পুঁজিবাজারে বিমাখাতে তালিকাভুক্ত রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ার ধারণ নিয়ে বিমা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ পেয়েছে নিরীক্ষক। এছাড়া কোম্পানিটির বিরুদ্ধে শ্রম আইনেরও লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কোম্পানিটির সর্বশেষ ২০২৪ সালের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় এই অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে বলে জানিয়েছে নিরীক্ষক।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই-সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

নিরীক্ষক জানিয়েছেন, বিমা আইন ২০১০ এর ধারা ২১ এর সিডিউল ১ অনুযায়ী প্রতিটি সাধারণ বিমা কোম্পানিতে উদ্যোক্তা/পরিচালকদের অবশ্যই কমপক্ষে ৬০ শতাংশ মালিকানা থাকতে হবে। তবে রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের এ মালিকানার হার ৪০.

৪৮ শতাংশ রয়েছে।

এদিকে রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সে ২০১৪ সাল থেকে ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ড (ডব্লিউপিপিএফ) গঠন করা হয় বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক। কিন্তু ২০০৬ সালের শ্রম আইনের ২৩২ ধারা অনুযায়ী, অর্থবছর শেষ হওয়ার ৯ মাসের মধ্যে ফান্ড বিতরণের বিধান রয়েছে। তবে ওই ফান্ড কর্মীদের মধ্যে বিতরণ না করে তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছেন বিমা কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৫৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এর মধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৫৯.৫২ শতাংশ। কোম্পানিটির সোমবার (২৬ মে) শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকায়।

ঢাকা/এনটি//

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

শেয়ারহোল্ডারদের নগদ লভ্যাংশ দিলো ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স

পুঁজিবাজারের বিমা খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের প্রেরণ করা হয়েছে। ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য এ লভ্যাংশ বিতরণ করেছে কোম্পানিটি।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক (বিইএফটিএন) সিস্টেমসের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের ব্যাংক হিসাবে পাঠানো হয়েছে।

কোম্পানির ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। ফলে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের শেয়ারের বিপরীতে ১ টাকা নগদ লভ্যাংশ পায়েছেন শেয়ারহোল্ডারা।

কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে তা অনুমোদন করা হয়।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ