Prothomalo:
2025-11-03@03:30:27 GMT

কীভাবে লিভার সুস্থ রাখবেন

Published: 30th, May 2025 GMT

পরিপাকতন্ত্রের প্রধান অঙ্গ হলো লিভার। আমরা যা কিছু খাই, এমনকি ওষুধ, সবকিছু পরিপাক হওয়ার পর রক্তে মিশে লিভারে যায় বিপাকক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার জন্য। লিভারের একটি প্রধান কাজ হলো শরীরে প্রয়োজনে এনার্জি সরবরাহ করার জন্য গ্লুকোজ বা শর্করা স্টোর করে রাখা। এ ছাড়া এটি পিত্ত বা বাইল তৈরি করে, যা খাবার থেকে চর্বি ভাঙতে সাহায্য করে। শর্করা, চর্বি ও আমিষ বিপাকের প্রধান কাজটি লিভারেই সম্পন্ন হয়। তা ছাড়া জরুরি আমিষ তৈরি, রক্ত জমাট বাঁধার উপকরণ তৈরির মতো কাজও লিভার করে।

স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন লিভারকে সুস্থ রাখে। লিভারের ক্ষতির একটি কারণ হলো অতিরিক্ত মদ্যপান। মদ্যপানে লিভার ড্যামেজ, ফ্যাটি লিভার, এমনকি লিভার ক্যানসারের মতো রোগ হতে পারে। এ ছাড়া বুঝে না বুঝে অতিরিক্ত ওষুধ খাওয়ার কারণে লিভার কর্মক্ষমতা হারায়। ঠান্ডা-জ্বরের জন্য বহুল ব্যবহৃত ওষুধের অনেকগুলোই লিভারের ক্ষতি করে। ধূমপান করলে সিগারেটের উপাদানগুলো সরাসরি লিভারের ওপর প্রভাব ফেলে লিভার টিস্যু নষ্ট করে।

পর্যাপ্ত ঘুম না হলে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস তৈরি হয়। যাঁরা রাতে ঘুমের সমস্যায় ভোগেন, তাঁরা ওবেসিটি, ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগের পাশাপাশি লিভার–সংক্রান্ত সমস্যায়ও ভোগেন। পুষ্টিকর খাবারের অভাব কিংবা খাদ্যাভ্যাসে অনিয়ম লিভারের ক্ষতি করে থাকে। সকালে না খাওয়া বা ব্রেকফাস্ট স্কিপ করা, খারাপ তেল বা অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার খাওয়া, পোড়া তেলের খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়া, অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড, জাংক ফুড খাওয়ার কারণে লিভারের ক্ষতি হয়। কেমিক্যাল–সমৃদ্ধ যেকোনো খাবারই লিভারের জন্য ক্ষতিকর। আমরা অনেকেই প্রিজারভেটিভ, আর্টিফিশিয়াল ফুড কালার, আর্টিফিশিয়াল চিনিযুক্ত খাবার খাই। বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস, প্যারাসাইট, ইমিউন সিস্টেমের অস্বাভাবিকতা, বংশগত কারণ কিংবা ক্যানসারের কারণেও লিভার ড্যামেজ হতে পারে। স্থূলতা ফ্যাটি লিভারের কারণ, যা থেকে সিরোসিস হতে পারে।

লিভার নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে পারে। কিছু রোগ আছে বংশগত, কিছু পরিবেশগত, কিছু রোগ স্বল্পস্থায়ী এবং কিছু দীর্ঘস্থায়ী। কয়েকটি সাধারণ সমস্যা হলো জন্ডিস, পিত্তে পাথর, হেপাটাইটিস সি, লিভার সিরোসিস, লিভার ক্যানসার, উইলসন্স ডিজিজ, ফ্যাটি লিভার ইত্যাদি। ওজন বেশি হলে ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। তাই ওজন কমাতে হবে। ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যাভাস লিভারকে সুস্থ রাখে। উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার, স্যাচুরেটেড ফ্যাট, পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট, যেমন সাদা পাউরুটি, পাস্তা ও চিনি এড়িয়ে চলতে হবে। কাঁচা ও আধা সেদ্ধ মাছ-মাংস খাওয়া বাদ দেওয়া। প্রতিদিনকার খাবারে তাজা ফল, শাকসবজি, লাল চাল ও সিরিয়াল রাখতে পারেন। তা ছাড়া রসুন, জাম্বুরা, গাজর, গ্রিন টি, অ্যাভোকাডো, আপেল, অলিভ অয়েল, লেবু, বাঁধাকপি, হলুদ লিভারের জন্য বেশ উপকারী। হাইড্রেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং বেশি করে পানি পান করতে হবে। হেপাটাইটিস রুখতে টিকা নিতে হবে।

অধ্যাপক ডা.

মো. নাজমুল হক, পরিপাকতন্ত্র বিশেষজ্ঞ, বিআইএইচএস, ঢাকা

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনকে টমাহক দেওয়ার বিষয়ে ট্রাম্প কী ভাবছেন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল রোববার বলেছেন, তিনি আপাতত এমন কোনো চুক্তির কথা ভাবছেন না, যা ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য দূরপাল্লার টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র পেতে সহায়তা করবে।

পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর কাছে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির মার্কিন পরিকল্পনা নিয়েও ট্রাম্প অনাগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কারণ, এসব দেশ পরে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইউক্রেনকে দিতে পারে। বিষয়টি নিয়ে ট্রাম্পের ভাষ্য হলো, তিনি যুদ্ধকে আরও তীব্র করতে চান না।

মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহনকারী উড়োজাহাজ এয়ার ফোর্স ওয়ানে বসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্পের সবশেষ এ মন্তব্য থেকে বোঝা যায়, ইউক্রেনকে টমাহক দিতে তিনি এখনো অনিচ্ছুক।

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার পাম বিচ থেকে ওয়াশিংটনে ফেরার পথে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ট্রাম্প। সাংবাদিকেরা ট্রাম্পের কাছে জানতে চান, তিনি কি ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির বিষয়টি বিবেচনা করছেন?

জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘না, আসলে তা নয়।’ তবে তিনি যোগ করেন, ভবিষ্যতে নিজের মত বদলাতে পারেন।

গত ২২ অক্টোবর হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুত্তে। বৈঠকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের ধারণা নিয়ে আলোচনা হয়।

গত শুক্রবার মার্ক রুত্তে বলেন, বিষয়টি এখনো পর্যালোচনার পর্যায়ে আছে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব যুক্তরাষ্ট্রের।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দীর্ঘদিন ধরে ওয়াশিংটনের কাছে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র চেয়ে আসছেন। তবে ক্রেমলিন সতর্ক করে বলেছে, ইউক্রেনকে টমাহক দেওয়া হলে পরিণতি ভালো হবে না।

আরও পড়ুনটমাহক কত দূরে আঘাত হানতে পারে, রাডারে কেন ধরা পড়ে না২০ ঘণ্টা আগে

দ্য গার্ডিয়ান ও সিএনএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, টমাহক যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি দূরপাল্লার ক্রুজ মিসাইল, যা যুদ্ধজাহাজ বা সাবমেরিন থেকে ছোড়া হয়।

ভূপৃষ্ঠে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে পারে টমাহক। নিচু উচ্চতায় ওড়ে বলে টমাহক রাডারে ধরা পড়ে না। এতে আছে উন্নত জিপিএস ও নেভিগেশন ব্যবস্থা।

যুক্তরাষ্ট্রের একটি যুদ্ধজাহাজ থেকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হচ্ছে

সম্পর্কিত নিবন্ধ