যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মোংলা সমুদ্র বন্দরে অবস্থান করা এম ভি সেজুঁতি বাণিজ্যিক জাহাজে ডাকাতি হয়েছে। সোমবার (২৬ মে) ভোরে পশুর চ্যানেলে এ ডাকাতি হয়। সশস্ত্র ডাকাত দলটি জাহাজের ইঞ্জিনের স্পেয়ার পার্টস, কম্পিউটারসহ অন্তত ৫০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে।

এক লিখিত বিবৃতিতে জাহাজটির প্রধান প্রকৌশলী সিরাজুল হক জানান, রবিবার (২৫ মে) দিবাগত রাত ২টা ৪৫ মিনিটে এক দল ডাকাত অ্যাংকর চেইনের ভেতর দিয়ে জাহাজে প্রবেশ করে। তারা রামদা, চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল এবং লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে রশি দিয়ে বেঁধে রাখে। ডাকাতরা তাদের ইচ্ছেমতো ইঞ্জিন কক্ষসহ যেখানে যা আছে, সব নিয়ে ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে চলে যায়। তারা জাহাজের ইঞ্জিনের স্পেয়ার পার্টস, ২০০ পিস বেয়ারিং, ব্যাটারি, চার্জার, ড্রিল মেশিন, তেলের ড্রাম, গ্যাসের বোতল, অক্সিজেন বোতল, কম্পিউটার, চেয়ার, সাবমারসিবেল পাম্প, ইলেক্ট্রিক তার, আটটি স্মার্ট ফোন, নগদ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। 

জাহাজটির শিপিং এজেন্ট পিএনএন শিপিং লাইন্সের কর্মকর্তা আতাউস সালাম সৌরভ জানান, একদল ডাকাত অস্ত্রসহ জাহাজে প্রবেশ করে সাতজন নাবিক ও ক্রুকে জিম্মি করে। তারা নগদ টাকাসহ ১৬ ধরনের মালামাল নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা। তিনি আরো বলেন, মোংলা থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। মোংলা বন্দর, কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হবে।

আরো পড়ুন:

পাঠাগারে ‘নাস্তিকদের’ বই, ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে লুট

গোপালগঞ্জে দিনে-দুপুরে যুবককে হত্যা, অর্থ ও স্বর্ণালংকার লুট  

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক মাকরুজ্জামান জানান, ডাকাতির ঘটনা শুনেছেন। তবে জাহাজ কর্তৃপক্ষ বা শিপিং এজেন্ট কেউ এখনো লিখিতভাবে কিছু জানায়নি। 

মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান জানান, একটি ডাকাতির ঘটনা শুনেছেন। এখন পর্যন্ত জাহাজ কর্তৃপক্ষ কিছু জানায়নি। জানালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

গত বছরের জুন মাসে বাণিজ্যিক জাহাজ ‘এমভি সেজুঁতি’ ভারত থেকে পাথরবোঝাই করে মোংলা সমুদ্র বন্দর চ্যানেল এলাকায় নোঙর করে। এরপর তারা পণ্য খালাস শেষ করে কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে প্রায় এক বছর ধরে এটি বন্দরে আটকে রয়েছে। 
 

ঢাকা/শহিদুল/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সারা দেশে সাত দিনে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ২৮৮

ঢাকাসহ সারা দেশে বিগত সাত দিনে অভিযান চালিয়ে ২৮৮ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। বিভিন্ন অপরাধের ঘটনায় তাঁদের আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ, ককটেলসহ বিভিন্ন জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীনের ইউনিট এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব অভিযানে চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী, অবৈধ অস্ত্রধারী, ছিনতাইকারী, মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদকাসক্তসহ ২৮৮ জনকে আটক করা হয়।

আইএসপিআর জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১৪টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ১৫৬টি বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ২টি ককটেল, ৩টি ম্যাগাজিন, মাদকদ্রব্য, বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র, চোরাই মালামাল ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়। প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তাঁদের সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য দিতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ