রাফায় ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে ইসরায়েলের হামলায় নিহত ৩০
Published: 1st, June 2025 GMT
গাজার দক্ষিণাঞ্চলের শহর রাফায় গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ডব্লিউএএফএ এবং হামাস সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যম আজ রোববার এ খবর দিয়েছে।
ইসরায়েলের পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ওই হামলার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। ডব্লিউএএফএ হামলায় ১১৫ জনের বেশি ফিলিস্তিনি আহত হওয়ার খবরও দিয়েছে।
আরও পড়ুনগাজায় বিতরণ করা বিতর্কিত সংস্থা জিএইচএফের ত্রাণের বাক্সে কী আছে১৮ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়ার–ভিত্তিক মার্কিন সংস্থা জিএইচএফকে ইসরায়েলও সমর্থন দেয়। সংস্থাটি সম্প্রতি গাজায় তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল পরিচালিত সংস্থাটির ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম নিয়ে বিতর্ক আছে।
ত্রাণ বিতরণের আগে যাচাই–বাছাইয়ের জন্য ইসরায়েল যে বায়োমেট্রিকসহ বিভিন্ন ধরনের যাচাই-পদ্ধতি চালু করবে বলে জানিয়েছে, তার নিরপেক্ষতা নিয়ে কিছু ফিলিস্তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তবে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলেছেন, এ পদ্ধতির মাধ্যমে ত্রাণপ্রাপ্তদের যাচাই করে হামাস-সংশ্লিষ্ট যেকোনো ব্যক্তিকে বাদ দেওয়া সম্ভব হবে।
এর আগে ২৮ মে হামাস গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ইসরায়েলি হামলার অভিযোগ তুলে বলেছিল, হামলায় অন্তত তিন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৪৬ জন আহত হয়েছেন। তবে ত্রাণ সংস্থাটি পরে সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছিল।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রে হাজারো ফিলিস্তিনি ভিড় করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘাঁটির বাইরের এলাকায় সতর্কতামূলক গুলি ছোড়া হয়।
আরও পড়ুনগাজায় ত্রাণ নিতে এসে ৫ ফিলিস্তিনি নিহত১৪ মার্চ ২০২৪.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ত র ণ ব তরণ ক ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১
খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।
আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।