নিরাপত্তা প্রহরীর কক্ষে মিলল বিদেশি পিস্তল ও গুলি
Published: 22nd, May 2025 GMT
কুমিল্লার নগরীর একটি বহুতল ভবনের নিরাপত্তার প্রহরীর কক্ষ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করেছে যৌথবাহিনী। তবে পিস্তলের মালিক সরকার মুস্তাফিজুর রহমান ওরফে ওয়াফিকে গ্রেপ্তার করেতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বুধবার সন্ধ্যায় সেনাবাহিনী ও র্যাব অভিযান চালিয়ে পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র জানায়, নগরীর থিরাপুকুরপাড় রোডের গোল্ডেন টাওয়ারের নিরাপত্তা প্রহরীর কক্ষ থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে নিরাপত্তারক্ষী হাফিজ আহমেদ স্বীকার করেছেন যে, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও নগরীর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর রাজিউর রহমান রাজিবের ভাতিজা সরকার মুস্তাফিজুর রহমান ওরফে ওয়াফি পিস্তলটি তার কক্ষে রেখে পালিয়ে যান। ওই সময় ওয়াফির সঙ্গে আরও দু’জন সহযোগীও ছিলেন। অস্ত্র উদ্ধারের পর থেকে ওয়াফিসহ তার সহযোগীদের খুঁজছে বলে জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পলাতক সরকার মুস্তাফিজুর রহমান ওরফে ওয়াফি (২৪) একই ভবনের বাসিন্দা। তার বাবার নাম এএসএম মোহসিন সরকার।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জানান, ৫ আগস্টের আগে ওয়াফি আওয়ামী লীগ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি গোল্ডেন টাওয়ারে অবস্থান করছিলেন এবং ভবনের ছাদে মাদক সেবন করতেন নিয়মিত। তাকে আটক করতে যৌথবাহিনীর অভিযান চলছে।
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা রাজিউর রহমান মন্তব্য করতে রাজি হননি।
কোতোয়ালি থানার ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, যৌথ বাহিনীর অভিযানে পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় অস্ত্র আইনে মামলা হবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
টেকনাফের অপহরণকারীদের সঙ্গে যৌথ বাহিনীর গোলাগুলি, অপহৃত একজনকে উদ্ধার
কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড়ের আস্তানায় ডাকাত ও অপহরণকারীদের সঙ্গে যৌথ বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে অপহরণের শিকার এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি বেশ কিছু দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও মাদক জব্দ করেছে যৌথ বাহিনী।
আজ রোববার দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশনের ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সালাহউদ্দিন রশীদ তানভীর। তিনি জানান, অপহরণকারীদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ব্যক্তির নাম মো. সোহেল (২০)। তিনি টেকনাফ পৌরসভার নতুন পল্লান পাড়ার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।
লে. কমান্ডার সালাহউদ্দিন রশীদ তানভীর বলেন, গতকাল শনিবার মধ্যরাতে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোরা–সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় একদল দুর্বৃত্ত বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ অবস্থান করছে এমন সংবাদ পায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে কোস্টগার্ড ও পুলিশের একটি যৌথ দল সেখানে অভিযান চালায়। এতে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা যৌথ বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে অতর্কিতে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। আত্মরক্ষার্থে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছোড়েন। গোলাগুলির একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা রাতের অন্ধকারে গহিন পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়।
পরে দুর্বৃত্তদের গোপন আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে ১টি জি-৩ রাইফেল, ২টি বিদেশি পিস্তল, ৩টি দেশে তৈরি বন্দুক, ৩ হাজার ১০০টি রাইফেলের গুলি, ১৪টি পিস্তলের গুলি, ১ কেজি আইস মাদক (ক্রিস্টাল মেথ) ও ৪ লিটার দেশি মদ উদ্ধার করা হয়। এ সময় দুর্বৃত্ত চক্রের হাতে জিম্মি থাকা একজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা অস্ত্র ও মাদক টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করে মামলার প্রস্তুতি চলছে।