১০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পেল তামাক নিয়ন্ত্রণে জাতীয় সম্মাননা
Published: 31st, May 2025 GMT
এ বছর ৯ ক্যাটাগরিতে ১০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ‘তামাক নিয়ন্ত্রণে জাতীয় সম্মাননা ২০২৫’ দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাঁদের সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেওয়া হয়।
এ বছর প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক ক্যাটাগরিতে এ সম্মাননা পেয়েছেন প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মোছাব্বের হোসেন। ইলেকট্রনিক মিডিয়া ক্যাটাগরিতে সম্মাননা পেয়েছেন একাত্তর টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিবেদক সুশান্ত সিনহা।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম। বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এবং প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমান।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন রেলসচিব ফাহিমুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো.
বক্তারা বলেন, ধূমপান ও তামাকের ভয়াল নেশা প্রাণঘাতী। এ নেশা থেকে শিশু-কিশোরদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অভিভাবক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সচেতন হতে হবে। তামাকের করাল গ্রাস থেকে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষা দিয়ে একটি কর্মক্ষম ও সুস্থ সমাজ প্রতিষ্ঠা করা এখন সময়ের দাবি। তাই তামাক কোম্পানির সব কূটকৌশল প্রতিহত করার আবশ্যকতা দেখা দিয়েছে, যেন শিশু-কিশোররা তামাকে আসক্ত না হতে পারে।
সম্মাননা পেলেন যাঁরাবাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে অবদান রাখায় এ বছর উপজেলা টাস্কফোর্স হিসেবে সম্মাননা পেয়েছে নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটি। জেলা টাস্কফোর্স হিসেবে সম্মাননা পেয়েছে রাজবাড়ী জেলা টাস্কফোর্স কমিটি।
শ্রেষ্ঠ ‘মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী’ কর্মকর্তা হিসেবে এ বছর সম্মাননা পেয়েছেন পঞ্চগড়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল হক তারেক। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে বিশেষ অবদান রাখায় ‘কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা’ ক্যাটাগরিতে নোয়াখালী জেলার সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সাইফুদ্দিন মাহমুদ চৌধুরী ও নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর নুরুল ইসলাম সম্মাননা পেয়েছেন।
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান থেকে সম্মাননা পেয়েছেন হবিগঞ্জ পৌরসভার পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ ইকবাল চৌধুরী এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান হিসেবে সম্মাননা পেয়েছেন নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার ৭ নং সফাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শামসুল হক।
প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক ক্যাটাগরিতে সম্মাননা পেয়েছেন প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মোছাব্বের হোসেন এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া ক্যাটাগরিতে সম্মাননা পেয়েছেন একাত্তর টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিবেদক সুশান্ত সিনহা।
সরকারি সংস্থা হিসেবে এ বছর সম্মাননা পেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়। আর বেসরকারি সংস্থা ক্যাটাগরিতে সম্মাননা পেয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর মকর ত অন ষ ঠ ন র উপজ ল সরক র এ বছর
এছাড়াও পড়ুন:
দুই জাতীয় প্রতিযোগিতায় বিইউবিটির গৌরবোজ্জ্বল সাফল্য
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি (বিইউবিটি) সাম্প্রতিক সময়ে দুটি জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অসাধারণ সাফল্য অর্জন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনামকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়েছে। শনিবার অনুষ্ঠিত ‘ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’ ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিইউবিটির ডিবেটিং ক্লাব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। ফাইনাল পর্বে বিইউবিটি আনন্দ মোহন কলেজকে পরাজিত করে।
বিতর্কের বিষয় ছিল- ‘রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি করা আসন্ন বাজেটের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত।’ এই বিতর্কে বিইউবিটি বিরোধী দলের ভূমিকায় অংশগ্রহণ করে যুক্তিনিষ্ঠ বিশ্লেষণ, শক্তিশালী উপস্থাপন এবং বুদ্ধিদীপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে।
অন্যদিকে, শুক্রবার অনুষ্ঠিত ৭ম ওয়ার্ল্ড ইনভেনশন কমপিটিশন অ্যান্ড এক্সিবিশনের জাতীয় পর্বে বিইউবিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী প্রকল্প ‘এগ্রো ডক্টর’ আইটি ও রোবোটিকস বিভাগে রৌপ্য পদক অর্জন করে।
৫১তম ব্যাচের তিনি শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বী, কামরুল ইসলাম ও মো. সাকিলের উদ্ভাবিত প্রকল্প ‘এগ্রো ডক্টর’ প্রযুক্তিনির্ভর এমন একটি সমাধান, যা কৃষকদের ফসলের রোগ নির্ণয়ে সহায়তা করে। এটি অটোমেশন ও মেশিন লার্নিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে, টেকসই কৃষি ও সফল ফলনের নিশ্চয়তা প্রদান করে।
এই সাফল্যের পর বিইউবিটির উভয় দল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ বি এম শওকত আলীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। উপাচার্য তাঁদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘এই অর্জনসমূহ শুধুমাত্র ব্যক্তিগত নয়, বরং বিইউবিটির সম্মান এবং বাংলাদেশের শিক্ষার গৌরব। আশা করি, বিইউবিটির তরুণেরা দেশ ও জাতির জন্য আরও সৃজনশীল ও দক্ষ নেতৃত্ব গড়ে তুলবে।’
ডিবেটিং ক্লাবের সদস্যরা বলেন, ‘এই জয় আমাদের যুক্তিবোধ, দলগত কাজ ও নেতৃত্বের একটি অনন্য প্রমাণ। আমরা ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক মঞ্চেও নিজেদের জায়গা করে নিতে চাই।’ অপরদিকে টিম ‘এগ্রো ডক্টর’- এর সদস্যরা বলেন, ‘আমাদের উদ্ভাবনী প্রযুক্তি দেশের কৃষি খাতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারে। এই সাফল্য আমাদের আরও উদ্ভাবনে উৎসাহিত করবে।’
বিইউবিটি ভবিষ্যতেও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেদের সক্ষমতা প্রমাণ করে বাংলাদেশকে গর্বিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি