গাঁজা সেবনকালে বন্ধুদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা-মারধর, পরে গলায় রশি পেঁচিয়ে শুভকে হত্যা: পুলিশ
Published: 25th, May 2025 GMT
নরসিংদীতে গাঁজা সেবনের সময় বন্ধুদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা, মারধরের একপর্যায়ে শুভ মিয়া নামে এক তরুণকে হত্যা করে তার বন্ধুরা। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আজ রোববার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নরসিংদীর পুলিশ সুপার এস এম মোস্তাইন হোসেন।
নিহত শুভ সদর উপজেলার শেখেরচর মোল্লাপাড়া এলাকার মানিক মিয়ার ছেলে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- শেখেরচর মোল্লাপাড়া এলাকার জাকির হেসেনের ছেলে হাবিবুর রহমান, একই উপজেলার কুড়েরপাড় এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে কবির হোসেন এবং পলাশ উপজেলার কুমারটেক এলাকার জালাল মিয়ার ছেলে আহম্মাদ নাঈম। তারা বন্ধুরা মিলে একসঙ্গে মাদক সেবন করতো।
পুলিশ সুপার জানান, ৬ এপ্রিল রাতে সদর উপজেলার খিদিরপুর টেকপাড়া এলাকায় ব্রিজের পাশে নিহত শুভ, হাবিবুর, কবির, নাঈম ও তাদের অন্য এক বন্ধু গাঁজা সেবন করছিলেন। সেবনের একপর্যায়ে শুভর সঙ্গে হাবিবের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে শুভকে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন হাবিবুর। এ সময় কবির, নাঈম ও অন্য আরেক বন্ধুও শুভকে মারতে শুরু করেন। মারধরের একপর্যায়ে পাশে পড়ে থাকা রশি দিয়ে শুভর গলায় পেঁচিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। পরে মরদেহ পাশের একটি ডোবায় ফেলে যায় চার বন্ধু।
এ বিষয়ে নরসিংদী মডেল থানায় মামলা হলে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানার কাঁচপুর এলাকা থেকে হাবিবুর রহমান ও কবির হোসেনকে এবং বুধবার চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানার নায়েরগাঁও এলাকা থেকে নাঈমকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর আসামিরা আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: নরস দ উপজ ল র এল ক র
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে কিশোর নিহত, গ্রেপ্তার ৪
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে মো. আব্দুল্লাহ খান রায়হান (১৬) নামের এক কিশোর নিহত হয়েছেন। শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে সিদ্ধিরগঞ্জের দক্ষিণ কদমতলী ডিএন্ডডি লেকপাড় হৃদয়ের ক্লাবের সামনে। এ ঘটনায় আজ শনিবার সকালে অভিযান চালিয়ে হ্রদয় (৩০), মো. সাব্বির (১৮), মো. আতিক (২২) ও মো. আলামিন (২০) নামের চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মাদ শাহীনুর আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন৷ তিনি জানান, নিহত রায়হান তার বাবার সঙ্গে এসি সার্ভিসিংয়ের কাজ করতো। ঘটনার দিন বিকেলে তিনি তার বন্ধুদের সঙ্গে ডিএনডি লেকপাড়ের ক্লাব চত্বরে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় পূর্বশত্রুতার জেরে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘবদ্ধ একটি কিশোর গ্যাং তাদের ওপর চড়াও হয়।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা রায়হান ও তার বন্ধুদের এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকে। একপর্যায়ে পাইটু হৃদয় নামে একজন ছুরি দিয়ে রায়হানের বাম বুকে আঘাত করে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে দ্রুত সুফিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাকে নারায়ণগঞ্জ খাঁনপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হলে। সেখান থেকে তাকে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় রায়হানের বাবা মো. সামিম খান বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৭-৮ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এজাহারে যাদের নাম উল্লেখ রয়েছে তারা হলো- পাইটু হৃদয় (১৫), মেহেদী (১৫), শুভ (১৫), মো. হৃদয় (৩০), মো. সাব্বির (১৮), মো. আতিক (২২), মো. জাহিদ (১৮) ও আল-আমিন (২০)। তাদের অনেকেই দক্ষিণ কদমতলীতে বিভিন্ন বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করেন।