তারেক রহমান সব মামলায় খালাস পাওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ সাদা দলের
Published: 29th, May 2025 GMT
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সব মামলায় খালাস পাওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল বলেছে, এতে প্রমাণিত হলো, হাসিনার আমলের সব মামলা মিথ্যা।
আজ বৃহস্পতিবার সাদা দলের আহ্বায়ক মোর্শেদ হাসান খান এবং যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুস সালাম ও আবুল কালাম সরকার এক বিবৃতিতে এ কথা জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী জুবাইদা রহমান বুধবার আদালতে খালাস পেয়েছেন। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হলো, বিএনপি নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলে করা সব মামলা মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
রায়ের আগে এ মামলায় স্বৈরাচার শেখ হাসিনার অবৈধ শাসনামলের আদালত দুই মাসের ভেতর মাত্র ২১ দিনে ৪২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয়। এমনকি রাতের বেলা মোমবাতি জ্বালিয়ে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে সাক্ষ্য নেওয়া হয়। প্রকৃতপক্ষে দুদকের করা মামলাটি ছিল মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এটা তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রীকে খালাস দেওয়ার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
সাদা দল বিবৃতিতে বলেছে, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সব মামলা থেকে খালাস পাওয়ায় আমরা শিক্ষক সমাজ অত্যন্ত আনন্দিত। প্রত্যাশা করি, তারেক রহমান সুস্থভাবে শিগগিরই দেশে ফিরে এসে জনগণের সেবায় আবারও নিজেকে নিয়োজিত করবেন।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ত র ক রহম ন স ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১
খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।
আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।