সাকিবের দারুণ বোলিং, জিতে ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখল লাহোর
Published: 23rd, May 2025 GMT
পাকিস্তান সুপার লিগে আগের ম্যাচে ব্যাট হাতে গোল্ডেন ডাক ও বল হাতে ২ ওভারে ১৮ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন সাকিব। তবে বৃহস্পতিবার রাতে এলিমিনেটর ম্যাচে লাহোর কালান্দার্সের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন তিনি। মাত্র ১ ওভারে ৪ রান দিয়ে তুলে নেন একটি মূল্যবান উইকেট।
সাকিব ছাড়াও দুর্দান্ত বোলিং করেছেন হারিস রউফ ও শাহীন শাহ আফ্রিদি। রউফ ৪ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট, আর শাহীন ৪ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। তাদের কৃপণ বোলিং এবং ব্যাটসম্যানদের জমাট ব্যাটিংয়ে দারুণ জয় পেয়েছে লাহোর। এই জয়ে ফাইনালে যাওয়ার আশা টিকে রইল দলটির।
এলিমিনেটর ম্যাচে করাচি কিংস প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে তোলে ১৯০ রান। জবাবে লাহোর ১৮.
আরো পড়ুন:
প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে গোল্ডেন ডাক ও উইকেটশূন্য সাকিব
‘রাজনীতিতে আসা ভুল ছিল না, নির্বাচন করলে আবার জিতব’
ব্যাট হাতে লাহোরের আব্দুল্লাহ শফিক ৩৫ বলে ৩টি চার ও ৫টি ছক্কায় করেন ৬৫ রান। ফখর জামান ২৮ বলে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় করেন ৪৭ রান। এছাড়া কুসল পেরেরা ১টি চার ও ২টি ছক্কায় করেন ৩০ রান। আর ১২ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় অপরাজিত ২৩ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ভানুকা রাজাপাকসে।
বল হাতে করাচির হাসান আলী ৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট।
তার আগে অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারের ৫২ বলে ৮টি চার ও ৩টি ছক্কায় করা ৭৫ রানের ইনিংসে ভর করে করাচি ১৯০ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায়। ওয়ার্নার ছাড়া খুশদিল শাহ অপরাজিত ২৭, ইরফান খান ১৮, টিম সেইফার্ট ১৬ ও মোহাম্মদ নবী করেন ১৬ রান।
ম্যাচসেরা নির্বাচিত হয়েছেন লাহোরের হয়ে ফিফটি করা আব্দুল্লাহ শফিক।
আজ দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের মুখোমুখি হবে লাহোর। এই ম্যাচে জয় পেলে রোববার ফাইনালে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের বিপক্ষে শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে নামবে শাহীন আফ্রিদির নেতৃত্বাধীন দলটি।
ঢাকা/আমিনুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ক ব আল হ স ন উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রফি নিয়ে উল্লাস মোহামেডানের
দুই ম্যাচ হাতে রেখেই শিরোপা নিশ্চিত করেছিল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। আজ ছিল সেই অর্জনের উৎসবের দিন। ট্রফি হাতে নিয়ে গ্যালারির সামনে সমর্থকদের সঙ্গে উদযাপন করেছেন সাদা-কালো বাহিনীর খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফরা।
ম্যাচ শেষে সবাই পরে নেন বিশেষভাবে বানানো টি-শার্ট, যেখানে লেখা ছিল ‘উই আর দ্য চ্যাম্পিয়ন’। সেখানে উল্লেখ ছিল ক্লাবের প্রতিষ্ঠার পর ১৯৫৭ সাল থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত ঘরে তোলা প্রতিটি শিরোপার সাল। পতাকা হাতে খেলোয়াড়রা ছুটে যান গ্যালারির সামনে। ইমানুয়েল, দিয়াবাতেরা মাঠে উৎসব করতেই গ্যালারিতে উড়তে থাকে স্মোক ফ্লেয়ার, কনফেত্তি। ধর্মসাগর পাড়ে গড়া হয়ে যায় এক স্মরণীয় বিকেল।
আজকের ম্যাচে মাঠের পারফরম্যান্সে শিরোপা জয়ী দলটির তেমন কোনো চাপ ছিল না। আগের ম্যাচে রহমতগঞ্জের কাছে হেরে যাওয়া দলটি আজ ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ৩-৩ গোলে ড্র করে মৌসুম শেষ করে। তবে ফলাফলের চেয়েও বড় হয়ে ওঠে ম্যাচ শেষে উৎসবমুখর পরিবেশ। চ্যাম্পিয়নদের গলায় ঝুলে পদক, হাতে ওঠে ট্রফি।
শিরোপা জয়ের ট্রফি মোহামেডানের অধিনায়ক সুলেমান দিয়াবাতের হাতে তুলে দেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহ-সভাপতি ইমরুল হাসান ও নির্বাহী সদস্য জাকির হোসেন চৌধুরী।
দিনটি বিশেষ ছিল আরও একটি কারণে। ব্রাদার্সের গোলকিপার আশরাফুল ইসলাম রানা আজই মাঠকে বিদায় জানালেন। ৪৩তম মিনিটে মাঠ ছাড়েন জাতীয় দলের সাবেক এই গ্লাভস হাতে লড়াই করা প্রহরী। বিরতিতে তাকে স্মরণীয় বিদায় জানানো হয়। মোহামেডানের গোলকিপিং কোচ ছাইদ হাছান কানন, বাফুফের জাকির হোসেন চৌধুরী, ব্রাদার্স ম্যানেজার আমের খান এবং আবাহনীর সাবেক ফুটবলার নজরুল ইসলাম রানার হাতে তুলে দেন বিদায়ী ক্রেস্ট।
এদিকে দিনের অপর ম্যাচে ইয়ংমেনস ফকিরেরপুল ২-১ গোলে হারায় ঢাকা ওয়ান্ডারার্সকে। এই হারের ফলে অবনমন নিশ্চিত হয়ে গেছে ওয়ান্ডারার্সের।