সাগরে নিম্নচাপ: বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল সেবা বিঘ্নিত
Published: 30th, May 2025 GMT
সাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৃষ্টিপাতের ফলে দেশের অনেক জেলা প্লাবিত হয়ে গেছে। বিদ্যুৎহীন হয়ে বিভিন্ন স্থানে মোবাইল যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে।
শুক্রবার (৩০ মে) প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ফেসবুকে পোস্টে ৫ হাজারের বেশি টাওয়ার বা সাইট অচল হওয়ার তথ্য দিয়েছেন।
মোবাইল অপারেটর সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, অচল হওয়া টাওয়ারের সংখ্যা অন্তত ১৩ হাজার। এর মধ্যে গ্রামীণফোনের ৪ হাজার ৪৭৪টি, বাংলালিংকের ৩ হাজার ২০টি এবং রবির ৫ হাজার ৫০০টি সাইট রয়েছে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ফেসবুক লিখেছেন, ‘নিম্নচাপজনিত ঝড়-জলোচ্ছ্বাস ও বিদ্যুৎহীন পরিস্থিতির কারণে সারা দেশে টেলিযোগাযোগ সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক পুনরুদ্ধার করতে নিরলসভাবে কাজ করছেন পল্লী বিদ্যুৎসহ টেলিযোগাযোগ সেবার কর্মীরা।’
তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী লিখেছেন, দুর্যোগের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে বরিশাল, দক্ষিণ সিলেট, টাঙ্গাইল, চাঁদপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা উত্তর, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও দক্ষিণ চট্টগ্রামে। এসব এলাকায় বিদ্যুৎসেবা বিঘ্নিত হচ্ছে।
ঢাকা/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ব্যক্তিগত কর্মকর্তার স্ত্রীকে নগদে চাকরি দেওয়া ঠিক হয়নি, তদন্ত হবে: ফয়েজ আহমদ
মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নগদে নিজের ব্যক্তিগত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ ও স্বার্থের সংঘাতের বিষয়টি স্বীকার করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি–বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ শনিবার বেলা তিনটার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে ফয়েজ আহমদ এ কথাগুলো বলেন। এ ঘটনার সঙ্গে তাঁকে এবং তাঁর মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামকে অন্যায়ভাবে জড়ানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন ফয়েজ আহমদ।
গতকাল শুক্রবার দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় নগদের ‘অনিয়ম’ নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, ফয়েজ আহমদের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আতিক মোর্শেদ নগদের কোনো কর্মকর্তা না হয়েও সেখানে অফিস করেন। পাশাপাশি নিজের স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা জুঁইকে একটি পদে চাকরিও দিয়েছেন।
এ সংবাদের পর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। আতিক মোর্শেদ নিজেও তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে স্ত্রীর চাকরির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সমালোচনার মুখে বিষয়টি নিয়ে ফয়েজ আহমদ ফেসবুকে গতকাল দুটি এবং আজ একটি পোস্ট দেন।
শেষের পোস্টে ফয়েজ আহমদ লেখেন, ‘আমি বাংলাদেশ রাষ্ট্র এবং এ দেশের মানুষের একটি পয়সাও চুরি করব না—এই আস্থাটা আমার ওপর রাখবেন আশা করি। আমি প্রচণ্ডরকম আর্থিক সততা নিয়ে বড় হয়েছি। আমার ব্যক্তিগত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট (স্বার্থের সংঘাত) এবং স্বজনপ্রীতির অভিযোগ এসেছে। কাজটা ঠিক হয়নি—এটা আমি বিনা বাক্যে স্বীকার করছি। তাঁকে প্রচণ্ডরকম বকাবকিও করেছি। উনার বউকে চাকরি দেওয়ার বিষয়টি আমি তদন্তের ব্যবস্থা করেছি, নির্দেশনা দিয়েছি। নগদের অ্যাক্টিং সিইও এই বিষয়ে প্রেস রিলিজে বলবেন।’
মানবজমিনের প্রতিবেদনে ফয়েজ আহমদ এবং একই মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপদেষ্টা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের প্রসঙ্গ আসা নিয়ে ফেসবুক পোস্টে লেখেন, তাঁদের অন্যায়ভাবে টেনে আনা হয়েছে। নগদের আগের সরকারের লোকজন অর্থ হাতিয়েছেন; কিন্তু দায় তাঁদের ওপর চাপানো হয়েছে। মিথ্যা সাংবাদিকতা হয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুননগদে ডিজিটাল জালিয়াতি, ২৩৫৬ কোটি টাকার হিসাব মিলছে না১৭ ডিসেম্বর ২০২৪প্রধান উপদেষ্টার এই বিশেষ সহকারী আরও লেখেন, ‘আমরা সংবাদকর্মীদের কাছে জেনেছি যে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি পক্ষ এজেন্সিকে দিয়ে ১৫০ কোটি টাকা দুর্নীতির রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এর আগে তারা কিছু টিভি স্টেশনকেও অ্যাপ্রোচ করেছিল। দেশের শীর্ষ ফ্যাক্টচেকার এবং ডিজিটাল ভেরিফিকেশন এক্সপার্ট সেটা এক্সপোজও করেছেন। নগদে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রশাসক বসানোর পরে বাংলাদেশ ব্যাংক কেপিএমজি-কে দিয়ে ফরেনসিক রিপোর্ট করাচ্ছে (অভিযোগ আছে কেপিএমজি প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্ট্যান্ট)।’
নগদকে বাঁচাতে কাজ করছেন উল্লেখ করে ফয়েজ আহমদ লেখেন, ‘শাফায়াত গং এখানে হেভিওয়েট ব্যারিস্টার নিয়ে এসে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওপর প্রভাব বিস্তার করেছে। এই দায়ও আমাদের ওপর চাপানোর চেষ্টা হয়েছে। একটা অস্থিতিশীল সময়ে ডাকের লাইসেন্সে, রেগুলেটরের গাইডলাইনে, টপ এক্সপার্টদের ম্যানেজ সার্ভিসে আনা গেলে নগদ ভালো চলবে—এটাই ডিও লেটারে লিখেছি।’
আরও পড়ুননগদের কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব নিল ডাক বিভাগ, সিইও নিয়োগ২৯ মে ২০২৫