গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালের ক্রেডিট রেটিং নির্ণয়
Published: 28th, May 2025 GMT
পুঁজিবাজারে ওষুধ ও রসায়ন খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি গ্লোবাল হেভি কেমিক্যাল লিমিটেডের ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করে তা প্রকাশ করা হয়েছে। কোম্পানিকে ক্রেডিট রেটিং দিয়েছে আরগুস ক্রেডিট রেটিং সার্ভিসেস লিমিটেড (এসিআরএসএল)।
বুধবার (২৮ মে) ঢাকা স্টক একাসচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যমতে, আরগুস ক্রেডিট রেটিং সার্ভিসেস লিমিটেডের রেটিং অনুযায়ী, গ্লোবাল হেভি কেমিক্যাল লিমিটেডের দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং হয়েছে ‘এ-’। আর স্বল্প মেয়াদে রেটিং হয়েছে ‘এসটি-৩’।
কোম্পানির ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সমাপ্ত সময়ের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং প্রাসঙ্গিক গুণগত তথ্যের ভিত্তিতে এ ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।
ঢাকা/এনটি/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সীতাকুণ্ডে দু’পক্ষের বিরোধে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা খুন
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে মো. কলিমুদ্দিন (৩৫) নামে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার রাতে উপজেলার বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নের ছোট দরগার হাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত কলিমুদ্দিন ওই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তিনি ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তাবিত কমিটির সভাপতি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের বরাতে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি মজিবুর রহমান বলেন, বারৈয়ারঢালায় পাহাড়ে অবস্থিত সহস্রধারা ঝর্ণা ও স্থানীয় ছোট দরগার হাটের পশুহাটের ইজারা নিয়ে যুবদল ও জিয়া মঞ্চের দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছে। বিরোধ নিরসনে বুধবার রাত ৯টার দিকে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহসভাপতি মোহাম্মদ ইসমাইল ও জিয়া মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক অহিদুল ইসলাম চৌধুরী শরীফ বৈঠকে বসেন। দু’পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডার এক পর্যায়ে শুরু হয় সংঘর্ষ। পরে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাতে ইসমাইলের অনুসারী কলিমুদ্দিনকে জখম করে প্রতিপক্ষের লোকজন। মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কলিমুদ্দিনের বড় ভাই তসলিম উদ্দিনের দাবি, পশুহাটের ইজারা নিয়ে বৈঠক চলাকালীন স্থানীয় যুবদল নেতা সাখাওয়াত হোসেন সাকার লোকজন কলিমুদ্দিনকে হত্যা করে। সাখাওয়াত দলীয় পরিচয়ে মাদক ব্যবসায় জড়িত। তিনি যুবদল নেতা ইসমাইলের নাম ভাঙিয়ে এ ব্যবসা করেন। কলিমুদ্দিন দীর্ঘদিন মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও সোচ্চার ছিলেন। এ বিষয়ে সাকার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বারৈয়ারঢালা ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি আবু সালেহ বলেন, সাকা বাহিনীর দুই সদস্যের সঙ্গে ১৫০ টাকার মাদক বিক্রি নিয়ে বিরোধ হয়। সাকার সহযোগী কলাবাড়িয়ার বাসিন্দা হৃদয়সহ কয়েকজন কলিমুদ্দিনকে হত্যা করেছে।
এ বিষয়ে যুবদল নেতা মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, সম্প্রতি ইজারা নেওয়া পশুহাট সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য দলীয় কর্মীদের নিয়ে বৈঠক চলছিল। বৈঠকস্থলের বাইরে দু’পক্ষের কয়েক সমর্থকের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। প্রতিপক্ষের লোকজনের হাতে দেশীয় অস্ত্র ছিল। তারা ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত। বুধবার রাতে হত্যাকাণ্ডের পর ঘটনাস্থলে ককটেল ফাটিয়ে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করে তারা।
জিয়া মঞ্চের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক অহিদুল ইসলাম নিজেকে সহস্র ঝর্ণাধারার ইজারাদার দাবি করে বলেন, সহস্রধারা ঝর্ণা ও গরুর হাট ইজারা নিয়ে কোনো বিরোধ নেই। বৈঠক চলাকালীন কলিমুদ্দিনকে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করে সাকার লোকজন।
ওসি মজিবুর রহমান জানান, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। গতকাল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মামলা হয়নি।