পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, রাজনীতিতে পা রেখেছেন ভারতের দক্ষিণী সিনেমার অভিনেতা থালাপাতি বিজয়। খুব শিগগির রুপালি জগতকে বিদায় জানিয়ে রাজনীতিতে পুরোপুরি মন দেবেন এই তারকা। তার অভিনীত শেষ সিনেমা হতে যাচ্ছে ‘জন নায়ক’। এইচ বিনোদন পরিচালিত এই সিনেমায় তার বিপরীতে দেখা যাবে পূজা হেগড়েকে।

বিজয় তার রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি সিনেমাটির শুটিং নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির আগেই মোটা অঙ্কের অর্থ আয় করেছে ‘জন নায়ক’। শুধু তাই নয়, তামিল সিনেমার ইতিহাসে রেকর্ড গড়েছে এটি।

ইন্ডিয়া গ্লিটসের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ‘জন নায়ক’ সিনেমার ওটিটি স্বত্ব কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছিল ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্স ও অ্যামাজন প্রাইম। দরকষাকষিতে পিছিয়ে আসে নেটফ্লিক্স। সর্বশেষ ১২১ কোটি রুপিতে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৭২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা) স্বত্ব কিনে নিয়েছে অ্যামাজন প্রাইম।   

আরো পড়ুন:

প্রভাসের নায়িকা হতে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক নিলেন তৃপ্তি

মুকুল দেবের সংসার কেন ভেঙেছিল?

ডিজিটাল স্বত্ব বিক্রির দিক থেকে এটি তামিল সিনেমার সর্বোচ্চ দাম। এর আগে রজনীকান্ত অভিনীত ‘কুলি’ সিনেমার ওটিটি স্বত্ব বিক্রি হয়েছে ১২০ কোটি রুপিতে। এটিও অ্যামাজন প্রাইম কিনে নিয়েছে। বিজয়ের ‘জন নায়ক’ কিনতে প্ল্যাটফর্মটিকে ১ কোটি রুপি বেশি দিতে হয়েছে।

মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে ‘জন নায়ক’ সিনেমার স্যাটেলাইট রাইটস বিক্রি করেছেন নির্মাতারা। ডেকান হেরাল্ড এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ‘জন নায়ক’ সিনেমার স্যাটেলাইট স্বত্ব কিনে নিয়েছে সান টিভি। এজন্য তাদের গুনতে হয়েছে ৫৫ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা)। দুটো স্বত্ব বিক্রি করে এখন পর্যন্ত সিনেমাটির মোট আয় দাঁড়িয়েছে ১৭৬ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৫১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা)।   

বিজয়-পূজা ছাড়াও সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন— ববি দেওল, শ্রুতি হাসান, প্রকাশ রাজ, প্রিয়ামণি, মমিতা বাইজু প্রমুখ। কেভিএন প্রোডাকশনের ব্যানারে নির্মিত হচ্ছে সিনেমাটি। জানা যায়, সিনেমাটির বাজেট ধরা হয়েছে ৩০০ কোটি রুপি। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৬ সালের ৯ জানুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।

শিশুশিল্পী হিসেবে রুপালি জগতে পা রেখে তামিল সিনেমার শীর্ষ নায়কদের একজনে পরিণত হয়েছেন থালাপাতি বিজয়। সর্বশেষ ‘থালাপাতি ৬৯’ বা ‘জন নায়ক’ সিনেমার জন্য ২৭৫ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিয়েছেন তিনি। ক্যারিয়ারের তুঙ্গে থাকা অবস্থায় ‘তামিলাগা ভেটরি কাজাগম’ নামে রাজনৈতিক দল গঠন করেন এই নায়ক। প্রায় এক বছর আগে আনুষ্ঠানিকভাবে দল ঘোষণা করেন। ২০২৬ সালের তামিলনাড়ুর বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে আপাতত প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিজয়।

থালাপাতি বিজয়ের বাবার নাম এসএ চন্দ্রশেখর। তিনি ছিলেন তামিল সিনেমার পরিচালক। মা শোভা চন্দ্রশেখর ছিলেন গায়িকা। মাত্র ১০ বছর বয়সে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয়ে নাম লেখান বিজয়। ‘ভেট্রি’ নামের সিনেমাটি পরিচালনা করেন তার বাবা। প্রথম সিনেমার জন্য ৫০০ রুপি পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন। এরপর বেশ কয়েকটি সিনেমায় দেখা যায় তাকে।

রুপালি পর্দায় অভিষেকের আট বছর পর অর্থাৎ ১৯৯২ সালে ‘নালায়া থেরপু’ সিনেমার প্রথম নায়ক চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান বিজয়। তার প্রথম ব্লকবাস্টার সিনেমা ‘পুভে উনাকাগা’। এটি মুক্তি পায় ১৯৯৬ সালে। তবে ২০০৩ সালে মুক্তি পাওয়া এই অভিনেতার ‘থিরুমালাই’ সিনেমাটি তার ক্যারিয়ারে নতুন মাত্রা যোগ করে।

পরের বছর ‘ঘিল্লি’ সিনেমায় একজন কাবাডি খেলোয়াড়ের ভূমিকায় অভিনয় করে সকলের মন কাড়েন বিজয়। এই সিনেমার মাধ্যমে প্রথম তামিল অভিনেতা হিসেবে বক্স অফিসে ৫০ কোটি রুপি আয় করেন। পরবর্তীতে ‘থিরুপাচি’, ‘সাচেন’, ‘শিবাকাসি’, ‘পক্কিরি’, ‘কাবালান’, ‘নানবান’, ‘থুপ্পাক্কি’, ‘কাত্থি’, ‘মার্সাল’, ‘সরকার’, ‘মাস্টার’ প্রভৃতি সিনেমা তাকে তুমুল জনপ্রিয়তা এনে দেয়।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন ত ন ব জয় পর চ ল প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

চুলে গুঁজে দিলেন ৭১১ গলফ ‘টি’

যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা আনিয়া বানাখ, একজন গলফ খেলোয়াড়। তিনি একটি বিশ্ব রেকর্ড গড়ার স্বপ্ন দেখতেন। নিজ দেশের আরেকজন গলফ খেলোয়াড়কে দেখে তিনি বুঝে যান, নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে হলে তাঁকে ঠিক কী করতে হবে। যেমন ভাবনা, তেমন কাজ।

২০২৪ সালের ৯ নভেম্বর ক্যালিফোর্নিয়ার কার্লসব্যাড শহরে আনিয়া বসে যান তাঁর বিশ্ব রেকর্ড গড়ার স্বপ্ন পূরণে। সেদিন নিজের মাথা ও চুলের বেণিতে তিনি একে একে গুঁজে দেন ৭১১টি গলফ ‘টি’। এই গলফ ‘টি’ হলো গলফ বল রাখার ছোট স্ট্যান্ড বা খুঁটি।

আনিয়া বানাখের বয়স ৪৫ বছর। তাঁর বন্ধুরা ৪৭ মিনিট ধরে কাঠের গলফ টিগুলো আনিয়ার চুলে গুঁজে দেন। এত দিনে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ তাঁকে বিশ্ব রেকর্ড গড়ার স্বীকৃতি দিয়েছে।

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষকে আনিয়া বলেন, ‘আমি সব সময় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বইয়ে জায়গা পাওয়ার স্বপ্ন দেখেছি। এটা একেবারেই আমার নিজস্ব স্বপ্ন ছিল। আমি গলফ খেলা ঘিরে কিছু একটা করতে চেয়েছিলাম। আমার মনে হয়েছিল, এটা দারুণ একটা আইডিয়া হবে।’

আনিয়ার এই রেকর্ড গড়ার অনুপ্রেরণা ছিলেন জোয়েল স্ট্রাসার। একাধিক বস্তু দাড়িতে গুঁজে রাখার বেশ কয়েকটি রেকর্ডের মালিক তিনি। আনিয়া বলেন, ‘জোয়েল (স্ট্রাসার) নিঃসন্দেহে দাড়ি-সংক্রান্ত রেকর্ডে সর্বকালের সেরা একজন। আমি তাঁর ওই যাত্রা অনুসরণ করেছি। আর সত্যি বলতে, তাঁর অভিনব, সৃজনশীল আর মজার স্বভাব আমাকে দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করেছে।’

‘তাঁর সৃজনশীলতাই আমাকে উজ্জীবিত করেছিল। তাই ভাবলাম, আমিও কিছু পাগলামি করি। আমি তো হতে পারি গলফে জোয়েলের নারী রূপ।’

চুল নিয়ে এমন মজার কিছু করতে অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য এই নারী জোয়েলকে ধন্যবাদও দিয়েছেন।

অন্যদের অনুপ্রেরণা দিতে গিয়ে আনিয়া বলেন, ‘আপনি যদি কোনো স্বপ্ন দেখে থাকেন, তাহলে সেটা পূরণ করে ফেলুন—স্বপ্ন পূরণে বেরিয়ে পড়ুন, ভয় পাবেন না। চুলে গলফ টি গোঁজা হোক বা অন্য কিছু—নিজের ওপর বিশ্বাস রেখে এগিয়ে যেতে হবে। হয়তো একদিন আপনার নাম উঠবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাবিতে আ.লীগ ট্যাগ দিয়ে চিকিৎসা কর্মীকে বিবস্ত্র করে মারধর
  • ইরানের সঙ্গে সংঘাত: ইসরায়েলকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা দিতে সৌদি সরকারকে অনুরোধ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র
  • সিরিজের শেষ ম্যাচে নেই স্টোকস, দায়িত্বে পোপ
  • সব্যসাচী কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন
  • স্কিন ব্যাংকে পর্যাপ্ত ত্বক থাকলে ৪০ শতাংশের বেশি দগ্ধ রোগীকেও বাঁচানো যায়
  • লাস ভেগাসে হতে পারে ২০২৬ বিশ্বকাপ গ্রুপ পর্বের ড্র
  • রাগ নিয়ন্ত্রণে হাদিসের ৭ উপদেশ
  • চুলে গুঁজে দিলেন ৭১১ গলফ ‘টি’
  • চীন–কোরিয়াকে পেয়ে ঋতুপর্ণা বললেন ‘আমরা হাল ছাড়ব না’
  • সার আমদানি ও জমি হস্তান্তরের প্রস্তাব অনুমোদন