ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় গত সাত দিনে যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৫৮ জনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ, মাদকদ্রব্য ও সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত চোরাই মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলমান পরিস্থিতিতে দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। এরই অংশ হিসেবে ১৫ থেকে ২১ মে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীন ইউনিটগুলো অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে।

এসব অভিযানে হত্যা মামলার পলাতক আসামি, অবৈধ অস্ত্রধারী, তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, চোরাকারবারি, কিশোর গ্যাং সদস্য, অবৈধ মাটি উত্তোলনকারী, মাদক ব্যবসায়ী, মাদকাসক্ত ও দালাল চক্রের সদস্যসহ ২৫৮ জনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযানে ১৪টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ১০৫টি বিভিন্ন ধরনের গুলি, বিপুল পরিমাণ মাদক, দেশি অস্ত্র, চোরাই মুঠোফোন ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়। আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশব্যাপী জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী নিয়মিত টহল ও নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণে সেনা টহল দল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। পাশাপাশি দুর্ঘটনাজনিত অগ্নিকাণ্ডে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে সেনাসদস্যরাও সরাসরি অগ্নিনির্বাপণে অংশ নিয়েছেন।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। একই সঙ্গে সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে কাছের সেনা ক্যাম্পে তথ্য দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‎পূজাকে  ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি

‎নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল  সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।

সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে  একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য। 

সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের  গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র‍্যাব, বিজিবি,  সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।

‎‎মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর)  শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

‎দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।

‎‎জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।

‎‎এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।

‎‎তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।

‎‎এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‎পূজাকে  ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
  • নুরুল হকের ওপর হামলার ঘটনায় জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
  • ১৭ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ, নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুই হাজার সদস্য
  • ফরিদপুরে অবরোধ শনিবার পর্যন্ত স্থগিত
  • আসন্ন নির্বাচনে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের