জোড়া গোলে আরও একটি রেকর্ড ভাঙলেন মেসি
Published: 1st, June 2025 GMT
আগের ম্যাচে জোড়া গোল করে ইন্টার মায়ামিকে জয়ের ধারায় ফিরিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে আজ রোববার সকালে আবারও জোড়া গোল করলেন মেসি। শুধু গোল করা-ই নয়, দুটি গোল করিয়েছেনও।
এমন মেসিময় ম্যাচে মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) কলম্বাসকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ইন্টার মায়ামি। জোড়া গোল করে একটি রেকর্ডও ভেঙেছেন মেসি। এমএলএসে এখন ইন্টার মায়ামির সর্বোচ্চ গোলদাতা মেসি। সাবেক আর্জেন্টাইন সতীর্থ গঞ্জালো হিগুয়েইনের ২৯ গোল টপকে মেসির গোল এখন ৩১টি।
ঘরের মাঠ চেজ স্টেডিয়ামে মায়ামির সঙ্গে বল দখল এবং সুযোগ তৈরিতে ভালোই পাল্লা দিয়েছে কলম্বাস। মায়ামির ৫১ শতাংশ বল দখলের বিপরীতে কলম্বাসের দখলে বল ছিল ৪৯ শতাংশ। মায়ামির ১৪ শটের বিপরীতে কলম্বাস শট নিয়েছে ১২টি। মায়ামি অবশ্য ৭টি শট লক্ষ্যে রাখলেও কলম্বাস রাখতে পেরেছে মাত্র ১টি। মায়ামি মূলত বাজিমাত করেছে ফিনিশিংয়ে। যেখানে একাই দাপট দেখিয়েছেন মেসি।
আরও পড়ুনরেস্তোরাঁর টেবিলে বসে মেসির গল্প ২৬ মে ২০২৫১৩ মিনিটে মেসির সহায়তায় প্রথম গোলটি করেন তাদেও আলেন্দে। প্রায় মাঝমাঠ থেকে মেসির দুর্দান্ত এক লং পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গোলটা করেন এই আর্জেন্টাইন উইঙ্গার। ২ মিনিট পর কলম্বাস গোলরক্ষকের ভুলে বল পেয়ে গোলের খাতায় নাম লেখান মেসি নিজেই।
সতীর্থদের সঙ্গে মেসির গোল উৎসব.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মেসি গোল করেছেন, তবে জেতেনি মায়ামি
ইন্টার মায়ামি কখনো মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) প্লে–অফ কনফারেন্স সেমিফাইনালে ওঠেনি। আজ লিওনেল মেসিদের সামনে ছিল সেই সুযোগ। কিন্তু নাশভিলের মাঠ জিওডিস পার্কে সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেনি মায়ামি। ম্যাচের ৯০ মিনিটে মেসি গোল করলেও তার আগে দুই গোল হজম করে ইন্টার মায়ামি হেরেছে ২-১ ব্যবধানে।
এই হারের পরও অবশ্য মায়ামির কনফারেন্স সেমিফাইনালে খেলার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়নি। ৮ নভেম্বর আবারও মুখোমুখি হবে মায়ামি-নাশভিল। সে ম্যাচের জয়ী দল পরের ধাপে উঠবে।
জিওডিস পার্কের ম্যাচটিতে মায়ামি গোল হজম করেছে ৯ ও ৪৫ মিনিটে। এর মধ্যে ৯ মিনিটে স্যাম সারিজের গোলটি ছিল পেনাল্টি থেকে। মায়ামি গোলকিপার রোকো রিওস ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
তবে ম্যাচ শেষে এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মায়ামি কোচ হাভিয়ের মাচেরানো, ‘পেনাল্টিটা আমাদের একটা ধাক্কা দিয়েছে। কারণ, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা ভালো খেলছিলাম। আমার মনে হয় সিদ্ধান্তটা বিতর্কিত। রেফারিং নিয়ে কথা বলা আমার পছন্দ নয়। কিন্তু এখন বলতে হচ্ছে পেনাল্টির সিদ্ধান্তের বিষয়টি ভিএআরে না যাওয়াটা অদ্ভুত লেগেছে।’ প্রথমার্ধের শেষ দিনে নাশভিলের দ্বিতীয় গোলটি করেন জশ বাউয়ের।
ম্যাচের শেষ দিকে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে মায়ামি। আর তাতেই ৯০ মিনিটে বক্সে ঢুকেই কোনাকুনি শটে বল জালে পাঠান মেসি। যোগ করা সময়ে দ্বিতীয় গোলের চেষ্টা চালিয়ে গেলেও নাশভিলের জমাট রক্ষণের বিপক্ষে সেটা আর সম্ভব হয়নি। মায়ামিকে মাঠ ছাড়তে হয় হার নিয়ে।
এমএলএস প্লে-অফে প্রথম রাউন্ডের খেলা হয় ‘বেস্ট অব থ্রি–সিরিজ’ হিসেবে। এর মধ্যে প্রথম দুটি ম্যাচ একই দল জিতে গেলে তৃতীয় ম্যাচ খেলার দরকার পড়ে না। ইন্টার মায়ামি প্রথম ম্যাচ ৩-১ গোলে জেতায় আজই কনফারেন্স সেমিফাইনাল নিশ্চিত করার সুযোগ ছিল। কিন্তু নাশভিল জেতায় প্রথম রাউন্ডের মীমাংসা গড়াল তৃতীয় ম্যাচে। যে ম্যাচটি হবে ৮ নভেম্বর চেজ স্টেডিয়ামে।