আবারও লিওনেল মেসির অতিমানবীয় নৈপুণ্যে জ্বলে উঠল ইন্টার মায়ামি। মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) স্থানীয় সময় শনিবার রাতের ম্যাচে কলম্বাস ক্রুর বিপক্ষে মাঠে নামা ডেভিড বেকহামের দল যেন রূপকথার গল্প লিখল। ৫-১ গোলের বিশাল জয়ে সবচেয়ে উজ্জ্বল নামটি ছিল আর্জেন্টিনার ফুটবল সম্রাট মেসি।

দুটি গোলের পাশাপাশি আরও দুটি গোল বানিয়ে দিয়ে ম্যাচে প্রত্যক্ষ চার গোলের নায়ক মেসি ইন্টার মায়ামির ইতিহাসে নিজের নাম আরও একবার সোনার হরফে লিখে নিলেন। তার ঝলকেই দলটি জয়ের ধারায় ফিরল এবং লিগ টেবিলে নিজেদের অবস্থান মজবুত করল।

প্রথমার্ধেই খেলার মোড় ঘুরে যায়। মাত্র ১৩ মিনিটে দুর্দান্ত এক লং পাস থেকে আলেন্দে প্রতিপক্ষের জালে বল জড়ালে মায়ামি এগিয়ে যায়। এরপর গোলরক্ষকের একটি ভুল কাজে লাগিয়ে স্কোরশিটে নিজের নাম লেখান মেসি। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে কলম্বাস ক্রুর রক্ষণ যেন আরও ছিন্নভিন্ন হতে থাকে। ২৪ মিনিটে সার্জিও বুসকেটসের পাস থেকে দ্বিতীয়বার বল জালে পাঠিয়ে নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করেন মেসি।

আরো পড়ুন:

মেসি-সুয়ারেজ জোড়ায় উড়ল ইন্টার মায়ামি

মেসির শেষ মুহূর্তের জাদুতে হার এড়ালো মায়ামি

বিরতির পর কলম্বাস কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে এবং এক গোল ফিরিয়েও দেয়। তবে তা ছিল ক্ষণিকের স্বস্তি। ৬৪ মিনিটে লুইস সুয়ারেজের দারুণ এক গোল আবারও মায়ামিকে ছন্দে ফেরায়। শেষ মুহূর্তে মেসির নিখুঁত পাস থেকে ফাফা পিকাল্ট প্রতিপক্ষের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন।

ম্যাচে বল দখলে দুই দল প্রায় সমান থাকলেও গোলের দিক দিয়ে পরিষ্কার ব্যবধানে এগিয়ে ছিল মেসির মায়ামি। ১৪টি শটের মধ্যে ৭টি ছিল লক্ষ্যে, বিপরীতে কলম্বাস লক্ষ্যে রাখতে পেরেছিল মাত্র একটি শট।

এই ম্যাচে একটি ঐতিহাসিক রেকর্ডও গড়ে ফেলেছেন মেসি—এমএলএসে ইন্টার মায়ামির হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার আসনটি এখন এককভাবে তার। আগের রেকর্ডধারী গঞ্জালো হিগুয়েইনের ২৯ গোল ছাড়িয়ে তিনি পৌঁছে গেছেন ৩১ গোলে।

১৮ ম্যাচ শেষে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে মায়ামি এখন লিগ টেবিলের তিন নম্বরে। এক ম্যাচ কম খেলে শীর্ষে থাকা ফিলাডেলফিয়ার সঙ্গে তাদের ব্যবধান মাত্র ৫ পয়েন্ট।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ইন ট র ম য় ম কলম ব স

এছাড়াও পড়ুন:

মেসি গোল করেছেন, তবে জেতেনি মায়ামি

ইন্টার মায়ামি কখনো মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) প্লে–অফ কনফারেন্স সেমিফাইনালে ওঠেনি। আজ লিওনেল মেসিদের সামনে ছিল সেই সুযোগ। কিন্তু নাশভিলের মাঠ জিওডিস পার্কে সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেনি মায়ামি। ম্যাচের ৯০ মিনিটে মেসি গোল করলেও তার আগে দুই গোল হজম করে ইন্টার মায়ামি হেরেছে ২-১ ব্যবধানে।

এই হারের পরও অবশ্য মায়ামির কনফারেন্স সেমিফাইনালে খেলার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়নি। ৮ নভেম্বর আবারও মুখোমুখি হবে মায়ামি-নাশভিল। সে ম্যাচের জয়ী দল পরের ধাপে উঠবে।

জিওডিস পার্কের ম্যাচটিতে মায়ামি গোল হজম করেছে ৯ ও ৪৫ মিনিটে। এর মধ্যে ৯ মিনিটে স্যাম সারিজের গোলটি ছিল পেনাল্টি থেকে। মায়ামি গোলকিপার রোকো রিওস ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।

তবে ম্যাচ শেষে এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মায়ামি কোচ হাভিয়ের মাচেরানো, ‘পেনাল্টিটা আমাদের একটা ধাক্কা দিয়েছে। কারণ, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা ভালো খেলছিলাম। আমার মনে হয় সিদ্ধান্তটা বিতর্কিত। রেফারিং নিয়ে কথা বলা আমার পছন্দ নয়। কিন্তু এখন বলতে হচ্ছে পেনাল্টির সিদ্ধান্তের বিষয়টি ভিএআরে না যাওয়াটা অদ্ভুত লেগেছে।’ প্রথমার্ধের শেষ দিনে নাশভিলের দ্বিতীয় গোলটি করেন জশ বাউয়ের।

ম্যাচের শেষ দিকে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে মায়ামি। আর তাতেই ৯০ মিনিটে বক্সে ঢুকেই কোনাকুনি শটে বল জালে পাঠান মেসি। যোগ করা সময়ে দ্বিতীয় গোলের চেষ্টা চালিয়ে গেলেও নাশভিলের জমাট রক্ষণের বিপক্ষে সেটা আর সম্ভব হয়নি। মায়ামিকে মাঠ ছাড়তে হয় হার নিয়ে।

এমএলএস প্লে-অফে প্রথম রাউন্ডের খেলা হয় ‘বেস্ট অব থ্রি–সিরিজ’ হিসেবে। এর মধ্যে প্রথম দুটি ম্যাচ একই দল জিতে গেলে তৃতীয় ম্যাচ খেলার দরকার পড়ে না। ইন্টার মায়ামি প্রথম ম্যাচ ৩-১ গোলে জেতায় আজই কনফারেন্স সেমিফাইনাল নিশ্চিত করার সুযোগ ছিল। কিন্তু নাশভিল জেতায় প্রথম রাউন্ডের মীমাংসা গড়াল তৃতীয় ম্যাচে। যে ম্যাচটি হবে ৮ নভেম্বর চেজ স্টেডিয়ামে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মেসি গোল করেছেন, তবে জেতেনি মায়ামি