রাশিয়ার ওরিওলে দেশটির একটি এমআই-৮ সামরিক প্রশিক্ষণ চলাকালে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে। এর ফলে হেলিকপ্টারটিতে থাকা সব ক্রু নিহত হয়েছেন।

রুশ সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, শুক্রবার (২৩ মে) মস্কো থেকে প্রায় ৩৬৮ কিলোমিটার (২২৯ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে ওরিওল অঞ্চলে দুর্ঘটনাটি ঘটে। 

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতিতে বলেছে, “হেলিকপ্টারটি একটি নির্জন এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। ভূমিতে কেউ হতাহত হননি। হেলিকপ্টারে থাকা ক্রুরা বেঁচে থাকতে পারেননি। দুর্ঘটনার প্রাথমিক কারণ হিসেবে কারিগরি ত্রুটিকে বিবেচনা করা হচ্ছে।”

আরো পড়ুন:

রাশিয়া-ইউক্রেন ‘অবিলম্বে’ যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরু করবে: ট্রাম্প

শান্তি আলোচনার পর ইউক্রেনে সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা রাশিয়ার

হেলিকপ্টারটিতে ক্রু সদস্যদের সংখ্যা বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়নি।

রাশিয়ান অ্যারোস্পেস ফোর্সেস দুর্ঘটনার তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে একটি দল পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছে।

ওরিওল গভর্নর আন্দ্রে ক্লিচকভ দুর্ঘটনাস্থলে জরুরি সেবা ও পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপত্তা সম্পর্কে আশ্বস্ত করেছেন এবং অনুরোধ করেছেন যেন কেউ দুর্ঘটনাস্থলের ছবি বা ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার না করেন।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ম ন ব ধ বস ত দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

হত্যা মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন সাত দিনের রিমান্ডে

যুবদলের কর্মী আরিফ সিকদার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ বুধবার বিকেলে রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আজিজুল হক।

পিপি আজিজুল হক প্রথম আলোকে বলেন, হাতিরঝিল থানায় দায়ের করা যুবদল কর্মী আরিফ সিকদার হত্যা মামলায় সুব্রত বাইনকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত তাঁর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ২৮ মে হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় গ্রেপ্তার সুব্রত বাইনের আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

২৭ মে কুষ্টিয়া থেকে সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলী ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদকে গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনী। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাজধানী থেকে সহযোগী শুটার আরাফাত ও শরীফকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অভিযানের সময় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে পাঁচটি বিদেশি পিস্তল, ১০টি ম্যাগাজিন, ৫৩টি গুলি ও একটি স্যাটেলাইট ফোন উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করতেন বলে জানিয়েছে অভিযানসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।

সম্পর্কিত নিবন্ধ