কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গুরুত্ব নিয়ে আইএসইউতে সেমিনার
Published: 23rd, May 2025 GMT
আগামী বিশ্বের প্রযুক্তিনির্ভর চাকরির বাজারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এআই) প্রভাব ও সম্ভাবনা নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটিতে (আইএসইউ) সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) আইএসইউ কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের উদ্যোগে এ আয়োজনটি অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এমন একটি প্রযুক্তি যা শিল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যাংকিংসহ প্রায় সব খাতেই ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসছে। শুধু কর্মক্ষেত্রই নয়, আমাদের জীবনধারাতেও এর প্রভাব পড়ছে। সবাই এআই ব্যবহার করে নিজেকে আরো বেশি সমৃদ্ধ করতে পারে। ভবিষ্যতের চাকরি বাজারে টিকে থাকতে হলে এখন থেকেই এআই বিষয়ে জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তারা।
সেমিনারে বক্তব্য দেন আইএসইউ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো.
বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভয়েস অব আমেরিকার ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক অমৃত মলঙ্গী, নেটকম লার্নিং বাংলাদেশের লার্নিং কন্সালটেন্ট মো. রাফিকুল ইসলাম।
এ আয়োজনে পার্টনার হিসেবে ছিল নেটকম লার্নিং পাওয়ার্ড বাই মাইক্রোসফট। এছাড়া শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।
‘এজেন্ট এক্স’ প্রোগ্রামের আওতায় আয়োজিত এই সেমিনারে অংশগ্রহণকারীরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, প্রম্পট ইঞ্জিনিয়ারিং এবং এআই এজেন্ট তৈরির সম্ভাবনা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা লাভ করেন। শিক্ষার্থীদের মধ্যে এআই দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আগামী প্রজন্মকে যুগোপযোগী করে প্রস্তুত করাই ছিল এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য।
ঢাকা/সুমন/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক ত র ম ব দ ধ মত ত
এছাড়াও পড়ুন:
৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের ভারতীয় জলসীমায় গ্রেপ্তার ১৩ বাংলাদেশি
মাত্র দুইদিনের ব্যবধানে আবারো ভারতীয় জলসীমা লঙ্ঘন করার অভিযোগে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে আটক করা হয়েছে বাংলাদেশি ট্রলার। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মায়ের দোয়া নামক ওই ট্রলারে মোট ১৩ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি বাংলাদেশি ওই ফিশিং ট্রলারটি বাজেয়াপ্ত করেছে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী।
উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফে সংবাদমাধ্যমকে বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের আটক এর ব্যাপারে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। তবে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বাজেয়াপ্ত ট্রলার ও ১৩ জন মৎস্যজীবীকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অন্তর্গত ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার হাতে ইতিমধ্যেই তুলে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তাদের আদালতে তোলা হবে।
আরো পড়ুন:
জলবায়ু পরিবর্তনে বদলাচ্ছে রোগের চিত্র, বাড়ছে বিরল সংক্রমণ
অজিতের পারিশ্রমিক ২৪১ কোটি টাকা!
এর আগে গত সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সুন্দরবনের ভারতীয় অংশে জলসীমা অতিক্রম করার অভিযোগে আটক করা হয় ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবিকে। ধৃত মৎসজীবীরা বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার পুরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি ‘এফবি ঝড়’ এবং ‘এফবি মঙ্গলচণ্ডী ৩৮’ নামে দুটি ভারতীয় ফিশিং ট্রলারের ৩৪ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে আটক করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। পরবর্তীতে মোংলা থানার পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়। পাল্টাপাল্টি মৎস্যজীবী আটকের ঘটনায় দুই দেশের তরফেই ফের কূটনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। তবে মৎসজীবীদের প্রত্যর্পণের বিষয়ে দুই দেশের এখনো কোনোপ্রকার আলোচনা শুরু হয়নি বলেই দূতাবাস সূত্রের খবর।
ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ