ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্যা বলেছেন, “শিক্ষার্থীদের মাঝে দেশপ্রেম জাগিয়ে তুলতে হবে। শুধু অবকাঠামোগত নয়, শিক্ষার সার্বিক উন্নয়ন প্রয়োজন। নৈতিকতা, মূল্যবোধ এবং ধর্মীয় অনুভূতির শিক্ষা দিতে পারলেই আগামী প্রজন্ম সঠিক পথে এগিয়ে যাবে।”

মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুরের সালথা উপজেলা পরিষদ হলরুমে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সালথা উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসবাবপত্র ও ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

জেলা প্রশাসক বলেন, “৫ আগস্টের ঘটনার পর থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আত্মসম্মানের অবনতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। শিক্ষকরা তাদের সম্মান রক্ষা করবেন এবং শিক্ষার্থীদের মানবিক ও দেশপ্রেমিক হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করবেন।”

তিনি আরও বলেন, “শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের নিজের সন্তান মনে করে গড়ে তুলবেন। কারণ কমলমতি শিক্ষার্থীরা কাঁদা-মাটির মতো, তাদের যেভাবে গড়ে তোলা হবে, তারা সেভাবেই বেড়ে উঠবে। শিক্ষা হলো জাতির মেরুদণ্ড। মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসন সব সময় পাশে থাকবে।”

জেলা প্রশাসক তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, “আমি তিন কিলোমিটার হেঁটে প্রাইমারি স্কুলে যেতাম। তাই দূরত্ব কোনো বিষয় নয়। মানসম্মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকলে শিক্ষার্থীরা সেখানে যেতেই আগ্রহী হবে।”

অনুষ্ঠানে সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.

আনিছুর রহমান বালীর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান, সহকারী কমিশনার কাজী আরিফুর রহমান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুদর্শন শিকদার, অতিরিক্ত কৃষি অফিসার (কৃষিবিদ) সুদীপ বিশ্বাস, সমাজসেবা কর্মকর্তা সৈয়দ ফজলে রাব্বী নোমান, শিক্ষা কর্মকর্তা বিনয় কুমার চাকী এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির।

অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসবাবপত্র, ক্রীড়া সামগ্রী, স্কুলড্রেস বিতরণ এবং অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৭টি পরিবারের মাঝে ১৩ বান্ডিল ঢেউ টিন ও ভিক্ষুকদের মাঝে ৩টি ছাগল বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কর মকর ত অন ষ ঠ ন উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

সিডনিতে তিন তারকার হলো দেখা

দূর প্রবাসের ব্যস্ত জীবনে হঠাৎ দেশের চেনা মুখের দেখা মিলে গেলে সেটি কেবল একটি সাধারণ সাক্ষাৎ থাকে না। বরং হয়ে ওঠে দেশের স্মৃতি টেনে আনা এক মুহূর্ত, হয়ে ওঠে একটুকরো বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। এমনই এক দৃশ্যের অবতারণা হলো গত শনিবার অস্ট্রেলিয়ার সিডনির এডমন্ডসন পার্ক মলে।

বাংলাদেশের তিন অঙ্গনের তিন পরিচিত মুখ—ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস, গায়ক তাহসান খান ও অভিনেতা মাজনুন মিজান সেখানে হঠাৎ একত্র হলেন। ব্যস্ত নগরের ভিড়ে এই তিন তারকার দেখা হয়ে গেল এক ‘অপ্রত্যাশিত’ আড্ডায়।

তিন ভুবনের তারকারা
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক ওপেনার ইমরুল কায়েস সম্প্রতি পরিবার নিয়ে সিডনিতে স্থায়ী হয়েছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে বহু স্মরণীয় ইনিংস খেলা এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান এখন নতুন করে জীবনের আরেক অধ্যায় শুরু করেছেন অস্ট্রেলিয়ায়। অভিনেতা মাজনুন মিজানও অনেক দিন ধরেই পরিবার নিয়ে সিডনিতে বসবাস করছেন।

ছোট পর্দার জনপ্রিয় এই অভিনেতা দেশে অসংখ্য নাটকে অভিনয় করেছেন। নাট্যাঙ্গনের পরিচিত মুখ হলেও সিডনিতে তিনি অনেকটা পর্দার আড়ালেই থাকেন, তবু প্রবাসী বাঙালিদের কাছে তিনি প্রিয়জন।
অন্যদিকে গায়ক ও অভিনেতা তাহসান খান ছিলেন সফররত। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন শহরে কনসার্ট করছেন তিনি। ব্রিসবেন ও অ্যাডিলেডে সফল শো শেষে সিডনির কনসার্টেও হাজারো দর্শকের মন জয় করেছেন। এরপর সামনে রয়েছে মেলবোর্ন ও পার্থে তাঁর পরিবেশনা। সিডনিতে সফল কনসার্টের রেশ এখনো কাটেনি, এরই মধ্যে ঘটে গেল এই মিলন।

সিডনিতে গাইছেন তাহসান

সম্পর্কিত নিবন্ধ