পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় ঝলই শালশিরি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) সরকারি চাল বিতরণের সময় উপকারভোগীদের থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার আটজন ইউপি সদস্যের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বুধবার দুপুরে শুনানি শেষে পঞ্চগড়ের জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাহিদ আকতার জুলিয়েট এ আদেশ দেন। এ সময় আগামী ১৬ জুনের মধ্যে পুলিশকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন আদালত।

এর আগে গত মঙ্গলবার বিকেলে আটক তিনজন নারী ইউপি সদস্যসহ মোট ১১ জন ইউপি সদস্যকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে বোদা থানা–পুলিশ। এ সময় আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগকারীর অভিযোগ, জব্দ তালিকা, জিডির কপিসহ আনুষাঙ্গিক কাগজপত্র দুর্নীতি দমন কমিশন ঠাকুরগাঁও সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক বরাবরে পাঠানো হচ্ছে এবং দুদক পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেবে বলে আদালতকে জানায় পুলিশ। তখন আদালত প্যানেল চেয়ারম্যানসহ ১১ ইউপি সদস্যের মধ্যে তিনজন নারী ইউপি সদস্যের জামিন মঞ্জুর করেন এবং আটজন পুরুষ ইউপি সদস্যকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

তার আগে সোমবার রাত পৌনে ১১টার দিকে উপজেলার ঝলই শালশিরি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ওই ১১ জন ইউপি সদস্যকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। ওই দিন বিকেলে উপকারভোগীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে বিক্ষুব্ধ জনতা ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে জড়ো হয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্যদের ঘিরে রেখেছিলেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ঝলই শালশিরি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মামুন ইসলাম, ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য খলিলুর রহমান, ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হামিজ উদ্দিন, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রিয়নাথ রায়, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সুনীল চন্দ্র রায়, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য দাহির উদ্দিন, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য খাদিমুল ইসলাম, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আশরাফুল ইসলাম, ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য শেফালী রানী, ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বিলকিস বেগম এবং ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রুপালী বেগম। তাঁদের মধ্যে শেফালী রানী, বিলকিস বেগম ও রুপালী বেগম মঙ্গলবার জামিন পেয়েছেন।

বুধবার বিকেলে আসামিপক্ষের আইনজীবী হাবিব আল আমিন বলেন, আসামিদের আদালতে হাজির করার সময় তাঁদের বিরুদ্ধে দুদকে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি আদালতকে জানিয়েছিল পুলিশ। বুধবারের জামিন শুনানিতে আদালত আটজন ইউপি সদস্যের জামিন নামঞ্জুর করেন।

আরও পড়ুনপঞ্চগড়ে সরকারি চাল বিতরণের সময় টাকা আদায়, ১১ ইউপি সদস্য পুলিশ হেফাজতে২৭ মে ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সদস য র জ র কর

এছাড়াও পড়ুন:

দিনাজপুরে শিয়ালের কামড়ে আহত ৮

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় শিয়ালের কামড়ে আটজন আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাত আটটা থেকে নয়টার মধ্যে উপজেলার পুঁটিমারা ইউনিয়নের আন্দলগ্রাম সারাইপাড়া, নয়াপাড়া, চণ্ডীপুর ও বেড়ামাইল গ্রামে এসব ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন আন্দলগ্রাম সারাইপাড়া এলাকার রকিব মিয়া (৬২), চড়ারহাট এলাকার এনামুল হক (৪৬) ও তাঁর স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৩৫), ইসাহাক আলী (৪৫), আবদুল হক (৫০), হীরা (২৬), চণ্ডীপুর গ্রামের ফসি উদ্দিন (৪৫) ও বেড়ামাইল গ্রামের সাজ্জাদ হোসেন (২৫)।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, শিয়ালের কামড়ে আহত আটজনের মধ্যে পাঁচজন গতকাল রাতেই বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি (ইউপি সদস্য) শেফালী বেগম ও আহত রকিব মিয়া বলেন, শুক্রবার রাত আটটার দিকে নবাবগঞ্জের চড়ারহাট বাজার থেকে কয়েকজন পথচারী হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে নয়াপাড়া গ্রামে ঢোকার সময় রাস্তায় একটি শিয়াল অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ শিয়ালটি দৌড়ে এসে পথচারীদের পায়ে ও হাঁটুর নিচে কামড় দেয়। এ সময় কেউ কেউ শিয়ালটিকে তাড়ানোর চেষ্টা করলে সেটির সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয়। পরে শিয়ালটি পালিয়ে যায়।

শেফালী বেগম বলেন, ওই রাতেই নয়াপাড়া গ্রামে মরিয়ম বেগম নামের এক নারী বাড়ির দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ একটি শিয়াল এসে তাঁর পায়ে কামড় দিয়ে পালিয়ে যায়। প্রায় এক ঘণ্টার মধ্যে সারাইপাড়া, নয়াপাড়া, বেড়ামাইল ও চণ্ডীপুর গ্রামের আটজনকে শিয়াল কামড় দেয়।

বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তাহাজুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে শিয়ালের কামড়ে আহত পাঁচজন রোগী হাসপাতালে আসেন। তাঁরা সবাই চিকিৎসা নিয়ে রাতেই বাড়ি ফিরে গেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দিনাজপুরে শিয়ালের কামড়ে আহত ৮