিত সাক্ষাৎকারে সম্পাদক সঠিকভাবেই বলেছেন, ‘সংস্কারের নামে নির্বাচন প্রলম্বিত করা কিংবা নির্বাচনের নামে সংস্কার প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন তৈরি করা ঠিক হবে না।’ সংস্কার-বিষয়ক সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলোর ‘ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি’র প্রশংসা করেছেন খোদ প্রধান উপদেষ্টা– এমন খবর আমরা পেয়েছি ঐকমত্য কমিশনের অন্যান্য সদস্যের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের পর। বাছাইকৃত সুপারিশের অনেক প্রশ্নেই দলগুলো একমত। এটা লক্ষণীয় বৈকি। সংস্কার বিষয়ে রাজনৈতিক দলের সংশ্লিষ্ট টিমগুলো পরিশ্রমও কম করছে না। এটা এক নতুন পরিস্থিতি। সংস্কার কার্যক্রম টিকিয়ে রাখার অভিজ্ঞতা অবশ্য খারাপ। তবে আশা করা যায়, নজিরবিহীন গণঅভ্যুত্থান এ প্রক্রিয়াকে নির্বাচনের পরও সজীব রাখবে। কিন্তু ‘সংস্কারের নামে’ সৃষ্ট পরিস্থিতিকে সুশৃঙ্খল করার কাজে বিলম্ব গ্রহণযোগ্য নয়।
মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমাতে পারলেও অন্তর্বর্তী সরকার যে অর্থনীতিতে গতি আনতে ব্যর্থ, সেটা বলেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সাময়িকীটি। এটা সরকারও অস্বীকার করছে না। অর্থনীতির তথ্য-উপাত্ত বিকৃত করা হচ্ছে না বলেও সরকারের দাবি। স্থবির হয়ে আসা অর্থনীতিকে সরকার যথাসম্ভব সচল করার পদক্ষেপ নিক আসছে বাজেটে। এ প্রত্যাশাও থাকবে, সব পক্ষের আস্থা পুনরুদ্ধারে দ্রুতই সক্রিয় হবে সরকার। সংস্কার প্রক্রিয়ার পাশাপাশি নির্বাচন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে আলাদা টিম গঠন করে রাজনৈতিক সংলাপ শুরু করতে পারে সরকার। তাতে কিছুদিন পরপর সামনে আসা অশুভ গুজবেরও অবসান হবে। জনগণের সামনে রাজনৈতিক উত্তরণের ছবিটি স্পষ্ট করা গেলে এর প্রভাব সর্বস্তরের বিনিয়োগেও গিয়ে পড়বে বলে আশা।
হাসান মামুন: সাংবাদিক, কলাম লেখক
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গণঅভ য ত থ ন ন উপদ ষ ট প রক র য পর স থ ত সরক র র ত সরক র প রক শ র প রক অবশ য
এছাড়াও পড়ুন:
রাষ্ট্র সংস্কার না হলে দেশ অন্ধকারে ঢেকে যাবে: এবি পার্টি
আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) আয়োজিত জুলাই গণঅভ্যুত্থান উদযাপনের অংশ হিসেবে "কোটা না মেধা: এক রক্তস্নাত অধিকারের সংগ্রাম' শীর্ষক ৩৬ দিনব্যাপী চিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়েছে।
বুধবার (২ জুলাই) বিকেল ৪টায় এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ ড. দিলারা চৌধুরী।
এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। প্রদর্শনী চলবে বুধবার থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জুর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসাইনের সঞ্চালনায় চিত্রপ্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান, শহীদ জিসানের মা জেসমিন আক্তার, শহীদ নুরু ব্যাপারীর স্ত্রী রোমানা বেগমসহ বিশিষ্টজনেরা।
প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দিলারা চৌধুরী বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা এখনো কোন গান, সিনেমা, নাটক কিছুই সুন্দরভাবে করতে পারিনি। হাজার শহীদের রক্তের বিনিময়ে মানুষ মুক্তি পেল সেটাকে আমাদের ধরে রাখতে হবে, যেভাবেই হোক। এত ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ের পর দেশে যদি কোনো সংস্কার না হয়, আগের ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থাই যদি চলতে থাকে তাহলে শহীদদের স্বজন কিংবা আহত, পঙ্গুত্ববরণকারীদের আমরা কি জবাব দেব।”
তিনি বলেন, “রাষ্ট্র সংস্কার যদি সম্ভব না হয়, আবারো নতুন কোন ফ্যাসীবাদের কবলে পড়ি তাহলে আমার ভয় হয়, দেশ একটা গভীর অন্ধকারে ঢেকে যাবে।”
তিনি সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গঠনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমরা এই গণঅভ্যুত্থান যদি ধরে রাখতে না পারি এর ভুক্তভোগী আপনাদেরই হতে হবে।”
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, “ক্ষমতার মোহে অন্ধ ও চরম অহঙ্কারী হয়ে শেখ হাসিনা কোটা নিয়ে জাতির সাথে উপহাস করতে চেয়েছিল।সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহর ইচ্ছায় তাঁর অহঙ্কারের চরম শিক্ষা অবধারিত হয়ে পড়ে। ফলে জঘন্যতম নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালিয়েও তার শেষ রক্ষা হয়নি।”
জুলাইয়ের নির্মমতা স্মরণ করে তিনি বলেন, “এ গণহত্যা পৃথিবীর যেকোনো পৈশাচিক দুঃশাসনের ইতিহাসকে ম্লান করেছে। গুম, খুন, লুটপাট, হেলিকপ্টার থেকে গুলি, কারফিউ জারিসহ সব ধরনের অত্যাচার চালিয়ে জনগণকে দমন করার চেষ্টা হয়েছে।”
“জুলাই ৩৬ দিনের নৃশংসতা যেই দেখবে সে-ই বলবে, বিশ্বে শেখ হাসিনার চাইতে নির্দয় নারী ঘাতক আর হতে পারে না। তিনি শেখ হাসিনাসহ সব খুনি ও সহযোগীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।”
ডা. জাহেদুর রহমান বলেন, “পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গেছে এখন মনে হয় খুনি হাসিনার কাছে ক্ষমা চাই। তিনি এমন নির্লজ্জ খুনি এখনো ভারতে বসে দেশের মানুষকে হুমকি দিচ্ছে, যারা আন্দোলন করেছে, প্রোফাইল লাল করেছে তারা ক্ষমা চাইলে তিনি ক্ষমা করবেন। কতবড় আস্ফালন, এখনো খুনিরা দেশের মানুষকে হুমকি দেয়।”
তিনি চিত্র প্রদর্শনীর দেখে বলেন, “জুলাই নিয়ে গান হওয়া দরকার, সিনেমা হওয়া দরকার, হাজার হাজার ছবি সব জায়গায় প্রদর্শন হওয়া উচিত।”
শহীদ জিসানের মা জেসমিন আক্তার বলেন, “আমার ছেলে আব্দুর রহমান জিসান রায়েরবাগ শহীদ হন। জিসানের শহীদের পর তার শোক ও দুঃখে তার স্ত্রী আত্মহত্যা করে। আমার একসাথে দুটি সন্তান হারাতে হয়েছে। জিসান ছিল আমার একমাত্র ছেলে। আমি খুনি হাসিনার বিচার চাই।”
শহীদ নুরু ব্যাপারীর স্ত্রী রোমানা বেগম বলেন, “আমার স্বামী রায়েরবাগে শহীদ হন।পরিস্থিতি এমন ছিল আমার স্বামীর লাশটাও তখন আমি আনতে পারিনি।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম, লে. কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভুইয়া, আনোয়ার সাদাত টুটুল, এবিএম খালিদ হাসান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হালিম খোকন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব সেলিম খানসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ