কেএনএফের ইউনিফর্ম উদ্ধার, গার্মেন্টস মালিকসহ ৩ জন গ্রেপ্তার
Published: 25th, May 2025 GMT
চট্টগ্রাম মহানগরের বায়েজিদ থানাধীন নয়ারহাট এলাকার একটি পোশাক কারখানায় পার্বত্য চট্টগ্রামের সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ইউনিফর্ম তৈরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় পুলিশ বিপুল সংখ্যক ইউনিফর্ম উদ্ধার করার পাশাপাশি কারখানার মালিকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গত ১৭ মে রাতে রিংভো অ্যাপারেলস থেকে ইউনিফর্মগুলো জব্দ করা হয়। আজ রবিবার (২৫ মে) ঘটনা জানাজানি হয়। তবে এই ঘটনায় পুলিশের দায়িত্বশীল কেউ বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।
গ্রেপ্তাররা হলেন, সাহেদুল ইসলাম, গোলাম আজম ও নিয়াজ হায়দার। এর মধ্যে সাহেদুল ইসলাম ওই পোশাক কারখানার মালিক।
আরো পড়ুন:
বরিশাল জেলা ছাত্রদল নেতাকে বহিষ্কার
মাদকসেবন নিয়ে ঝগড়ায় শুভকে খুন করে বন্ধুরা : পুলিশ
বায়েজিদ থানার নয়াহাট এলাকায় অবস্থিত রিংভো অ্যাপারেলস নামে পোশাক কারখানায় কেএনএফ-এর ইউনিফর্ম তৈরির খবর পায় পুলিশ। গত ১৭ মে রাতে এই কারখানায় অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। এ সময় কারখানা থেকে বিপুল পরিমাণ ইউনিফর্ম উদ্ধারের পাশাপাশি গ্রেপ্তার করা হয় কারখানার মালিকসহ তিনজনকে। ১৮ মে চারজনকে আসামি করে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় মামলা দায়ের করা হয়। নগর গোয়েন্দা পুলিশের এসআই ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা করেন। বায়েজিদ বোস্তামী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত মার্চ মাসে ইউনিফর্মগুলো তৈরির কাজ দিয়েছিলেন গোলাম আজম ও নিয়াজ হায়দার। তারা মংহ্লাসিং মারমা প্রকাশ মং নামের একজনের কাছ থেকে দুই কোটি টাকা চুক্তিতে ইউনিফর্ম তৈরির কাজ নেন। মংহ্লাসিংকে কেএনএফ সদস্যরা তাদের কাপড়ও দিয়ে যায়। চলতি মাসে এসব ইউনিফর্ম সরবরাহের কথা ছিল।
পুলিশের বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেছে, রিংভো অ্যাপারেলস থেকে ২০ হাজার ৩০০ পিস ইউনিফর্ম উদ্ধার করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের মুখপাত্র উপপুলিশ কমিশনার মাহমুদা বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বর্তমানে তিনি স্টেশনের বাইরে রয়েছেন।
ঢাকা/রেজাউল/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ধর্ষণচেষ্টা মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ
ঢাকার ধামরাইয়ে ধর্ষণচেষ্টা মামলা তুলে নিতে বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। এ ছাড়া গত সোমবার আসামির ভাই ডিবির এসআই সঞ্জয় কুমার বসাকের বিরুদ্ধে পুলিশের মহাপরিদর্শক বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ধামরাই উপজেলার সুতিপাড়া ইউনিয়নের বেলিশ্বর গ্রামের রতন বসাক, অভিনাশ বর্মণ, রাজীব বসাক, রাধেশ্যাম ঘোষ এক গৃহবধূকে গত ৯ মার্চ কলাগাছের পাশে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় সে সময় থানায় মামলা করতে গেলে মামলা নেয়নি পুলিশ। পরে ২০ মার্চ আদালতে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন ওই গৃহবধূ। মামলাটি তুলে নেওয়ার জন্য আসামি রাজীব বসাকের আপন ভাই মুন্সীগঞ্জে কর্মরত ডিবি পুলিশের এসআই সঞ্জয় বসাক গত ২৮ জুন সকাল ১০টার দিকে বেলিশ্বর কালীমন্দিরের সামনে বাদীকে গালাগাল ও প্রাণনাশের হুমকি দেন। এ ঘটনায় বাদী গত ৬ জুলাই এসআই সঞ্জয় বসাকের বিরুদ্ধে ধামরাই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এর পর সোমবার পুলিশ মহাপরিদর্শক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন তিনি।
মামলার বাদী বলেন, ‘এক আসামির ভাই পুলিশের এসআই সঞ্জয় বসাকের হুমকির কারণে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
মামলার সাক্ষী প্রকাশ চন্দ্র বসাকের ভাষ্য, তিনি ধর্ষণচেষ্টা মামলার সাক্ষী হওয়ায় আসামিরা তাঁর বাড়িতে হামলা চালিয়ে বৈদ্যুতিক মিটার ভাঙচুর করেছে। পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি তাঁর।
হুমকি দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মুন্সীগঞ্জে কর্মরত ডিবি পুলিশের এসআই সঞ্জয় বসাক বলেন, ‘যারা অভিযোগ করেছেন তাদের সঙ্গে আমার দুই বছরেও দেখা হয়নি। হুমকি দেব কিভাবে?’
এ বিষয়ে ধামরাই থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মারুফ হাসান জানান, মামলা তুলে নেওয়ার হুমকির বিষয়ে থানায় একটি জিডি করেছেন বাদী। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।