আগামী বিশ্বের প্রযুক্তিনির্ভর চাকরির বাজারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এআই) প্রভাব ও সম্ভাবনা নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটিতে (আইএসইউ) সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) আইএসইউ কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের উদ্যোগে এ আয়োজনটি অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এমন একটি প্রযুক্তি যা শিল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যাংকিংসহ প্রায় সব খাতেই ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসছে। শুধু কর্মক্ষেত্রই নয়, আমাদের জীবনধারাতেও এর প্রভাব পড়ছে। সবাই এআই ব্যবহার করে নিজেকে আরো বেশি সমৃদ্ধ করতে পারে। ভবিষ্যতের চাকরি বাজারে টিকে থাকতে হলে এখন থেকেই এআই বিষয়ে জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তারা।

সেমিনারে বক্তব্য দেন আইএসইউ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো.

আবুল কাশেম, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মো. হাকিকুর রহমান এবং একই বিভাগের শিক্ষক সৈয়দ মুস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী।

বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভয়েস অব আমেরিকার ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক অমৃত মলঙ্গী, নেটকম লার্নিং বাংলাদেশের লার্নিং কন্সালটেন্ট মো. রাফিকুল ইসলাম।

এ আয়োজনে পার্টনার হিসেবে ছিল নেটকম লার্নিং পাওয়ার্ড বাই মাইক্রোসফট। এছাড়া শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।

‘এজেন্ট এক্স’ প্রোগ্রামের আওতায় আয়োজিত এই সেমিনারে অংশগ্রহণকারীরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, প্রম্পট ইঞ্জিনিয়ারিং এবং এআই এজেন্ট তৈরির সম্ভাবনা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা লাভ করেন। শিক্ষার্থীদের মধ্যে এআই দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আগামী প্রজন্মকে যুগোপযোগী করে প্রস্তুত করাই ছিল এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য।

ঢাকা/সুমন/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক ত র ম ব দ ধ মত ত

এছাড়াও পড়ুন:

২ অক্টোবর থেকে সচিবালয়ে নিষিদ্ধ হচ্ছে ‘সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক’ সামগ্রী: মন্ত্রিপরিষদ সচিব

আগামী ২ অক্টোবর থেকে সচিবালয়ে ক্ষতিকর ‘সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক (একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক)’ পণ্যসামগ্রীর ব্যবহার বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আবদুর রশীদ। তিনি বলেন, এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসজুড়ে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রস্তুতির জন্য সময় দেওয়া হবে এবং প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে নির্দেশনা দেওয়া হবে।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ‘সাসটেইনেবল প্লাস্টিক ইউজ ইন দ্য সেক্রেটারিয়েট: আ ফিউচার ফর সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ফ্রি এনভায়রনমেন্ট’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ কথাগুলো বলেন। পরে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়।

শেখ আবদুর রশীদ বলেন, প্লাস্টিক দূষণ একটি বৈশ্বিক সমস্যা। একে মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগোতে হবে। মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকেও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় আনতে হবে। শুধু নিজেদের স্বার্থেই নয়, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এই পদক্ষেপ নিতে হবে।

সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহিনা আহমেদ বলেন, সচিবালয়ে ‘সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক’ নিষিদ্ধ করতে পরিবেশ মন্ত্রণালয় দ্রুত একটি বাস্তবসম্মত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেবে।

সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন অর্থ বিভাগের সচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, জাতিসংঘের শিল্প উন্নয়ন সংস্থার এ দেশীয় প্রতিনিধি জাকি উজ জামান। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ফাহমিদা খানম।

প্রসঙ্গত, পরিবেশ সুরক্ষা ও দূষণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার ইতিমধ্যে ১৭ ধরনের সামগ্রীকে ‘সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকের তৈজসপত্র, চকলেটের মোড়ক, প্লাস্টিকের দাওয়াত কার্ড ও ব্যানার, পাতলা প্লাস্টিক মোড়কযুক্ত পণ্য, প্লাস্টিক বোতল ও ক্যাপসহ বিভিন্ন সামগ্রী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ