ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অমর একুশে হলে প্রভোস্ট অ্যাওয়ার্ড, আবেদন ৩ জুনের মধ্যে
Published: 31st, May 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের ২০২৫ সালের প্রভোস্ট অ্যাওয়ার্ডের জন্য আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে। আবেদন ফরম হল অফিস থেকে পাওয়া যাবে। জমা দেওয়ার শেষ তারিখ আগামী ৩ জুন।
অমর একুশে হলের আবাসিক বা অনাবাসিক শিক্ষার্থী প্রভোস্ট অ্যাওয়ার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ২০২২ ও ২০২৩ সালের অনার্স বা মাস্টার্স পাস করা শিক্ষার্থীদের প্রভোস্ট অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ দেওয়া হবে। তিনটি ক্যাটাগরিতে আবেদন করা যাবে।
ক্যাটাগরি ১: মেধার বিশেষ কৃতিত্ব
অমর একুশে হলের ছাত্রদের মধ্যে একজন ছাত্রকে তাঁর বিভাগের অনার্স ও মাস্টার্স পরীক্ষায় সর্বোচ্চ কৃতিত্ব অর্জন (ন্যূনতম সিজিপিএ–৩.
মাস্টার্স ক্যাটাগরিতে প্রতি বিভাগ বা ইনস্টিটিউট থেকে প্রতি শিক্ষাবর্ষের জন্য সম্মিলিতভাবে বিভিন্ন (থিসিস বা নন–থিসিস বা অন্যান্য) গ্রুপ থেকে সর্বোচ্চ সিজিপিএ পাওয়া একজন মেধাবী ছাত্রকে প্রভোস্ট অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হবে।
ক্যাটাগরি ২: ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক, সহশিক্ষা কার্যক্রম
এ ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্যতা হলো সংশ্লিষ্ট যেকোনো বিষয়ে ন্যূনতম কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম স্থান হতে হবে।
ক্যাটাগরি ৩: সামাজিক ও সেবামূলক কর্মকাণ্ড
রক্তদান, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ বা সাহসিকতাপূর্ণ কাজের জন্য আবেদন করা যাবে।
যেসব কারণে আবেদন বিবেচনা করা হবে নাআবেদনকারীর বিরুদ্ধে হলে বা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক বা একাডেমিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকলে বা উক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন থাকলে। আবেদনকারীর কাছে হল কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বকেয়া থাকলে আবেদন বিবেচনা করা হবে না।
আবেদনকারীর কাছে যদি হলের আবাসিক ছাত্রের ‘বৈধ আবাসিকতা’ কার্ড না থাকে। ভুল, অসত্য বা প্রতারণামূলক তথ্যের ভিত্তিতে কেউ প্রভোস্ট অ্যাওয়ার্ড পেয়ে থাকলে অ্যাওয়ার্ড কমিটি পরে তা প্রত্যাহার করতে পারবেন। মনোনয়নে প্রভোস্ট অ্যাওয়ার্ড কমিটির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে বিবেচনা করা হবে।
বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে ওয়েবসাইটে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্বে এখনো ১২১ কোটি মানুষ ধূমপান করে: প্রতিবেদনের তথ্য
করোনা মহামারি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে বিশ্বের নানা দেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনা ব্যাহত হয়েছে। এসব বাধার কারণে অন্তত ৯ কোটি ৫০ লাখ মানুষ ধূমপান ছাড়ার সুযোগ হারিয়েছে। আজ শুক্রবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। ৫৭টি তামাকবিরোধী সংগঠন এই প্রতিবেদনকে সমর্থন করেছে।
২০২৫ সালে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের আওতায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তামাক নিয়ন্ত্রণ সনদে ১৬৮টি দেশ সই করে। এতে ২০১০ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে ১৫ বছরের বেশি বয়সী জনগোষ্ঠীর মধ্যে ধূমপান ৩০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল।
২০২৪ সালে এই লক্ষ্যপূরণের সময়সীমা আরও পাঁচ বছর বাড়ানো হয়। কারণ, নানা সংকটে অনেক দেশ এ–সংক্রান্ত কর্মসূচি বাস্তবায়নে পর্যাপ্ত অর্থ ও মনোযোগ দিতে পারেনি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিছু দেশে ধূমপায়ীর সংখ্যা কমেছে; কিন্তু ধূমপায়ীর সংখ্যা ৩০ শতাংশ কমানোর যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল, তা পূরণ হয়নি। ফলে বিশ্বজুড়ে এখনো প্রায় ১২০ কোটি ৭৮ লাখ মানুষ ধূমপান করছেন। অথচ চলতি বছরের মধ্যে তা কমিয়ে ১১১ কোটি ২৪ লাখে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল।
প্রতিবেদনটি জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদে জমা দেওয়া হয়েছে, যারা বৈশ্বিক টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যগুলো দেখভাল করে। প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে অ্যাকশন অন স্মোকিং অ্যান্ড হেলথ কানাডা (এএসএইচ কানাডা)। এতে ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো-ফ্রি কিডস, ক্যানসার রিসার্চ ইউকে-সহ ৫৭টি সংগঠন সমর্থন দিয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, তামাক নিয়ন্ত্রণের গতি বাড়ানো না গেলে ভবিষ্যতে ধূমপানজনিত রোগে ‘লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু’ হতে পারে।
জাতিসংঘ আগেই বলেছে, অর্থের সংকট, ভূরাজনৈতিক টানাপোড়েন এবং মহামারিজনিত সমস্যার কারণে ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের বেশির ভাগের অগ্রগতি থমকে গেছে। এসব লক্ষ্যের মধ্যে দারিদ্র্য হ্রাস, ক্ষুধামুক্তি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন অন্যতম।
এএসএইচ কানাডার প্রতিবেদনে দেশগুলোকে তামাক নিয়ন্ত্রণে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এসব পদক্ষেপের মধ্যে তামাক পণ্যের ওপর কর বাড়ানো ও ধূমপান নিষিদ্ধকরণ অন্যতম।