আইভীর জামিন আবেদন শুনানি ২ জুন
Published: 27th, May 2025 GMT
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পোশাক কর্মী মিনারুল ইসলাম হত্যা মামলায়, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভীর জামিনের আবেদন করেছেন তার আইনজীবীরা।
মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এই আবেদন করা হয়। আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ আগামী ২ জুন জামিনের শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
এর আগে, গত ২৫ মে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ডা.
জামিনের আবেদন করলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও ভারপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক নয়ন আদালতকে জানান যে, রিমান্ডের প্রতিবেদন এখনো দাখিল হয়নি। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আগামী ২ জুন জামিনের শুনানির দিন ধার্য করেন।
আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভীর পক্ষের আইনজীবী এড. আওলাদ হোসেন বলেন, আমরা জামিনের আবেদন করেছি। রিমান্ডের শুনানির প্রতিবেদনের জন্য আদালত আগামী ২ জুন জামিনের শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
হবিগঞ্জ আদালত থেকে আসামি ছিনিয়ে নিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা
হবিগঞ্জে স্কুলছাত্র জনি দাশ (১৭) হত্যা মামলার আসামিকে আদালত প্রাঙ্গণে মারধর ও পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় এই মামলা করে আদালত পুলিশ। এতে অজ্ঞাতপরিচয় ৪০-৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম শাহাবুদ্দীন। তিনি বলেন, আসামি সাজু মিয়াকে (২২) ছিনিয়ে নিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ঘটনায় এ মামলা হয়। অপরাধীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
মামলার অভিযোগ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জনি দাস হবিগঞ্জ শহরের ডাকঘর এলাকার নর্ধন দাশের ছেলে ও দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল। ৩ জুলাই ভোরে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা তাঁকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। হবিগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলে জনিকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত শনিবার অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। ওই মামলায় গত সোমবার সাজু মিয়া নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁর বাড়ি আজমিরীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিমবাক গ্রামে। পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাজু হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।
ওই মামলায় গতকাল বুধবার দুপুরে সাজুর পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে হবিগঞ্জ জুডিশিয়াল আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় একদল শিক্ষার্থী সাজুর ওপর হামলা চালিয়ে তাঁকে মারধর করে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে হামলাকারীদের লাঠিপেটা করে পুলিশ। পাশাপাশি একদল আইনজীবী ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলাকারীদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রাতেই মামলা করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি সাজু মিয়ার ফাঁসি দাবি করে ৪০-৫০ জনের একটি দল আদালত প্রাঙ্গণ থেকে আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় আদালত পুলিশ উপস্থিত আইনজীবীদের সহায়তায় উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে সরিয়ে দিয়ে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। তাঁদের সৃষ্ট উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে আদালতের কার্যক্রম বাধাপ্রাপ্ত হয়। আসামির রিমান্ড শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরে সাজুকে আদালতের এজলাস থেকে হাজতখানায় নেওয়ার সময় হামলাকারীরা আবার সাজুকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার পাশাপাশি মারধর করে। এ সময় আসামিকে নিয়ে এজলাস কক্ষে ঢুকলে আদালতের দরজায় ধাক্কা দেয় হামলাকারীরা। এতে বিচারকাজে বিঘ্ন ঘটে। পরে পুলিশ, আইনজীবী ও আদালতের কর্মচারীদের যৌথ প্রচেষ্টায় সাজু মিয়াকে রক্ষা করা হয়।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম শাহাবুদ্দীন শাহীন প্রথম আলোকে বলেন, ওই ঘটনার সময় ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ দেখে অপরাধীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।