বাংলাদেশ সফরে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আগামী ১৮ জুলাই ঢাকায় পা রাখবে পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দল—এমন খবর জানিয়েছে পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ।

সূত্রের বরাতে জিও নিউজ জানিয়েছে, এই সিরিজের প্রাথমিক সূচি ইতোমধ্যে চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এবং তা পাঠানো হয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) কাছে অনুমোদনের জন্য।

প্রস্তাবিত সূচি অনুযায়ী, সিরিজের প্রথম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ২০ জুলাই, দ্বিতীয় ম্যাচ ২২ জুলাই এবং তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি মাঠে গড়াবে ২৪ জুলাই। তিনটি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে রাজধানীর মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।

আরো পড়ুন:

‘ফিয়ারলেস, নট কেয়ারলেস ক্রিকেট’, পাকিস্তান অধিনায়কের সতর্কবার্তা

বাংলাদেশ-পাকিস্তানের খেলা দেখা যাবে যেসব চ্যানেলে

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এই সিরিজটি আইসিসির নির্ধারিত ফিউচার ট্যুরস প্রোগ্রামের (এফটিপি) অন্তর্ভুক্ত নয়। বিসিবি ও পিসিবির শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের আলোচনার ভিত্তিতেই এই দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বাংলাদেশ সফর শেষ করেই পাকিস্তান দল রওনা দেবে ক্যারিবীয় অঞ্চলের উদ্দেশে। যুক্তরাষ্ট্রে আগামী ৩১ জুলাই শুরু হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আরেকটি তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এরপর রয়েছে একটি একদিনের সিরিজও।

এদিকে, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যকার চলমান টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি আজ রোববার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে দাপুটে পারফরম্যান্স দেখিয়ে বাংলাদেশকে ৫৭ রানে হারিয়ে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে স্বাগতিক পাকিস্তান।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ