বলিউডের আলোচিত অভিনেত্রী উর্বশী রাউতেলা। মাঝে মাঝে ফ্যাশনেবল ও ব্যয়বহুল পোশাক পরে আলোচনার জন্ম দেন। আর এসব ছবি ভক্তদের কাছে পৌঁছে দিতে বেছে নেন সোশ্যাল মিডিয়া। কয়েক মাস আগে বিলাসবহুল গাড়ি কিনে আলোচনায় উঠে আসেন এই নায়িকা।
এবারের ৭৮ তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে আবেদনময়ী লুকে রূপের দ্যুতি ছড়িয়েছেন উর্বশী রাউতেলা। কানের লাল গালিচায় যে গাউন, জুয়েলস, অ্যাকসেসরিস ব্যবহার করেছেন উর্বশী রাউতেলা; তার মোট মূল্য ১৫৫.
ইন্ডিয়া টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, উর্বশী রাউতেলা ২৩৬ কোটি রুপির (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৩৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকার বেশি) মালিক। যদিও টেলি চক্কর, ডিএনএ, ডেকান ক্রনিকলের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, উর্বশী রাউতেলা ৫৫০ কোটি রুপির (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭৮৪ কোটি ৬২ লাখ টাকার বেশি) মালিক।
শুধু অভিনয় নয়, বিজ্ঞাপন, মডেলিং, সোশ্যাল মিডিয়া প্রমোশন, আন্তর্জাতিক প্রজেক্ট থেকেও মোটা অঙ্কের অর্থ আয় করে থাকেন উর্বশী। ইনস্টাগ্রামে তার অনুসারী ৭২ মিলিয়নের বেশি। এর আগে ৩ মিনিটের একটি আইটেম গানে পারফর্মের জন্য উর্বশী ৩ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন।
বলিউড লাইফের তথ্য মতে, উর্বশী রাউতেলা বেশ কিছু বিলাসবহুল গাড়ির মালিক। তার গ্যারেজে শোভা পাচ্ছে ফেরারি পোর্টোফিনো। এ গাড়ির মূল্য ৩.৫ কোটি রুপি। তা ছাড়াও রয়েছে— অডি কিউ৭ (৮০-৯০ লাখ রুপি), ল্যাম্বরগিনি অ্যাভেন্টাডোর (৬ কোটি রুপি), বিএমডব্লিউ ৭ সিরিজ (১.৮৩ কোটি রুপি), মার্সিডিজ বেঞ্চ এস ক্লাস (১.৭১ কোটি রুপি)।
উর্বশী অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘ডাকু মহারাজ’। গত ১২ জানুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় তেলেগু ভাষার এই সিনেমা। এর কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন দক্ষিণী সিনেমার বরেণ্য অভিনেতা নান্দামুরি বালাকৃষ্ণা। গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র রূপায়ন করেন উর্বশী রাউতেলা। সিনেমাটির ‘দাবিডি ডিবিডি’ শিরোনামের গানে নেচে বিতর্কের মুখে পড়েন তিনি। তবে বক্স অফিসে বেশ সাড়া ফেলে সিনেমাটি।
এখন পর্যন্ত সুন্দরী প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বেশি বিজয়ী হওয়ার রেকর্ড রয়েছে উর্বশীর দখলে। পাশাপাশি বলিউডের ‘সিং সাব দি গ্রেট’, ‘সনম রে’, গ্রেট গ্র্যান্ড মাস্তি’, ‘হেট স্টোরি ফোর’, ‘পাগলপান্তি’ প্রভৃতি সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই অভিনেত্রী।
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আবার ‘লাস্ট মিনিট শো’, জন্মদিনের রাতে স্লটকে জয় উপহার ফন ডাইকের
লিভারপুল ৩–২ আতলেতিকো মাদ্রিদ
জন্মদিনের রাতে এর চেয়ে ভালো উপহার আর কী হতে পারে!
রেফারি শেষ বাঁশি বাজাতেই মাঠে ঢুকে পড়লেন আর্নে স্লট। লিভারপুলের সমর্থকেরা তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে থাকলেন, দল জেতায় অভিনন্দনও জানালেন। মুখে চওড়া হাসি নিয়ে হাত নেড়ে স্লট সেই অভিবাদনের জবাব দিলেন।
ভার্জিল ফন ডাইকের সঙ্গে আলিঙ্গনের সময় স্লটকে একটু বেশিই খুশি মনে হলো। কারণ, লিভারপুল অধিনায়ক ফন ডাইক ত্রাতার ভূমিকায় আবির্ভূত না হলে তাঁর বিশেষ রাতটা যে অনেকটাই পানসে হয়ে যেত!
২০২৫–২৬ মৌসুমে শেষ মুহূর্তে জয়সূচক গোল করাকে অভ্যাস বানিয়ে ফেলেছে লিভারপুল। যেটিকে বলা হচ্ছে লাস্ট মিনিট শো, কয়েকটি সংবাদমাধ্যম নাম দিয়েছে স্লট টাইম।
এবার সেই শো–এর নায়ক ফন ডাইক। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে তাঁর হেডারেই আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ড্রয়ের পথে থাকা ম্যাচটা ৩–২ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়নস লিগে শুভসূচনা করল লিভারপুল।
এ নিয়ে এই মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচ জিতল লিভারপুল। সবকটি ম্যাচে অলরেডরা জয়সূচক গোল করল ৮০ মিনিটের পর; এর তিনটিই যোগ করা সময়ে।