‘রেইড’ সিনেমার সিক্যুয়েল নিয়ে ফিরেছেন বলিউড অভিনেতা অজয় দেবগন। গত ১ মে ভারতের ৪ হাজার পর্দায় মুক্তি পেয়েছে ‘রেইড টু’।

এ সিনেমায় অজয়ের বিপরীতে অভিনয় করেছেন বাণী কাপুর। চলতি বছর এখন পর্যন্ত মুক্তিপ্রাপ্ত বলিউড সিনেমার মধ্যে প্রথম দিনে তৃতীয় সর্বোচ্চ আয় করেছে ‘রেইড টু’। এ তালিকার প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ‘ছাবা’ (২৯ কোটি রুপি) ও ‘সিকান্দার’ (২৫ কোটি রুপি)।

২০১৮ সালে মুক্তি পায় ‘রেইড’ সিনেমা। সেই বছরের মুক্তিপ্রাপ্ত হিন্দি সিনেমার মধ্যে প্রথম দিনে তৃতীয় অবস্থানে ছিল সিনেমাটি। বক্স অফিসের সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে যাত্রা শুরু করে রাজ কুমার গুপ্তা নির্মিত এই সিনেমা। মুক্তির প্রথম চারদিন বক্স অফিসে ভালো সাড়া ফেলে। তারপর বক্স অফিসে ওঠানামা করতে থাকে সিনেমাটি। সময়ের সঙ্গে এই আয় কমছে।

আরো পড়ুন:

মায়ের ‘টিপ টিপ বারসা পানি’ গানে নেচে ভাইরাল রাশা

হেরা ফেরি থ্রি: এবার সরে দাঁড়ালেন পরেশ রাওয়াল

স্যাকনিল্কের তথ্য অনুসারে, মুক্তির প্রথম দিনে ‘রেইড টু’ সিনেমা ভারতে আয় করে ১৯.

২৫ কোটি রুপি (নিট), দ্বিতীয় দিনে ১২ কোটি রুপি (নিট), তৃতীয় দিনে ১৮ কোটি রুপি (নিট), চতুর্থ দিনে ২২ কোটি রুপি (নিট), পঞ্চম দিনে আয় করে ৭.৭৫ কোটি রুপি (নিট), ৬ষ্ঠ দিনে আয় করে ৭ কোটি রুপি (নিট), সপ্তম দিনে আয় করে ৪.৭৫ কোটি রুপি (নিট), অষ্টম দিনে আয় করে ৫.২৫ কোটি রুপি (নিট), নবম দিনে আয় করে ৫ কোটি রুপি (নিট), দশম দিনে আয় করে ৮.২৫ কোটি রুপি (নিট), ১১ তম দিনে আয় করে ১১.৭৫ কোটি রুপি (নিট)।

১২ তম দিনে আয় করে ৪.৮৫ কোটি রুপি (নিট), ১৩ তম দিনে আয় করে ৪.৫ কোটি রুপি (নিট), ১৪ তম দিনে আয় করে ৩.২৫ কোটি রুপি (নিট), ১৫ তম দিনে আয় করে ৩ কোটি রুপি (নিট), ১৬ তম দিনে আয় করে ৩ কোটি রুপি (নিট), ১৭ তম দিনে আয় করে ৪.২৫ কোটি রুপি (নিট), ১৮ তম দিনে আয় করে ৫.৬৫ কোটি রুপি (নিট), ১৯ তম দিনে আয় করে ২.৩৫ কোটি রুপি (নিট)।

সিনেমাটি শুধু ভারতে আয় করেছে ১৭৭.৬ কোটি রুপি (গ্রস)। বিদেশে আয় করে ২৪ কোটি রুপি। যার মোট আয় দাঁড়িয়েছে ২০১.৬ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৮৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকা)।

‘রেইড টু’ সিনেমার আইটেম গানে কোমর দুলিয়েছেন তামান্না ভাটিয়া। সিনেমা মুক্তির কয়েক দিন আগে টি-সিরিজের ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পায় ‘নাশা’ শিরোনামের গানটি। এতে কণ্ঠ দিয়েছেন— জেসমিন স্যান্ডলাস, সচেত ট্যান্ডন, দিব্যা কুমার, সুমন্ত মুখার্জি। বরাবরের মতো এ গানও দারুণ সাড়া ফেলেছে।

‘রেইড’ সিনেমায় অজয়ের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন ইলিয়ানা ডিক্রজ। তবে দ্বিতীয় পার্টে তার জায়গা নিয়েছেন বাণী কাপুর। ‘রেইড টু’ সিনেমায় আরো অভিনয় করেছেন— রীতেশ দেশমুখ, রজত কাপুর, সুপ্রিয়া পাঠক প্রমুখ। তাছাড়া সিনেমাটির বিশেষ চরিত্রে জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ ও হানি সিং অভিনয় করেছেন। ‘রেইড’ সিনেমার বাজেট ছিল ৭০ কোটি রুপি। সিক্যুয়েলে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২০ কোটি রুপিতে।

ঢাকা/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র অজয় দ বগন ২৫ ক ট তম দ ন প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

দুই শীর্ষ তালেবান নেতার বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) আফগানিস্তানের তালেবানের দুই শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে দেশটির নারী ও কিশোরীদের নানাভাবে দমন–পীড়নের অভিযোগ আনা হয়েছে।

আইসিসি গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, আফগানিস্তানে ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় আসে। এর পর থেকে দেশটিতে নারী ও কিশোরীদের প্রতি যে আচরণ করা হয়েছে, তাতে তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা এবং দেশটির প্রধান বিচারপতি আবদুল হাকিম হাক্কানির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগের ‘যুক্তিসংগত ভিত্তি’ রয়েছে।

তালেবান ক্ষমতায় আসার পর নারী ও কিশোরীদের ওপর একের পর এক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ১২ বছরের বেশি বয়সী মেয়েদের পড়াশোনার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং অনেক চাকরি থেকে নারীদের বিরত রাখা।

আফগানিস্তানে পুরুষ অভিভাবক ছাড়া নারীরা কত দূর ভ্রমণ করতে পারবে, সে বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করেছে তালেবান। এমনকি জনসমক্ষে নারীদের কথা বলার বিষয়েও নির্দেশনা জারি করেছে তারা।

এক বিবৃতিতে আইসিসি জানিয়েছে, আফগানিস্তানের জনগণের ওপর কিছু নিয়ম ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তালেবান। তবে তারা নারী ও কিশোরীদের বিশেষভাবে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে এবং তাদের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করেছে। জাতিসংঘ এসব বিধিনিষেধকে ‘লিঙ্গবৈষম্য’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তালেবান। তারা বলেছে, তালেবান এই আদালতকে স্বীকৃতি দেয় না। আদালতের এমন পরোয়ানাকে ‘সুস্পষ্ট শত্রুতামূলক পদক্ষেপ’ এবং ‘বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের বিশ্বাসের প্রতি অপমান’।

তালেবান সরকারের দাবি, তারা আফগানিস্তানের সংস্কৃতি ও ইসলামি আইন অনুযায়ী নিজস্ব ব্যাখ্যার ভিত্তিতে নারীদের অধিকারকে সম্মান করে।

গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের মতো গুরুতর অপরাধের তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে কাজ করে আইসিসি। কোনো দেশ এই অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে না পারলে বা বিচার করতে না চাইলে আইসিসি এ উদ্যোগ নেয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ