সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রহমানসহ ১০ জনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা
Published: 29th, May 2025 GMT
দুর্নীতির মামলায় মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী ও ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান এবং তার স্ত্রী ডা. মির্জা নাহিদা হোসেনসহ ১০ জনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
অন্যদের মধ্যে দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় গাজীপুরের সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) কাজী শফিকুল আলম, স্ত্রী জিনিয়া ফারজানা, দুই মেয়ে কাজী আরিয়া বিনতে শফিক ও কাজী আনুশা বিনতে শফিক, বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেডের (মিল্ক ভিটা) সাবেক চেয়ারম্যান শেখ নাদির হোসেন লিপু ও ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আরেফিন, সাবেক নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আ ন ম আহমাদুল বাশার ও তার স্ত্রী হাকিমুন নাহারের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
এদের মধ্যে শেখ নাদির হোসেন লিপু, শামসুল আরেফিন, আহমাদুল বাশার ও তার স্ত্রী হাকিমুন নাহারের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্লকের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন:
বরখাস্ত শিক্ষক-কর্মকর্তাদের যবিপ্রবিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
সাবের হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যদের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন জ্যেষ্ঠ বিশেষ বিচারক জাকির হোসেন গালিব দুদকের পৃথক চার আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুদকের পক্ষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সংস্থার সহকারি পরিচালক মনজুরুল ইসলাম মিন্টু আব্দুর রহমান দম্পতির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, মির্জা নাহিদা হোসেন আব্দুর রহমানের মাধ্যমে অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৬ কোটি ৩০ লাখ ৮৯ হাজার ৮৮৭ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন করেন। এ অর্থ দখলে রাখাসহ তার স্বামী আব্দুর রহমান অসদুপায়ে উপার্জিত অর্থ দ্বারা ডা.
সাবেক এসপি শফিক ও তার পরিবারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক খায়রুল হক।
আবেদনে বলা হয়, কাজী শফিকুল আলমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জন ও বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্থ সূত্রে জানা যায়, শফিকুল আলম এবং তার পরিবারের সদস্যরা দেশ ছেড়ে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কাজ ব্যাহত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা একান্ত প্রয়োজন।
শেখ নাদির হোসেন লিপু এবং শামসুল আরেফিনের দেশত্যাগ নিষেধাজ্ঞা এবং এনআইডি ব্লকের আবেদনে সংস্থার সহকারী পরিচালক মো. সহিদুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেডের (মিল্ক ভিটা) চেয়ারম্যান ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পের অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানের বিষয়টি রাষ্ট্রের স্বার্থে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে অতীব গুরুত্বপূর্ণ।”
অনুসন্ধানকালে গোপন সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্টরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কার্যক্রম দীর্ঘায়িত বা ব্যাহত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এজন্য তাদের বিদেশ গমন রহিত করা একান্ত প্রয়োজন।
এছাড়া বর্তমানে বাংলাদেশে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর, আয়কর রিটার্ন দাখিল, পাসপোর্ট ইস্যু-নবায়ন, ব্যাংক হিসাব খোলা-পরিচালনাসহ যাবতীয় কার্যক্রম তথা নাগরিক সুবিধা যেহেতু জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে সম্পাদিত হয় সেহেতু অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্রটি ব্লক করা হলে এই সমস্ত কাজ সম্পন্ন সম্ভব হবে না। তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র ব্লক করাও একান্ত প্রয়োজন।
দুদকের সহকারি পরিচালক সহিদুর রহমান আহমাদুল বাশার দম্পতির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাসহ এনআইডি ব্লক চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, আহমাদুল বাশারের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্য ও দলীয় পদ দেওয়ার নামে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনসহ অন্যান্য অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানের বিষয়টি রাষ্ট্রের স্বার্থে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে অতীব গুরুত্বপূর্ণ।
অনুসন্ধান চলাকালে গোপন সূত্রে জানা গেছে, তারা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কার্যক্রম দীর্ঘায়িত বা ব্যাহত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য তাদের বিদেশ গমন রহিত করা একান্ত প্রয়োজন। এছাড়া বর্তমানে বাংলাদেশে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর, আয়কর রিটার্ন দাখিল, পাসপোর্ট ইস্যু-নবায়ন, ব্যাংক হিসাব খোলা-পরিচালনাসহ যাবতীয় কার্যক্রম তথা নাগরিক সুবিধা যেহেতু জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে সম্পাদিত হয় সেহেতু অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জাতীয় পরিচয়পত্রটি ব্লক করা হলে এ সমস্ত কাজ সম্পন্ন সম্ভব হবে না। এজন্য জাতীয় পরিচয়পত্র ব্লক করা একান্ত প্রয়োজন।
ঢাকা/এম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আহম দ ল ব শ র র ব দ শ গমন র দ শত য গ পর ব র র জ ঞ ত আয় র সহক র স থ বর র চ লক মন ত র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসি প্রোগ্রাম, জেএসসি ছাড়াও ভর্তি
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপেন স্কুল পরিচালিত এসএসসি প্রোগ্রামের মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা ও বিজ্ঞান শাখায় ২০২৬-২০২৭ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ভর্তির যোগ্যতা জেএসসি পাস হতে হবে। জেএসসি ছাড়াদের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
ভর্তির দরকারি তারিখ—১. অনলাইনে ভর্তি এবং আবেদনের তারিখ শেষ তারিখ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৬।
২. অষ্টম শ্রেণি বা সমমানের সনদবিহীন ভর্তি-ইচ্ছুকদের ভর্তি পরীক্ষা : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৬।
৩. ওরিয়েন্টেশন ও টিউটোরিয়াল ক্লাস শুরু : ১৫ মে ২০২৬।
ভর্তির যোগ্যতা—১. জেএসসি বা জেডিসি বা অষ্টম শ্রেণি বা সরকার স্বীকৃত সমমানের পরীক্ষায় পাস বা উত্তীর্ণ হতে হবে। (ভর্তির তারিখ ০২/১১/২০২৫ থেকে ৩১/০১/২০২৬)।
২. সরাসরি অনলাইন ভর্তির জন্য: osapsnew.bou.ac.bd
ভর্তির যোগ্যতা(জেএসসি ছাড়া) —১. যেসব শিক্ষার্থীর জেএসসি বা জেডিসি বা অষ্টম শ্রেণি বা সরকার স্বীকৃত সমমানের সনদপত্র নেই তারাও ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন, এ ক্ষেত্রে বয়স হতে হবে ন্যূনতম ১৪ বছর (৩১/১২/২০২৫ তারিখে)।
২. এসব আবেদনকারীকে যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য বাউবি কর্তৃক নির্ধারিত ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
৩. এ জন্য ভর্তির প্রাথমিক আবেদন ফরম ফি বাবদ ৩০০ টাকা দিতে হবে।
৪. ভর্তি পরীক্ষার বিষয়, মানবণ্টন, তারিখ ও পরীক্ষা কেন্দ্র এবং প্রক্রিয়ার বিস্তারিত তথ্য বাউবি’র ওয়েবসাইট, আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক কেন্দ্র এবং স্টাডি সেন্টার থেকে পাওয়া যাবে। (অনলাইনে আবেদনের তারিখ ০২/১১/২০২৫ থেকে ৩১/০১/২০২৬)।
প্রয়োজনীয় কাগজ যা লাগবে—১. দুই কপি ছবি।
২. জেএসসি বা জেডিসি বা অষ্টম শ্রেণি বা সরকার স্বীকৃত সমমানের পরীক্ষায় পাস বা উত্তীর্ণের সনদ।
৩. জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদের সত্যায়িত ফটোকপি।
ভর্তি ও অন্যান্য ফি—অনলাইন আবেদন ফি: ১০০ টাকা,
রেজিস্ট্রেশন ফি : ১০০ টাকা,
কোর্স ফি (প্রতি কোর্স ৫২৫ টাকা): ৩৬৭৫ টাকা,
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আবশ্যিক) ব্যবহারিক ফি: ১০০ টাকা,
একাডেমিক ক্যালেন্ডার ফি:৫ টাকা,
ডিজিটাল আইডি কার্ড ফি: ২০০ টাকা,
পরীক্ষা ফি (প্রতি কোর্স ৫০ টাকা) : ৩৫০ টাকা,
প্রথম বর্ষ নম্বরপত্র ফি : ৭০ টাকা,
মোট আবেদন ফি: ৪৬৯৬ টাকা।
বিজ্ঞান শাখার জন্য দুটি ব্যবহারিক কোর্সের জন্য অতিরিক্ত ২০০ টাকা জমা দিতে হবে।
দরকারি তথ্য—১. অষ্টম শ্রেণি বা সমমান পাসের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর নাম, পিতা ও মাতার নাম এবং জন্ম তারিখ ইত্যাদি প্রদত্ত সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইন জন্মনিবন্ধন অনুযায়ী একই রকম হতে হবে।
২. জেএসসি বা জেডিসি পাসের ক্ষেত্রে জেএসসি বা জেডিসি সনদ অনুযায়ী হতে হবে। ২০২০ সাল কিংবা তার পরবর্তীতে অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অষ্টম শ্রেণি পাশ সনদে বা প্রমাণকে বোর্ড কর্তৃক ইস্যুকৃত রেজিস্ট্রেশন নম্বর উল্লেখ থাকতে হবে। সনদবিহীনদের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ অনুযায়ী হতে হবে।
৩. তৃতীয় লিঙ্গের শিক্ষার্থীরা কোর্স ফির শতকরা ৬০ ভাগ ছাড় পাবেন।
# বিস্তারিত তথ্যের জন্য ওয়েবসাইট