জামায়াতের নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের মামলা শুনানি করার ক্ষেত্রে ‘কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট’ (স্বার্থের সংঘাত) নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসা কিছু বক্তব্যকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং আইনের অপব্যাখ্যার শামিল বলে মনে করে চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন সম্পর্কে আক্রমণাত্মক, অসত্য ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে আজ বৃহস্পতিবার চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো.

মাসুদ রানা সই করা প্রতিবাদলিপিতে এসব কথা বলা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের সদস্যদের সম্পর্কে ব্যক্তিগত আক্রমণ ও বিদ্বেষমূলক কিছু বক্তব্য দৃশ্যমান হয়েছে, যা শিষ্টাচারবহির্ভূত এবং মানহানিকর। চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয় বলেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসা বক্তব্য বাস্তবতাবিবর্জিত, অসত্য, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং আইনের অপব্যাখ্যার শামিল।

প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম অতীতে ট্রাইব্যুনালে এ টি এম আজহারুল ইসলামের ডিফেন্স (পক্ষে) আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছিলেন। সে কারণে এই মামলার প্রথম দিনই আপিল বিভাগে বিষয়টি উল্লেখ করে শুনানিতে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকেন। এরপর এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে অংশগ্রহণ করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক এবং প্রসিকিউশনের পক্ষে অংশগ্রহণ করেন প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম, শাইখ মাহদী ও মো. মামুনুর রশীদ। তাঁদের কেউই এর আগে এ টি এম আজহারুল ইসলামের পক্ষে কোনো প্রকার মামলা পরিচালনা করেননি।

শুনানির সময় রাষ্ট্রপক্ষ (অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস) এবং ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন আপিল বিভাগে তাদের বক্তব্য ও বিশ্লেষণ উপস্থাপন করেন বলেও জানিয়েছে চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়। তারা বলেছে, পাশাপাশি ট্রাইব্যুনালের গঠন ও কার্যক্রম, আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ এবং প্রযোজ্যতা সম্পর্কে ডিফেন্সের দেওয়া বক্তব্যের বিরোধিতা করে প্রসিকিউশন যুক্তি উত্থাপন করেন।

সুনির্দিষ্ট কোনো মামলায় একজন ব্যক্তি দুটি বিবদমান পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন না বলেও উল্লেখ করেছে চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়। তারা বলেছে, কিন্তু একই ধরনের অপরাধে বা একই দলের বা গোষ্ঠীর কোনো ব্যক্তির পক্ষে ডিফেন্স করেছেন বলে একজন আইনজীবী সম্পূর্ণ ভিন্ন কোনো ব্যক্তির প্রসিকিউশন করতে পারবেন না, এমন কোনো আইনগত বাধানিষেধ পৃথিবীর কোথাও নেই।

উদাহরণ টেনে চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয় বলেছে, প্রয়াত জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ১৯৭৩ সালে দালাল আইনে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচারের জন্য গঠিত আদালতের প্রধান কৌঁসুলি ছিলেন। পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন ব্যক্তিদের ডিফেন্সের প্রধান আইনজীবী হিসেবে হিসেবে কাজ করেছেন।

গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আইনের অপব্যাখ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বা অসত্য যেকোনো বক্তব্য ন্যায়বিচার নিশ্চিতের উদ্যোগকে ব্যাহত করবে উল্লেখ করে চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয় বলেছে, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবার দায়িত্বশীল ভূমিকা ও সহযোগিতা কাম্য।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল ইসল ম আইনজ ব আইন র

এছাড়াও পড়ুন:

বাগেরহাটে ৪ আসন বহালের দাবিতে হাইকোর্টে রিট 

বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং একটি আসন কমিয়ে তিনটি আসন করার নির্বাচন কমিশনের গেজেট কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

মানিকগঞ্জে কৃষিজমির মাটি কাটার বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

ডাকসু নির্বাচন স্থগিত চেয়ে করা ছাত্রলীগ নেতার রিট বাতিল 

বাগেরহাট প্রেস ক্লাব ও অন্যান্যদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন রিট পিটিশন দাখিল করেন। এছাড়া চিতলমারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাগেরহাট ১ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মুজিবর রহমান শামীমের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ আক্তার রসুল একই বিষয়ে পৃথক রিট পিটিশন করেন।

সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির নেতা ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, “আমরা রিট পিটিশন করেছি। আদালত আমাদের কথা শুনেছেন এবং ১০ দিনের রুল জারি করেছেন। আশা করি, আদালতে ন্যায়বিচার পাব এবং বাগেরহাটের চারটি আসন বহাল থাকবে।”

গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকে বাগেরহাটের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন আন্দোলন শুরু করে। চারটি আসন বহালের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতেও অংশ নেয় তারা।

তবে ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসন রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে।

চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী বাগেরহাট-১ (সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) নির্ধারণ করা হয়। অথচ দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২ (সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) এবং বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

ঢাকা/শহিদুল/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ক্ষতিপূরণের বিরুদ্ধে আপিল করতে ২৫ শতাংশ অর্থ জমা দেওয়ার বিধান প্রশ্নে রুল
  • আইনজীবী সোমার মৃত্যুতে আইনজীবী সমিতির শোক সভা ও দোয়া
  • এনায়েত করিম ও গোলাম মোস্তফা পাঁচ দিন রিমান্ডে
  • যে ১০ কারণে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে বেশি ঝগড়া হয়
  • ভাঙ্গা থেকে দুটি ইউনিয়ন বাদ দেওয়া প্রশ্নে রুল
  • বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন রাখতে নির্দেশ কেন নয়: হাইকোর্ট
  • বাগেরহাটে ৪ আসন বহালের দাবিতে হাইকোর্টে রিট 
  • পান্থকুঞ্জ পার্ক ও হাতিরঝিল অংশে নির্মাণকাজে স্থিতাবস্থা আপাতত বহাল, চলবে না কার্যক্রম
  • চারটি আসন বহালের দাবিতে বাগেরহাটে নির্বাচন কার্যালয় ঘেরাও, উচ্চ আদালতে দুটি রিট
  • বরিশালে তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা: ২ জনের মৃত্যুদণ্ড