মাগুরা সদরে অপহরণের শিকার পাঁচ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে একটি ছাত্রাবাস থেকে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। সাজিয়াড়া গ্রামের এসএম ছাত্রাবাসে আটকে রাখা ওই ব্যবসায়ীদের বুধবার রাত ১০টার দিকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার হোতা ইসতিয়াক আহমেদ শান্তকেও আটক করা হয়েছে।

শান্ত মাগুরা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানজেল হোসেনের বড় ভাই। তার বাবার নাম রফিকুল ইসলাম। শান্ত ৫ আগস্টের পর ওই ছাত্রাবাসটি দখলে নেয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সেখানে নিয়মিত মাদকের আসর বসানোর পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তিকে আটকে নির্যাতন করার অভিযোগও করেন তারা।  

উদ্ধার ৫ ব্যবসায়ী হলেন– রাজীব সরদার, হৃদয় সরদার, বাবু শেখ, ওসমান শেখ ও রিয়াদ ইসলাম। তাদের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বরফা গ্রামে। 

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, ওই পাঁচ ব্যবসায়ী ইলেক্ট্রনিক পণ্য ফেরি করে বিক্রির উদ্দেশ্যে গত ২১ মে মাগুরা এসে শান্তর খপ্পরে পড়েন। সন্ধ্যায় শান্ত তাদেরকে কৌশলে ওই ছাত্রাবাসে নিয়ে আটকে রেখে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। ব্যবসায়ীরা ওই টাকা দেওয়া সামর্থ্য নেই জানালে শান্ত আরও কয়েকজনকে নিয়ে সারারাত পালাক্রমে তাদের ওপর নির্যাতন চালায়।

স্থানীয়রা জানান, সাজিয়াড়ার হুরাইরা নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে ছাত্রাবাসটি পরিচালনা করে আসছিলেন মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার মহসিন। গত ৫ আগস্টের পর শান্ত ছাত্রাবাসটির ভাড়াটিয়াদের উচ্ছেদ করে কক্ষে কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দখলে দেন। এরপর থেকে নিয়মিত বন্ধুদের নিয়ে মাদকের আড্ডা বসাতেন তিনি। এ ছাড়া এটি টর্চার সেল হিসেবে ব্যবহার করতেন।

মাগুরা সদর থানার ওসি আইয়ুব আলী জানান, ছাত্রাবাসটি থেকে বিভিন্ন মাদকদ্রব্য জব্দ করেছেন সেনা সদস্যরা। উদ্ধার ব্যবসায়ীদের রাতেই সদর থানা পুলিশের হেফাজতে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে। 


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবস য়

এছাড়াও পড়ুন:

ইভ্যালির রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর আরও এক মামলায় ৩ বছর কারাদণ্ড

প্রতারণার আরও একটি মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তাঁর স্ত্রী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। তাঁদের পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পর রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। এ নিয়ে প্রতারণার পৃথক পাঁচটি মামলায় রাসেল ও শামীমা নাসরিনের ১২ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হলো।

এর আগে সর্বশেষ গত ১৪ এপ্রিল প্রতারণার একটি মামলায় রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।

আজ যে মামলায় রাসেল দম্পতির সাজা হয়েছে, সেই মামলায় প্রতারণার মাধ্যমে ২৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন আবুল কালাম আজাদ নামের একজন গ্রাহক।

৬ এপ্রিল ঢাকার সিএমএম আদালত প্রতারণার আরেকটি মামলায় এই দম্পতিকে তিন বছর কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া গত ২৯ জানুয়ারি প্রতারণার অভিযোগে করা আরেকটি মামলায় তাঁদের দুই বছর কারাদণ্ড দেন আদালত।

গত বছরের ২ জুন চেক প্রত্যাখ্যানের মামলায় রাসেল ও তাঁর স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন চট্টগ্রামের আদালত।

২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুজন জামিনে মুক্ত হন।

আরও পড়ুনইভ্যালির রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর আরও ৩ বছর কারাদণ্ড১৩ এপ্রিল ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ