চরে খুঁটির সঙ্গে শিকলে বাঁধা ছিল বৃদ্ধের মরদেহ
Published: 27th, May 2025 GMT
খুলনার কয়রা উপজেলার চর থেকে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় একটি বাঁশের খুঁটির সঙ্গে মরদেহের গলা শিকল দিয়ে প্যাঁচানো অবস্থায় ছিল। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার চাঁদ আলী ব্রিজসংলগ্ন ইসলামপুর গ্রামের কয়রা নদীর চর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত ব্যক্তির নাম আবদুল মজিদ (৬২)। তিনি কয়রার আমাদী ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজন জানান, আজ সকালে গ্রামের কয়েকজন ঘটনাস্থলে বাঁশের খুঁটির সঙ্গে গলায় শিকল প্যাঁচানো অবস্থায় বৃদ্ধের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
আবদুল মজিদের ছেলে সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যা থেকে বাবাকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। আজ সকাল সাতটার দিকে তাঁর লাশ কয়রা নদীর চরে লোহার শিকলে আটকে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা আমাদের জানান।’
স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শী মফিজুল ইসলাম জানান, লাশ কাত হয়ে কাদায় পড়ে ছিল এবং গলায় লোহার শিকলের সঙ্গে একটি তালা লাগানো ছিল। আবদুল মজিদ দীর্ঘদিন মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়াতেন। কয়রার চাঁদ আলী সেতুর আশপাশে প্রায়ই তাঁকে দেখা যেত।
কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জি এম এমদাদুল হক বলেন, নিহত ব্যক্তি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন ছিলেন বলে জানা গেছে। তাঁর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে পুলিশ কাজ করছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
গাজায় হামাসের প্রধান মোহাম্মদ সিনওয়ারকে হত্যার দাবি নেতানিয়াহুর
গাজা হামাসের প্রধান মোহাম্মদ সিনওয়ার নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বুধবার ইসরায়েলের পার্লামেন্টে (নেসেট) এ কথা বলেন তিনি। তবে সিনওয়ারের মৃত্যু নিয়ে হামাস তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানায়নি।
২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলে হামলার পরিকল্পনাকারী ও হামাসের সাবেক প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ছোট ভাই মোহাম্মদ সিনওয়ার। ২০২৪ সালের অক্টোবরে গাজার রাফা এলাকায় ইয়াহিয়া সিনওয়ারও ইসরায়েলি সেনাদের হাতে প্রাণ হারান। তাঁর মৃত্যুর পর মোহাম্মদ সিনওয়ার গাজায় হামাসের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন।
মোহাম্মদ সিনওয়ারের অবস্থান নিশানা করে চলতি মাসে দক্ষিণ গাজার একটি হাসপাতালে হামলা চালায় ইসরায়েল। গত ২১ মে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, খুব সম্ভবত মোহাম্মদ সিনওয়ার নিহত হয়েছেন। বুধবার নেসেটে নেতানিয়াহু বলেন, মোহাম্মদ সিনওয়ারকে ‘হত্যা’ করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রায় ২০ মাসে ইসরায়েলি সেনাদের হাতে নিহত হামাস নেতাদের নামও তুলে ধরেন তিনি।
নেতানিয়াহু বলেন, ‘গত দুই দিনে আমরা হামাসের পুরোপুরি পরাজয়ের দিকে একটি নাটকীয় মোড় দেখতে পেয়েছি।’ ইসরায়েল এখন গাজায় ‘খাদ্য বিতরণের নিয়ন্ত্রণও নিচ্ছে’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। এখানে তিনি গাজায় নতুন ত্রাণ সহায়তা বিতরণ ব্যবস্থার কথা বলেছেন। যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত একটি সংগঠন তা পরিচালনা করছে।
নেতানিয়াহুর এই ঘোষণা এমন এক সময় এসেছে যখন ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় হামলা তীব্রতর করেছে। চলতি বছরের শুরুতে হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে ১৮ মার্চ থেকে উপত্যকাটিতে হামলা জোরদার করে ইসরায়েল। ইসরায়েল বলেছে, হামাসের শাসন ও সামরিক ক্ষমতা ধ্বংস করা এবং গাজায় বন্দী থাকা আটকদের মুক্ত করাই তাদের লক্ষ্য।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্ব ইসরায়েলে হামলা চালানো হয়। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। সেদিন ২৫০ এরও বেশি মানুষকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যান হামাস যোদ্ধারা।
হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গাজায় পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েল। ইসরায়েলের হামলায় গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, উপত্যকাটিতে ৫৪ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ইসরায়েলে হামলার মুখে ২০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি স্থানচ্যুত হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, নিহতদের অধিকাংশই নিরীহ নাগরিক। কতজন যোদ্ধা মারা গেছে, সে বিষয়ে তারা কোনো তথ্য দেননি। ইসরায়েলের দাবি, তারা লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। কিন্তু তারা এই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি।