কুড়িগ্রামে পশু হাটে অতিরিক্ত টাকা আদায়, বিএনপি নেতা আটক
Published: 1st, June 2025 GMT
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে পশুর হাটে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও হাট ইজারাদার ফরিদুল হক শাহীন শিকদারকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
শনিবার (৩১ মে) দুপুরে সেনাবাহিনীর একটি টহল দল ভুরুঙ্গামারী হাটে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।
আটক ফরিদুল হক শাহীন শিকদার ভূরুঙ্গামারী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও তিলাই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।
আরো পড়ুন:
গাজীপুরে আলোচনার কেন্দ্রে ‘ভাওয়াল রাজা’
কেরানীগঞ্জের হাটগুলোতে আসছে কোরবানির পশু
জানা গেছে, কুড়িগ্রাম আর্মি ক্যাম্পের একটি নিয়মিত টহল দল ভুরুঙ্গামারীর গরু-ছাগলের হাট পরিদর্শনে আসেন। সেখানে উপস্থিত স্থানীয় জনগণ অভিযোগ করেন যে, হাটের ইজারাদার সরকার নির্ধারিত হাসিলের চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছেন। পরে টহল দলের কমান্ডার পর্যবেক্ষণ করে এবং হাসিলের রশিদ যাচাই করে অভিযোগের সত্যতা পান।
হাট ইজারাদার সরকার নির্ধারিত হারের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ অর্থ আদায় সম্পূর্ণভাবে অবৈধ, বেআইনি এবং জনস্বার্থপরিপন্থী। ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় সেনাবাহিনীর টহল দল ফরিদুল হক শাহিন শিকদারকে হাটের ইজারাদার হিসেবে আটক করে।
সেনাবাহিনী জানায়, সরকার নির্ধারিত হাসিলের বাইরে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। আটককৃত ব্যক্তিকে আদালত প্রেরণসহ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল হেলাল মাহমুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, উপজেলা পরিষদ বাদি হয়ে তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেছে। আগামীকাল সকালে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।
ঢাকা/বাদশাহ্/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক রব ন র হ ট ইজ র দ র
এছাড়াও পড়ুন:
কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণ শুরু হচ্ছে শনিবার মধ্যরাতে
তিন মাস দুই দিন পর কাপ্তাই হ্রদে শুরু হচ্ছে মৎস্য আহরণ। শনিবার (২ আগস্ট) মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরতে পারবেন জেলেরা।
কাপ্তাই হ্রদে পর্যাপ্ত পানি থাকায় কয়েক বছরের মধ্যে এবার নির্দিষ্ট সময়ে মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে জেলা প্রশাসন। অন্যান্য বছর ২-৩ দফা সময় বাড়িয়ে প্রায় চার মাস পর মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হতো। কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের বংশবৃদ্ধি, প্রজনন এবং অবমুক্ত করা মাছের বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি বছর তিন মাস কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা দেয় জেলা প্রশাসন।
এদিকে, মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর শুধু জেলে পাড়া নয়, কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে জেলার সবচেয়ে বড় মৎস্য অবতরণকেন্দ্র বিএফডিসি ঘাট। মাছ পরিবহন ও সংরক্ষণের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে ড্রাম, বরফ ভাঙার মেশিন। দীর্ঘ ৯২ দিনের কর্মহীন জীবনের অবসান ঘটাতে প্রহর গুনছেন জেলেরা। ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সেরে রেখেছেন ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি)।
বিএফডিসি সূত্র বলছে, কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন, অবমুক্ত করা পোনা মাছের সুষ্ঠু বৃদ্ধির জন্য ১ মে থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে তিন মাস মাছ শিকার বন্ধ রাখা হয়। এ সময়ে হ্রদে প্রায় ৬০ মেট্রিক টন কার্প জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন প্রায় ২৬ হাজার জেলে।
রাঙামাটির শহরের পুরান পাড়া জেলা পল্লীর বাসিন্দা নেপাল দাশ জানিয়েছেন, মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞাকালে যে সরকারি সহায়তা পাওয়া যায়, তাতে পরিবার নিয়ে চলা কঠিন। দীর্ঘ তিন মাস পর মাছ ধরতে নামতে পারব, এতে খুশি আমরা।
নতুন পাড়ার জেলে অমর কান্তি দাশ বলেছেন, হ্রদে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মাছগুলো বড় হওয়ার সুযোগ পাবে। তবে, পানিতে ঢেউ থাকায় শুরুতে বেশি মাছ পাওয়া যাবে না। পানি কিছু কমে আসলে ও স্থির হলে ভালো মাছ পাব, আশা করি। হ্রদে নামার জন্য যা যা প্রস্তুতি, সবকিছু শেষ করেছি। জাল ও নৌকা মেরামত করা হয়েছে। এখন শুধু লেকে নামার অপেক্ষা।
রাঙামাটি মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি উদয়ন বড়ুয়া বলেছেন, এবার নিষেধাজ্ঞার শুরু থেকে পর্যাপ্ত বৃষ্টির ফলে কাপ্তাই হ্রদে যথেষ্ট পানি থাকায় মাছ প্রথম থেকেই প্রজনন এবং বড় হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। আশা করছি, এবার পর্যাপ্ত মাছ পাওয়া যাবে। ব্যবসায়ীরা সব প্রস্ততি নিয়েছেন। রবিবার সকাল থেকে বিএফডিসি ঘাটে মাছ আসবে।
বিএফডিসির রাঙামাটি অঞ্চলের ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. ফয়েজ আল করিম বলেছেন, নিষেধাজ্ঞাকালীন আমাদের উপকেন্দ্রগুলোর যেসব অবকাঠামো সংস্কারের প্রয়োজন ছিল, সেসব আমরা শেষ করেছি। অন্যান্য যেসব প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন, সেসবও শেষ হয়েছে। আশা করছি, গত বছরের মতো এবছরও ভালো মাছ পাওয়া যাবে।
ঢাকা/শংকর/রফিক