হাজার ফুট উঁচু থেকে তিস্তায় পর্যটকবাহী গাড়ি, নিহত এক, নিখোঁজ আট
Published: 30th, May 2025 GMT
উত্তর সিকিমের চুংথাং-মুনশিথাং সড়কে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় একটি পর্যটকবাহী গাড়ি এক হাজার ফুট উঁচু থেকে তিস্তা নদীতে পড়ে গেছে। গাড়িটিতে ১০ জন পর্যটক ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চালকসহ ১১ জন যাত্রী নিয়ে গাড়িটি গুরুদুম্বার লেক থেকে নিচে নেমে আসছিল। চুংথাংয়ের কাছে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তিস্তা নদীতে পড়ে যায়। ঘটনার পর স্থানীয় পুলিশ সেনাবাহিনীকে খবর দেয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেনাবাহিনীর বিশেষ দল এবং আইডিবিপি সেনাকর্মীরা উদ্ধারকাজ শুরু করেন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত একজনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। দুজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় মঙ্গন জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আটজন এখনও নিখোঁজ।
সেনাবাহিনী, সিকিম পুলিশ, দমকল বিভাগের সঙ্গে উদ্ধার অভিযানে স্থানীয় বাসিন্দারাও সহায়তা করছেন। দুর্গম এলাকা ও নদীর স্রোতের কারণে উদ্ধারকাজে অসুবিধা হচ্ছে। নিখোঁজদের সন্ধানে অভিযান চলছে। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ঢাকা/তারা//
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নিবন্ধন না থাকায় টাঙ্গুয়ার হাওরের ১২ হাউসবোটকে জরিমানা
নৌপরিবহন অধিদপ্তরের নিবন্ধন না থাকায় সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে পর্যটকবাহী ১২টি হাউসবোটের মালিককে ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের স্পেশাল অফিসার, মেরিন সেফটি (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) থান্দার কামরুজ্জামান আজ রোববার দিনভর হাওরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এই জরিমানা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পর্যটকবাহী হাউসবোট নীলজলকে ১৫ হাজার, মেঘদূতকে ১৫ হাজার, স্বপ্নকে ১৫ হাজার, হাওরের সুলতানকে ৩০ হাজার, মায়াবতীকে ২৫ হাজার, নীলাঞ্জনাকে ৩০ হাজার, ডুবসাঁতারকে ২০ হাজার, জমিদারকে ১৫ হাজার, জলঘুড্ডিকে ১৫ হাজার, জলছবিকে ১৫ হাজার, হাওর ক্রুজকে ১৫ হাজার, বেগ বেঞ্জার হাউসবোটকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা থান্দার কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, নৌযানগুলোর নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। কিন্তু টাঙ্গুয়ার হাওরে যেসব হাউসবোটকে জরিমানা করা হয়েছে, সেগুলোর কোনো নিবন্ধন ছিল না। তিনি বলেন, অনেক বিষয় যাচাই করে নিবন্ধন দেওয়া হয়। বিশেষ করে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থাসহ আরও কিছু বিষয় গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়। কিন্তু অনেক হাউসবোটে সেগুলো নেই।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল হাসেম বলেন, ‘হাওরের প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় আমাদের নিয়মিত কার্যক্রম অব্যাহত আছে। আজ নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের একটি দল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে।’