সুইডেনে আইইএলটিএস ছাড়া উচ্চশিক্ষা, যে যে কাগজপত্রে ১০ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা
Published: 31st, May 2025 GMT
ইউরোপের অন্যতম দেশ সুইডিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে ধারাবাহিকভাবে প্রথম দিকে জায়গা করে নেয়। দেশটি উচ্চমানের শিক্ষাদানে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। সুইডেনে অনেক প্রোগ্রাম ইংরেজিতে পড়ানো হয়, যা সারা বিশ্বের শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ করে। দেশটি বৈচিত্র্যময় ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করে। সুইডিশ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েটদের জন্য চাকরির প্রচুর সুযোগ রয়েছে।
বিশ্বখ্যাত অনেক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের আশ্রয়স্থলের কারণে ক্যারিয়ার গঠনে হাজারো বিদেশি শিক্ষার্থীর কাছে স্বপ্নতুল্য দেশ সুইডেন। শেনজেনভুক্ত দেশ সুইডেনে উচ্চশিক্ষার নানা সুযোগ আছে। দেশটিতে আইইএলটিএস ছাড়াই পড়াশোনার সুযোগ আছে। দেশটির অন্যতম ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডিতে বৃত্তির জন্য আবেদন করা যাবে আইইএলটিএস ছাড়াই। তবে আইইএলটিএস না হলেও বিকল্প কিছু ব্যবস্থা আছে।
আরও পড়ুনসুইজারল্যান্ডে স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় কি১২ এপ্রিল ২০২৪আইইএলটিএস ছাড়া যে ১০ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনানির্দিষ্ট বৃত্তির আওতায় সুইডেনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়তে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা স্নাতক, মাস্টার্স ও পিএইচডি ডিগ্রির জন্য আবেদনের সুযোগ পাবেন। দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এসব বৃত্তি সম্পূর্ণ অর্থায়িত। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজস্ব ওয়েবসাইটে বৃত্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।
১.
স্টকহোম বিশ্ববিদ্যালয়
২. লুন্ড বিশ্ববিদ্যালয়
৩. উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়
৪. চালমারস ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি
৫. কেটিএইচ রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি
৬. গোথেনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়
৭. লিংকোপিং বিশ্ববিদ্যালয়
৮. উমিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
৯. ওরেব্রো বিশ্ববিদ্যালয় ও
১০. ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট।
আরও পড়ুনঅস্ট্রেলিয়ার ডেকিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪০০ বৃত্তি, নগদ ডলারের সঙ্গে বিমানভাড়াসহ নানা সুবিধা২২ মে ২০২৪Md. Rashedul Alam Raselউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জমিজমার বিরোধে থানায় সালিসে গিয়ে ‘রাজনৈতিক মামলায়’ গ্রেপ্তার যুবক
জমিজমা–সংক্রান্ত বিরোধে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানায় সালিসে আসা এক যুবককে ‘রাজনৈতিক মামলায়’ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ওই যুবকের মা আনারা বেগম এ কথা জানান।
গ্রেপ্তার ওই যুবকের নাম আল-আমিন (৩২)। তাঁর বাড়ি নগরের বলাশপুর এলাকায়। মায়ের দাবি, আল-আমিন রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। সালিসে জমিজমার কাগজ ঠিক থাকায় সাদা কাগজে স্বাক্ষর করতে রাজি না হলে রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ওই যুবক যুবলীগের সমর্থক। তাঁকে গ্রেপ্তারে কয়েকবার বাড়িতে অভিযানও চালিয়েছে পুলিশ। থানায় তাঁকে পেয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যদিও গ্রেপ্তারের পর আদালতে পাঠানো প্রতিবেদনে তাঁকে নগরের কেওয়াটখালী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আল-আমিনের মা আনারা বেগম বলেন, ২০২১ সালে বলাশপুর এলাকায় স্বামীর পেনশনের ১৭ লাখ টাকায় ৩ দশমিক ৬০ শতাংশ জমি কেনেন তাঁরা। এর আগে ২০০৮ সালে একই দাগে ৪ শতাংশ জমি কেনার দাবি করে ২০২২ সালে জোরপূর্বক সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করেন এক ব্যক্তি। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিস হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। ৫ আগস্টের পর সরকার পরিবর্তন হলে নিজের কেনা জমিতে বাড়ি করার উদ্যোগ নিলে বাধা হয়ে দাঁড়ান ওই ব্যক্তি ও তাঁর পক্ষের লোকজন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে কোতোয়ালি মডেল থানায় উভয় পক্ষকে ডাকা হয়। গত শনিবার রাত আটটায় থানায় সালিস শুরু হয়। চলে রাত ১২টা পর্যন্ত। সালিসে শেষ পর্যায়ে যখন জমির কাগজপত্র তাঁদের ঠিক পান সালিসকারীরা, তখন ওসি আল-আমিনকে তাঁর কক্ষে নিয়ে পিটিয়ে হাড়গোড় ভেঙে ফেলার হুমকি দেন। পেছনে পেছনে তিনি গিয়ে প্রতিবাদ করলে তাঁর সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করা হয়। এরপর আল-আমিনকে গারদে ঢুকিয়ে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করার জন্য চাপ দেওয়া হয়। রাজি না হওয়ায় সাজানো রাজনৈতিক মামলায় তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আনারা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে কোনো রাজনীতি করে না। আমার ছেলে ব্যবসা করে। তাকে রাজনৈতিক মামলায় পুলিশ কারাগারে পাঠিয়েছে।’
২৭ জুলাই আল-আমিনকে আদালতে পাঠানোর প্রতিবেদনে পুলিশ উল্লেখ করে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাত ১টা ৩৫ মিনিটে পুলিশের টহল দল নগরের আকুয়া ভাঙ্গাপুল এলাকায় অবস্থানকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে সদরের উত্তর দাপুনিয়ার সরকারি পুকুরপাড় সেলফি নামের স্থানে পাকা রাস্তার ওপর একদল সন্ত্রাসী জনতাবদ্ধ হয়ে রাস্তা বন্ধ করে গাড়ি ভাঙচুর ও দাঙ্গাহাঙ্গামা সৃষ্টি করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৫টি মশাল, ২০টি লাঠি, ৩০টি ইটের টুকরা, ২৫টি কাচের টুকরা জব্দ করা হয়। এ ঘটনার পরদিন পুলিশ কোতোয়ালি মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় আল-আমিনকে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে ২৬ জুলাই রাত ১১টা ৪০ মিনিটে নগরের কেওয়াটখালী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রতিবেদনে পুলিশ আল-আমিনকে যুবলীগের সমর্থক হিসেবে উল্লেখ করে।
থানার ওই সালিসে থাকা মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি মো. বাবু বলেন, থানা চত্বরের একটি ঘরে এসআই সজীব কোচের উপস্থিতিতে দুই পক্ষের কাগজপত্র বোঝেন, এমন লোকজন নিয়ে সালিস শুরু হয়। একপর্যায়ে আল-আমিনকে ‘ফ্যাসিস্ট’ আখ্যায়িত করে গ্রেপ্তারের দাবি জানান প্রতিপক্ষের লোকজন। পরে তাঁকে থানা থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়।
জানতে চাইলে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম বলেন, ‘১০ দিন আগে থেকে দারোগারা তাঁকে (আল-আমিন) ধরার জন্য খুঁজতেছে। ডেভিল হান্টের আসামি সে। আমাদের দুই দারোগা ছয় থেকে সাতবার তাঁর বাড়িতে রেড দিছে। সে যুবলীগের ফ্যাসিস্ট। মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তদন্তে প্রাপ্ত আসামি।’ ওসি বলেন, কোনো কাগজপত্র দিয়ে নোটিশ করে তাঁকে থানায় ডাকা হয়নি। বিচারক যদি মনে করে আমরা তাঁকে ইলিগ্যাল অ্যারেস্ট করেছি, তাহলে আদালত ফাইন্ডিংস দেবেন। আসামিকে থানা থেকে গ্রেপ্তার করা কী নিষেধ আছে?’ আদালতের প্রতিবেদনে ভিন্ন স্থান দেখানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘জজ এটার বিচার করবে। যদি এমন কইরা থাকে, সমস্যা কী?’