প্রবৃদ্ধির গতি মন্থর হলেও ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধারের দিকে এগোচ্ছে অর্থনীতি। রপ্তানি আয়, রেমিট্যান্স বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল ও গ্রামীণ অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে সহায়তা করছে। ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে। তবে ব্যাংক খাতে বিগত সময়ের নিয়ন্ত্রণগত দুর্বলতা ও বড় অঙ্কের ঋণ কেলেঙ্কারির কারণে সামগ্রিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে বিলম্ব ঘটছে। ব্যাংক খাতে সংস্কার এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতি মানুষের আস্থা পুনঃস্থাপনের সাম্প্রতিক উদ্যোগগুলো অর্থনৈতিক  প্রবৃদ্ধি পুনরুজ্জীবিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

গত জানুয়ারি-মার্চ সময়ে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) ঢাকার প্রতিবেদনে এমন পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার এমসিসিআইর ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। এতে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তৃতীয় প্রান্তিকের নানা পরিস্থিতি বিশ্লেষণ 
করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ। জানুয়ারি-জুন সময়ের মুদ্রানীতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪ থেকে ৫ শতাংশের মধ্যে হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে। তবে উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো আরও কম প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে। 

ত্রৈমাসিক এই প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রবৃদ্ধির গতি মন্থর হলেও ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণও দেখা গেছে গত জানুয়ারি-মার্চ সময় বা চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে। এ প্রসঙ্গে রপ্তানি আয়, রেমিট্যান্সসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রবণতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে এতে। 

এতে বলা হয়, বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার উচ্চমাত্রার মাঝে বাংলাদেশ অর্থনীতির একাধিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং বৈশ্বিক সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে অর্থনীতিতে যে কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেটি অতিক্রমের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ সূচকগুলোতে মিশ্র রূপ প্রবণতা রয়েছে।

প্রতিবেদনে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সূচকে পরবর্তী কয়েক মাসের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, মে ও জুন মাসে আমদানি ও রপ্তানি সম্ভাবনা রয়েছে। বাড়তে পারে রেমিট্যান্স প্রবাহও। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ মে মাসে খানিকটা কমলেও জুনে তা বাড়বে। তবে গত মাসে মূল্যস্ফীতি খানিকটা কমলেও মে ও জুন মাসে বাড়তে পারে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রব দ ধ পর স থ ত

এছাড়াও পড়ুন:

৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ

‎পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চারটি কোম্পানির সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও তা নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন না করায় সাত নিরীক্ষক (অডিটর) প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ বছরের জন্য অডিট এবং অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সেইসঙ্গে ওই নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষকদের কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না, সেই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে তাদের শুনানিতে ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

আরো পড়ুন:

সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজি: ১১ কোটি ৮২ লাখ টাকা জরিমানা

পুঁজিবাজার উন্নয়নে ডিএসই ও ডিসিসিআইয়ের যৌথ সভা

‎গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৭৩তম কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‎বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

‎সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক এ হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; রিংসাইন টেক্সটাইল লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক যথাক্রমে: আহমেদ অ্যান্ড আক্তার, মাহফেল হক অ্যান্ড কোং, আতা খান অ্যান্ড কোং এবং সিরাজ খান বসাক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; আমান কটন ফাইব্রাস লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক ইসলাম কাজী শফিক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস এবং ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৮ ও ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক মাহফেল হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও সিকিউরিটিজ আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন করেনি। 

এ সকল নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষককে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত সকল কোম্পানি, সকল ধরনের বিনিয়োগ স্কিম (যথা- মিউচ্যুয়াল ফান্ড, অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ও এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড) এবং পুঁজিবাজারে মধ্যস্থতাকারী সকল প্রতিষ্ঠানের অডিট ও অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রম পরিচালনার উপর নিষেধাজ্ঞা তথা পাঁচ বছরের জন্য অডিট ও অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণে কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে শুনানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

‎ঢাকা/এনটি/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রতিবেশী দেশগুলো অস্থির, ভারত এখন কী করবে
  • ৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ
  • সেপ্টেম্বরের ১৬ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ২০ হাজার কোটি টাকা
  • বাংলাদেশ ব্যাংক এক দিনে ২৬ ব্যাংক থেকে ৩৫ কোটি ডলার কিনল কেন