ডিপিডিসিতে চাকরির সুযোগ, আবেদন ফি ১০০০ টাকা
Published: 31st, May 2025 GMT
ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এ প্রতিষ্ঠানে সহকারী প্রকৌশলী (অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার) পদে কর্মী নেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
পদের নাম: সহকারী প্রকৌশলী (অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার)
পদসংখ্যা: ৯ (ইলেকট্রিক্যাল/ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ৪ জন, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ৩ জন, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ১ জন, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং/ইনফরমেশন টেকনোলজি/ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি/ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ১ জন)
আবেদনের যোগ্যতা: সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিএসসি ডিগ্রি থাকতে হবে।
বেতন ও সুযোগ-সুবিধা:
মাসিক বেসিক বেতন ৫১ হাজার টাকা। ঢাকার মধ্যে হলে বেসিকের ৬০ শতাংশ বাসা ভাড়া ও ঢাকার বাইরে ৫০ শতাংশ বাসা ভাড়া। এ ছাড়া প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রুপ ইনস্যুরেন্স ও গ্রাচ্যুইটি সুবিধা রয়েছে।
বয়সসীমা: বয়স সর্বোচ্চ ৩২ বছর।
আরও পড়ুনমেট্রোরেলে ১২০ পদে চাকরির সুযোগ০৪ মে ২০২৫আরও পড়ুনবেসরকারি ব্যাংকে এমটি পদে চাকরি, বেতন ৭৫০০০ টাকা০৯ মে ২০২৫আবেদন যেভাবে
ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের এই ওয়েবসাইটে (www.
আবেদন ফি
ডিপিডিসির ওয়েবসাইটের নির্দেশনা মেনে পরীক্ষা ফি বাবদ ১০০০ টাকা জমা দিতে হবে।
আবেদনের শেষ তারিখ
১ জুন ২০২৫।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নতুন টাকা বিনিময় শুরু, আসল-নকল চিনবেন যেভাবে
গভর্নর ড. আহসান হাবিব মনসুর স্বাক্ষরিত নতুন ডিজাইন ও সিরিজের ১০০০, ৫০ ও ২০ টাকা মূল্যমানের ব্যাংক নোট আজ ১ জুন থেকে বাজারে ছেড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকে পাওয়া যাচ্ছে নতুন ব্যাংক নোট। বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যান্য অফিস থেকে পরবর্তীতে ইস্যু করা হবে নতুন নোট ।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, সকল মূল্যমানের নতুন নোটের পাশাপাশি বর্তমানে প্রচলিত সকল কাগুজে নোট এবং ধাতব মুদ্রাও যথারীতি চালু থাকবে।
'বাংলাদেশের ঐতিহাসিক এবং প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপত্য' শীর্ষক নতুন ডিজাইন ও সিরিজের ১০০০, ৫০ ও ২০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোটের ডিজাইন ও নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সম্পর্কেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আরো পড়ুন:
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিষেধ, তাই লভ্যাংশ দেবে না ১০ ব্যাংক
নতুন নোট বাজারে আসছে ১ জুন
১০০০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোটের ডিজাইন ও নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য-
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান হাবিব মনসুর স্বাক্ষরিত ১০০০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোটটির আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬০ মি.মি. x ৭০ মি.মি.। নোটটি ১০০ শতাংশ কটন কাগজে মুদ্রিত এবং নোটে জলছাপ হিসেবে ‘রয়েল বেঙ্গল টাইগার এর মুখ’, ‘1000’ এবং ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম’ রয়েছে। নোটিতে বেগুনি রঙের আধিক্য রয়েছে।
নোটের সম্মুখভাগে বাম পাশে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের ছবি ও মাঝখানে ‘প্রতিশ্রুত বাক্য’ ও মূল্যমান (এক হাজার টাকা) মুদ্রিত রয়েছে। নোটের মাঝখানে ব্যাকগ্রাউন্ডে ‘পাতা ও কলিসহ প্রস্ফুটিত জাতীয় ফুল শাপলা’র ছবি মুদ্রিত রয়েছে। নোটের ওপরে বাঁ দিকে নোটের মূল্যমান ‘১০০০’, ডান কোণে ‘1000’ ও নিচে ডানকোণে ‘৳১০০০’ মুদ্রিত রয়েছে। নোটের পেছন ভাগের ডিজাইন হিসেবে জাতীয় সংসদ ভবনের ছবি মুদ্রিত রয়েছে। নোটের ওপরে বাঁ কোণে মূল্যমান ‘১০০০’ ও ডান কোণে ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম’ এবং নিচে ডান কোণ এবং বাঁ কোণে মূল্যমান ‘1000’ মুদ্রিত রয়েছে। নোটের ডান পাশে উলম্বভাবে ‘1000’ মুদ্রিত রয়েছে।
নোটটিতে মোট ১৩ ধরনের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সংযোজন করা হয়েছে। নোটটির সম্মুখভাগে বাঁ পাশে ৫ মি.মি. চওড়া নিরাপত্তা সুতা সংযোজন করা হয়েছে, যাতে ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম’ এবং ‘১০০০ টাকা’ খচিত রয়েছে। নোটটি নাড়াচাড়া করলে ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম’ অংশের নিরাপত্তা সুতার রং লাল থেকে সবুজ রংয়ে পরিবর্তিত হয় এবং ‘১০০০ টাকা’ অংশে একটি উজ্জ্বল রংধনু বার ওপর থেকে নিচে উঠা-নামা করে। নোটের ডান দিকের কোণায় মুদ্রিত মূল্যমান ‘1000’ রং পরিবর্তনশীল উন্নতমানের নিরাপত্তা কালিতে মুদ্রিত, যাতে নোটটি নাড়াচাড়া করলে এর রং ম্যাজেন্টা থেকে সবুজ রংয়ে পরিবর্তিত হয় এবং মূল্যমানের ভেতরে কোনাকুনিভাবে মুদ্রিত ‘১০০০’ লেখাটি দৃশ্যমান হয়। পাশাপাশি, নোটের সম্মুখভাগের পাতা ও কলিসহ প্রস্ফুটিত জাতীয় ফুল শাপলা দিয়ে মুদ্রিত, যা ইউভি ডিটেক্টর মেশিনের মাধ্যমে দৃষ্টিগোচর হয়। নোটটিতে গভর্নরের স্বাক্ষরের ডান পাশে সি-থ্রু ইমেজ হিসেবে একটি প্যাটার্ন মুদ্রিত রয়েছে, যা আলোর বিপরীতে ধরনে ‘১০০০’ লেখা দৃশ্যমান হবে।
নোটটির সম্মুখভাগের বাঁ দিকে ‘BANGLADESH BANK’ লেখার নিচে মাইক্রোপ্রিন্ট হিসেবে উলম্বভাবে ‘BANGLADESH BANK’ মুদ্রিত রয়েছে। পাশাপাশি নোটের পেছন ভাগে বাঁ দিকের ওপরে ‘১০০০’ এবং নিচে ‘1000’ লেখার ব্যাকগ্রাউন্ডে ‘BANGLADESH BANK’ এবং এর নিচে ‘ONE THOUSAND TAKA’ পুনঃপুনঃ মুদ্রিত রয়েছে; যা শুধু আতশি কাচে দেখা যাবে।
ব্যাংক নোটটিতে অন্যান্য নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য হিসেবে অসমতল ছাপা (সম্মুখভাগে জাতীয় স্মৃতিসৌধ'র ছবি, 'বাংলাদেশ ব্যাংক' লেখা, গ্যারান্টি ক্লজ, বাংলা ও ইংরেজি মূল্যমান, আড়াআড়িভাবে ৬টি সমান্তরাল লাইন, পেছন ভাগে জাতীয় সংসদ ভবনের ছবি, ‘BANGLADESH BANK’, ‘ONE THOUSAND TAKA’ লেখা ইত্যাদি ইন্টাগ্লিও কালিতে মুদ্রিত), লুকানো ছাপা (সম্মুখ ভাগের নিচে মূল্যমান ‘1000’), Iridescent Stripe (পেছন ভাগে উলম্বভাবে হালকা সোনালী রংয়ে ‘BANGLADESH BANK’ লেখা) দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের সুবিধার্থে ছয়টি বৃত্ত রয়েছে।
৫০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোটের ডিজাইন ও নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর স্বাক্ষরিত ৫০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোটটির আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩০ মি.মি. x ৬০ মি.মি.। নোটটি ১০০ শতাংশ কটন কাগজে মুদ্রিত এবং নোটে জলছাপ হিসেবে ‘রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মুখ’, ‘50’ এবং ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম’ রয়েছে। নোটটিতে গাড় বাদামী রঙের আধিক্য রয়েছে।
ব্যাংক নোটটির সম্মুখভাগের বাঁ পাশে ঢাকার আহসান মঞ্জিলের ছবি এবং মাঝখানে ‘প্রতিশ্রুত বাক্য’ মূল্যমান (পঞ্চাশ টাকা) মুদ্রিত রয়েছে। নোটের মাঝখানে ব্যাকগ্রাউন্ডে পাতা ও কগিসহ প্রস্ফুটিত জাতীয় ফুল শাপলা'র ছবি মুদ্রিত রয়েছে।
নোটটির ওপরে বাম দিকে মূল্যমান ‘৫০’, ডান কোণে ‘50’ ও নিচে ডান কোণে ‘৳৫০’ মুদ্রিত রয়েছে। নোটের পেছন ভাগে জলছাপ এলাকার ডান পাশে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের বিখ্যাত চিত্রকর্ম ‘সংগ্রাম’ মুদ্রিত রয়েছে। নোটের ওপরে বাঁ কোণে মূল্যমান ‘৫০’ ও ডান কোণে ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম’ এবং নিচে ডানকোণ এবং বামকোণে মূল্যমান ‘50’ মুদ্রিত রয়েছে। নোটের ডান পাশে উলম্বভাবে ‘50’ মুদ্রিত রয়েছে।
নোটটিতে মোট ৮ ধরনের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সংযোজন করা হয়েছে। নোটটির সম্মুখভাগে বাম পাশে ২ মি.মি. চওড়া নিরাপত্তা সুতা সংযোজন করা হয়েছে যাতে ‘৳৫০’ পঞ্চাশ টাকা খচিত রয়েছে। নোটটি নাড়াচাড়া করলে নিরাপত্তা সুতার রং লাল থেকে সবুজ রংয়ে পরিবর্তিত হয়। নোটটিতে গভর্নর স্বাক্ষরের ডানপাশে See-Through image হিসেবে একটি প্যাটার্ন মুদ্রিত রয়েছে, যা আলোর বিপরীতে ধরলে '৫০' লেখা দৃশ্যমান হবে। এছাড়া, নোটের সম্মুখভাগে অহসান মঞ্জিল, ঢাকা লেখাটির উভয়পাশে Microprint হিসেবে 'BANGLADESH BANK' এবং পেছনভাগের বামদিকের উপরে '৫০' ও নিচে '50' লেখার ব্যাকগ্রাউন্ডে Microprint হিসেবে যথাক্রমে '50 TAKA' এবং 'BANGLADESH BANK' মুদ্রিত রয়েছে।
ব্যাংক নোটটিতে অন্যান্য নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য হিসেবে অসমতল ছাপা (সম্মুখভাগের আহসান মঞ্জিন এর ছবি, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক’, গ্যারান্টি ক্লজ, বাংলা ও ইংরেজিতে মূল্যমান, আড়াআড়িভাবে ৬টি সমান্তরাল লাইন ইত্যাদি ইন্টাগ্লিও কালিতে মুদ্রিত), লুকানো ছাপা (সম্মুখভাগের নিচে মূল্যমান 50), দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের সুবিধার্থে ২টি বৃত্ত রয়েছে।
২০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোটের ডিজাইন ও নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান হাবিব মনসুর স্বাক্ষরিত ২০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোটটির আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ১২৭মি.মি. x ৬০ মি.মি.। নোটটি ১০০ শতাংশ কটন কাগজে মুদ্রিত এবং নোটে জলছাপ হিসেবে 'রয়েল বেঙ্গল টাইগার এর মুখ', '20' এবং 'বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম' রয়েছে। নোটটিতে সবুজ রঙের আধিক্য রয়েছে।
ব্যাংক নোটটির সম্মুখভাগের বামপাশে ঐতিহাসিক স্থাপনা কান্তজিউ মন্দির, দিনাজপুর এর ছবি এবং নোটের মাঝখানে 'প্রতিশ্রুত বাক্য' ও মূল্যমান (বিশ টাকা) মুদ্রিত রয়েছে। নোটের মাঝখানে ব্যাকগ্রাউন্ডে পাতা ও কালিসহ প্রস্ফুটিত জাতীয় ফুল শাপলা'র ছবি মুদ্রিত রয়েছে। এছাড়া, নোটের উপরে বামদিকে মুল্যমান '২০', ডানকোণে '20' ও নিচে ডানকোণে '৳২০' মুদ্রিত রয়েছে।
নোটের পেছনভাগে জলছাপ এলাকার ডানপাশে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার, নওগাঁ এর ছবি মুদ্রিত রয়েছে। নোটের উপরে বামকোণে মূল্যমান '২০' ও ডানকোণে 'বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম' এবং নিচে ডানকোণে মূল্যমান '20' মুদ্রিত রয়েছে। এছাড়া, নোটের ডানপাশে উলম্বভাবে '20' মুদ্রিত রয়েছে।
নোটটিতে মোট ৫ ধরনের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সংযোজন করা হয়েছে। নোটটির সম্মুখভাগে বামপাশে ২ মি.মি. চওড়া নিরাপত্তা সুতা সংযোজন করা হয়েছে যাতে '৳২০ বিশ টাকা' খচিত রয়েছে। নোটটি নাড়াচাড়া করলে নিরাপত্তা সুতার রং লাল হতে সবুজ রংয়ে পরিবর্তিত হয়। নোটটিতে গভর্নর স্বাক্ষরের ডানপাশে See-Through image হিসেবে একটি প্যাটার্ন মুদ্রিত রয়েছে। যা আলোর বিপরীতে ধরলে '২০' লেখা দৃশ্যমান হবে।
নোটের সম্মুখভাগের ডানদিকে এবং পেছনভাগের বামদিকের গ্লিউইশ প্যাটার্নের ভিতরের অংশে Microprint হিসেবে উলম্বভাবে 'BANGLADESH BANK' মুদ্রিত রয়েছে।
ঢাকা/এনএফ/রাসেল