গাজায় ত্রাণের জন্য হাহাকার ক্ষুধার্তদের ওপর গুলি
Published: 30th, May 2025 GMT
গাজায় ক্ষুধায় কাতর মানুষ ত্রাণ পেতে দলে দলে ভিড় করছেন বিতরণ কেন্দ্রে। সেখানে ঘটছে লুটের ঘটনা। ত্রাণ পেতে মরিয়া এসব ফিলিস্তিনির ওপর চালানো হচ্ছে গুলি। এতে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর গুলিতে গত দু’দিনে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৬২ জন। পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় ত্রাণ গাজার সব মানুষের মধ্যে পৌঁছাচ্ছে না। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত উত্তর গাজায় গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কোনো ত্রাণ যায়নি।
উপত্যকায় ত্রাণ বিতরণে এ অস্বাভাবিক পরিস্থিতির অন্যতম কারণ মনে করা হচ্ছে ইসরায়েলের সহযোগিতায় তৈরি যুক্তরাষ্ট্রের কথিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) নামের সংগঠনকে। এটি জাতিসংঘের বারণ অমান্য করে অস্ত্র হাতে ত্রাণ বিতরণে নেমেছে। কাউকে অপছন্দ হলেই গুলি করছে। জিএইচএফের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গাজায় ক্ষুধার্তদের বিরুদ্ধে তারা ‘ত্রাণকে অস্ত্র বানাচ্ছে’। গাজার সরকারি তথ্য অফিস বলছে, ক্ষুধার্ত বেসামরিক লোকজনের ওপর গুলি চালানো মার্কিন সংগঠন জিএইচএফের বর্বর অপরাধ। মানবাধিকারের নামে এটা লোকজনকে অপদস্থ করা, অভুক্ত রাখা কিংবা প্রয়োজনে হত্যার এক প্রকল্প।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে, গাজার মধ্যাঞ্চলের একটি খাদ্য সরবরাহ কেন্দ্রে দলে দলে ক্ষুধার্ত মানুষ হামলে পড়েন। এ সময় গুলিতে দু’জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হন। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, দেইর আল-বালাহ এলাকার আল-ঘাফারি কেন্দ্রে হাজার হাজার মানুষ ঢুকে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে যান। অনেককে ময়দার বস্তা ও খাবারের কার্টন নিয়ে যেতে দেখা গেছে। শোনা যায় গুলির আওয়াজও।
ডব্লিউএফপি এক বিবৃতিতে জানায়, গাজায় মানবিক পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। টানা প্রায় তিন মাস ইসরায়েলের কঠোর অবরোধের পর গত সপ্তাহে সামান্য শিথিলতা এলেও উপত্যকায় খাদ্য ঘাটতি এখনও তীব্র।
গাজায় অবিলম্বে খাদ্য সহায়তা বিপুল পরিমাণ বাড়ানো জরুরি।
এ অবস্থায় অভুক্ত মানুষের ওপর বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এক সাংবাদিকসহ এক দিনে আরও ৬৩ জন নিহত হন। আহত হয়েছেন ১৮৪ জন। এর মধ্যে উত্তর গাজার জাবালিয়ায় বাস্তুচ্যুতদের ওপর বিমান হামলায় সাতজন নিহত হয়েছেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর এ পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ৫৪ হাজার ২৪৯ জন নিহত ও ১ লাখ ২৩ হাজার ৪৯২ জন আহত হন। হতাহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। গত ফেব্রুয়ারিতে সাময়িক যুদ্ধবিরতির পর গত ১৮ মার্চ গাজায় নতুন করে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এতে এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৯৮৬ জন নিহত হন।
গাজার সরকারি তথ্য অফিস জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত উপত্যকায় ২২১ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার ভোরে ইসরায়েলের হামলায় আল-কুদস আল-ইয়ুম টিভি চ্যানেলের আলোকচিত্রী ও সম্পাদক মোয়াতাজ মোহাম্মদ রজব গাজা সিটিতে ইসরায়েলের বিমান হামলায় আরও কয়েকজনের সঙ্গে নিহত হন। তথ্য অফিসের বিবৃতিতে বলা হয়, ফিলিস্তিনের সাংবাদিকদের ‘পরিকল্পিতভাবে লক্ষ্যবস্তু ও হত্যা’র নিন্দা জানিয়েছে।
১,২০০ বিশিষ্টজনের চিঠি
ইসরায়েলের ১ হাজার ২০০ জনেরও বেশি শিক্ষাবিদ এক খোলা চিঠিতে গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। চিঠিতে সইকারীদের মধ্যে ইসরায়েলের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা রয়েছেন। তারা যুদ্ধ বন্ধে ‘কথা বলার’ ও পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। চিঠিতে সইকারী তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাফায়েল গ্রিনবার্গ আলজাজিরাকে বলেন, শিক্ষাবিদদের তাদের কণ্ঠস্বর শোনাতে হবে।
ইসরায়েলের বিরোধী দলগুলো এরই মধ্যে যুদ্ধ বন্ধে নেতানিয়াহু সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করছে। এ ছাড়া নিয়মিতই তেল আবিবসহ বিভিন্ন শহরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ হচ্ছে। বিক্ষোভকারীরা জিম্মিদের মুক্ত করতে হামাসের সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছানোর কথা বলছেন। বৃহস্পতিবারও তেল আবিবে যুদ্ধ বন্ধে নানা স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করেন ইসরায়েলিরা।
ফিলিস্তিনের স্বীকৃতির দাবি জোরালো হচ্ছে
গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার মধ্যেই ফিলিস্তিনের স্বীকৃতির বিষয়টি আন্তর্জাতিকভাবে জোরালো হয়ে সামনে আসছে। আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে, স্পেন ও স্লোভানিয়া ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার অঙ্গীকারের কথা নতুন করে জানিয়েছে। আগামী জুনে ফিলিস্তিন নিয়ে একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে এই দেশগুলো দ্বিরাষ্ট্র সমাধানে তাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করবে।
পশ্চিম তীরে নতুন ২২ বসতির অনুমোদন ইসরায়েলের
গাজায় হত্যাযজ্ঞ চালানোর পাশাপাশি অধিকৃত পশ্চিম তীরেও ফিলিস্তিনিদের ওপর দমনপীড়ন অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার দ্য গার্ডিয়ান অনলাইন জানায়, ইসরায়েল পশ্চিম তীরে ২২টি নতুন বসতির অনুমোদন দিয়েছে। এ বিষয়ে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইনাহ এটা ‘ভয়ংকর উস্কানি’ বলে মন্তব্য করেছেন। যুক্তরাজ্য এ বসতি পরিকল্পনার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এটা দ্বিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ভাবনার বিরোধী।
.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: য দ ধ বন ধ ইসর য় ল র সরক র র ওপর
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে বছর শেষে বাড়ছে ডেঙ্গু, কমেছে চিকুনগুনিয়া
চট্টগ্রামে বছরের শেষে এসে আবারও বাড়ছে ডেঙ্গুর সংক্রমণ। চলতি নভেম্বর মাসের প্রথম দুই দিনেই ৮৭ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা একটা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৪১ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। গত বছরও এই সময়ে ডেঙ্গুর সংক্রমণ বেড়েছিল। এদিকে বছরের শেষ দিকে এসে চিকুনগুনিয়ার সংক্রমণ কমেছে। গতকাল ২৪ ঘণ্টায় চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল শূন্য।
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া—দুটিই মশাবাহিত ভাইরাসজনিত রোগ। দুটিই এডিস মশার কামড়ে হয়। এডিসের বংশ বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখে বৃষ্টি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, নভেম্বরের শুরুতে লঘুচাপের কারণে বৃষ্টি হতে পারে। ফলে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
চট্টগ্রামে বছরের শুরু থেকে গতকাল বেলা একটা পর্যন্ত ৩ হাজার ৫৯২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে গত অক্টোবর মাসে। পুরো জেলায় ওই মাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৯৯০ জন। এর আগের মাসে অর্থাৎ সেপ্টেম্বরে আক্রান্তের সংখ্যা ৯৩৫। চলতি নভেম্বর মাসে এ সংখ্যা নির্ভর করছে বৃষ্টির ওপর। কারণ, শীত শুরু হলে এডিসের বংশবৃদ্ধির আশঙ্কা কম। তবে বৃষ্টি হলে সেটি বাড়তে পারে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে সর্বশেষ মৃত্যু গত ৩০ সেপ্টেম্বর। এদিন বেলা সাড়ে তিনটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জয় তারা (১৬) নামের এক কিশোরীর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে চলতি বছর চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নিহতের সংখ্যা ২০।এদিকে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়লেও চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত কমেছে। গতকাল পর্যন্ত জেলায় চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৬৬৯। তবে চিকুনগুনিয়ায় মাসভিত্তিক তথ্য দেয়নি সিভিল সার্জন কার্যালয়। যদিও প্রতিদিনের আক্রান্তের হিসাব দেয় তারা। প্রাথমিক হিসাবে, গত সেপ্টেম্বর মাসে চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭০৪। গত অক্টোবর মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১২১ জন। এ মাসে কেবল একজন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে সর্বশেষ মৃত্যু গত ৩০ সেপ্টেম্বর। এদিন বেলা সাড়ে তিনটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জয় তারা (১৬) নামের এক কিশোরীর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে চলতি বছর চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নিহতের সংখ্যা ২০।
এদিকে গত বছরের তুলনায় এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের অবস্থা গুরুতর। তাঁদের উপসর্গগুলোও কিছুটা ভিন্ন বলে জানা গেছে। গতকাল দুপুর পর্যন্ত ৪১ জন রোগী জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুর চিকিৎসা নিতে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ১৩ জন ভর্তি হয়েছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) এবং ১২ জন ভর্তি হয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
আমাদের হাসপাতালে ১৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। ডায়রিয়া ও বমি হলো ডেঙ্গু ওয়ার্নিং সাইন (সতর্ক সংকেত)। এগুলো দেখলে বোঝা যায় রোগীর অবস্থা গুরুতর হচ্ছে।এ এস এম লুৎফুল কবির, মেডিসিন বিভাগের প্রধান, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালচিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট দেখা গেছে। তবে এ বছর যাঁরা আসছেন, তাঁদের মধ্যে শক সিনড্রোম বেশি। পাশাপাশি ডায়রিয়ার উপসর্গও আছে। শক সিনড্রোম হলে রোগীর রক্তচাপ বোঝা যায় না। এই দুটি উপসর্গ গুরুতর। কারণ, সময়মতো ফ্লুইড (তরল খাবার) না পেলে রোগীর অবস্থা আরও গুরুতর হতে পারে।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান এ এস এম লুৎফুল কবির প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে ১৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। ডায়রিয়া ও বমি হলো ডেঙ্গু ওয়ার্নিং সাইন (সতর্ক সংকেত)। এগুলো দেখলে বোঝা যায় রোগীর অবস্থা গুরুতর হচ্ছে।’
চলতি বছর এপ্রিল থেকে মোটামুটি বৃষ্টি হচ্ছে। জুনে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টি হলেও পরের মাসগুলোয় স্বাভাবিক বৃষ্টি হয়। আর থেমে থেমে বৃষ্টির সঙ্গে গরম কিন্তু কমেনি। এই বৃষ্টি ও উচ্চ তাপমাত্রা চলতি বছর ডেঙ্গুর বিস্তারে বড় ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন কীটতত্ত্ববিদেরা। তবে সংক্রমণ কমাতে সিভিল সার্জন কার্যালয় ও সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
নগরের ২৫টি এলাকাকে ডেঙ্গু ও ২৫টি এলাকাকে চিকুনগুনিয়ার জন্য হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছে সিভিল সার্জন কার্যালয়। এর মধ্যে বন্দর, ইপিজেড, হালিশহর, কোতোয়ালি, বায়েজিদ, পাহাড়তলী, কাট্টলী, খুলশী, ডবলমুরিং, লালখান বাজার, আগ্রাবাদ, চান্দগাঁও, দেওয়ানহাট, আন্দরকিল্লা, মুরাদপুর, সদরঘাট—এসব এলাকায় ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এসব এলাকায় সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মশার ওষুধ ছিটানো হচ্ছে।
সিটি করপোরেশনের ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা সরফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের বিশেষ দল করা হয়েছে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ার জন্য। নিয়ম করে এলাকা ভাগ করে রুটিন অনুযায়ী ওষুধ ছিটানো হচ্ছে।’
চট্টগ্রামের ডেপুটি সিভিল সার্জন মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, সাধারণত বৃষ্টি হওয়ার ২৮ দিন পর্যন্ত মশার প্রকোপ থাকে বলে ধারণা করা হয়। থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে শঙ্কা থেকে যাচ্ছে। এ মাসে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে। এতে ডেঙ্গু বাড়তে পারে।